বিনোদন ডেস্ক: প্রাকৃতিক দুর্যোগ বজ্রকে আরবিতে বলা হয় ‘রাদ’। পবিত্র কোরআনুল কারিমে এ নামে একটি সূরা রয়েছে। এটি কোরআনের ১৩তম সূরা, যার আয়াত সংখ্যা ৪৩টি। আর-রাদ সূরাটি মদিনায় অবতীর্ণ।
বজ্রপাতের কারণে প্রলয়ংকরী শব্দ হয়। কখনো কখনো কারো প্রাণ কেড়ে নেয়। কাউকে আবার অসুস্থ ও আহতও করে দেয়।
বজ্রপাত থেকে বাঁচার জন্য মহানবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি বিশেষ দোয়া শিখিয়েছেন। দোয়াটি পাঠ করা হলে ইনশাআল্লাহ! এ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন বজ্রের আওয়াজ শুনতেন তখন এ দোয়া পড়তেন- اللَّهُمَّ لاَ تَقْتُلْنَا بِغَضَبِكَ وَلاَ تُهْلِكْنَا بِعَذَابِكَ وَعَافِنَا قَبْلَ ذَلِكَ
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা লা-তাক্বতুলনা বিগাজাবিকা, ওয়া লা-তুহলিকনা বিআজা-বিকা, ওয়া আ-ফিনা-ক্বাবলা জা-লিকা’।
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাকে আপনার গজব দিয়ে হত্যা করে দেবেন না এবং আপনার আজাব দিয়ে ধ্বংস করে দেবেন না। এসবের আগেই আপনি আমাকে পরিত্রাণ দিন’। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৫০)
বজ্রপাতের শব্দ শুনলে নবীজি (সা.) এই দোয়াও পড়তেন- আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল (সা.) বজ্রপাতের শব্দ শুনলেই পড়তেন- سُبْحَانَ الَّذِيْ يُسَبِّحُ الرَّعْدُ بِحَمْدِهِ
উচ্চারণ: ‘সুবহানাল্লাজি ইয়ুসাব্বিহুর রা‘অদু বিহামদিহি’।
অর্থ: ‘পবিত্র সে সত্তা, বজ্র সন্ত্রস্ত হয়ে যার প্রশংসা পাঠ করে’।
ইবনে আবি জাকারিয়া থেকে বর্ণিত অন্য রেওয়ায়েতে আছে, তিনি বলেন, বর্ণিত আছে, ‘যে ব্যক্তি বজ্রের আওয়াজ শুনে এ দোয়া পড়বে- سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ
উচ্চারণ: ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’
অর্থ: ‘আমি আল্লাহর সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করছি’। , সে বজ্রে আঘাতপ্রাপ্ত হবে না’। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা : ২৯২১৩)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।