বিনোদন ডেস্ক : ‘বডি শেমিং’ কথাটা শুনতে ততটা ভয়ানক না হলেও বাস্তবে এটি সত্যি ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে। চেহারার জন্য সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে বেশিরভাগ নারীকেই। নারী দিবসে এই নিয়েই আপত্তি তুললেন শ্রীলেখা মিত্র।
এক সাক্ষাৎকারে টিনসেল টাউনের মধ্যে হওয়া বডি শেমিংকেই তুলে ধরলেন তিনি। বহু বছর ধরে অভিনয়ের দুনিয়ায় আছেন শ্রীলেখা। বেশ কিছু ভালো ছবি তিনি উপহার দিয়েছেন দর্শককে। কিন্তু বডি শেমিং থেকে তিনিও বাদ পড়েননি। বরং, টলিউডের এক মহিলা সহকর্মীই যখন শ্রীলেখার চেহারা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল, তখন নিন্দার ঝড় বয়েছিল চারিদিকে।
এই ব্যাপারে অভিনেত্রী জানান, আমাকে এখনও শুনতে হয়, তুমি এত মোটা হয়ে গিয়েছ কেন?, কীভাবে এত ওজন বাড়ল তোমার, মোটা হওয়ার পরেও ছোট পোশাকে ছবি তুলতে লজ্জা করে না? – এমন সব প্রশ্ন। আর এই বডি শেমিংয়ে আমি সম্প্রতি সময়ে তিতিবিরক্ত। কীভাবে কেউ কোনও মানুষকে তার চেহারা, তার গায়ের রং বা তাঁর উচ্চতা দিয়ে বিচার করতে পারে? আমার মেয়ের জন্মের পর আমার ওজন বেড়েছে। আর এটা যে কোনও মায়ের জন্য স্বাভাবিক। কিন্তু বলুন তো, কেন মানুষ ইচ্ছে হলেই এই নিয়ে মন্তব্য করবে?’
টিনসেল টাউনে তার সঙ্গে হওয়া ঘটনাও এদিন খোলাসা করেন শ্রীলেখা। জানান, এরকম অনেকবার হয়েছে পরিচালক আমাকে ফোন করে বলেছে তিনি আমাকে কাজ দিতে পারবেন না কারণ আমার ওজন বেশি। ভাবুন তো? তারপর আমি এটা বুঝতে পারি আমাকে ওজন কমাতে হবে কি হবে না, সেটা আমি ঠিক করব।
আমিই ঠিক করব কোন পোশাকে আমাকে ভালো দেখায়, কোন পোশাকে খারাপ। আমার ঘনিষ্ঠরাও আমাকে পরামর্শ দিয়েছে আমার নিজেকে ঢেকে রাখা উচিত কারণ আমার ফিগার ভালো না। কিন্তু আমি সত্যি এসব নিয়ে ভাবিত নই, পাত্তাও দেই না, কারণ আমি জানি কীভাবে আত্মবিশ্বাসের সাথে শর্ট ড্রেস ক্যারি করতে হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।