আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের কলকাতার মানিকতলায় স্টেজ-শো করতে গিয়ে যৌ’ন হেনস্থার শিকার হয়েছেন এক গায়িকা। তাকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযোগ আনা হয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুরজিৎ সাহা ওরফে ভানুর বিরুদ্ধে। বলা হচ্ছে, ব’ন্দুকের নলের সামনে জোর করে ওই গায়িকাকে বিবস্ত্র করার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত ভানু। ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার। পরে এই ঘটনায় মানিকতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই গায়িকা। এদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক ভানু। আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন ওই যুবতী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি-নিউজের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গণেশ পূজা উপলক্ষে মানিকতলার থানা এলাকার ২০ নম্বর মুরারিপুকুর লেনে রাতে একটি জলসার আয়োজন করা হয়। ভানু ওরফে সুরজিৎ সাহা নিজেই সে জলসার আয়োজন করেন। সেখানেই গান গাইতে আসেন ওই যুবতী। তার সঙ্গে আরো একটি ব্যান্ডও পারফর্ম করে ওই জলসায়।
শ্লীলতাহানির শিকার ওই গায়িকা জানান, তাদের শো-টাইম ছিলো রাত ১০টায়। ব্যান্ডের গানের পর রাত ১১টায় স্টেজে ওঠেন তিনি। গান শেষ করে স্টেজ থেকে যখন তিনি নামেন, তখন ঘড়ির কাঁটা রাত সোয়া ১২টা পেরিয়ে গেছে। স্টেজের পিছনেই ছিলো গ্রিনরুম। স্টেজ থেকে নেমে সেই গ্রিনরুমে গিয়েই ঢোকেন তিনি। তখন সেখানে ব্যান্ডের অন্য শিল্পীরাও ছিলেন। তার অভিযোগ, তিনি গ্রিনরুমে ঢোকার একটু পরেই সেখানে আসেন ভানু। গ্রিনরুমে ঢুকে সেখান থেকে সবাইকে বেরিয়ে যেতে বলেন। সবাই বেরিয়ে যেতেই বাইরে থেকে আটকে দেওয়া হয় গ্রিনরুমের দরজা। এমনকি যাতে কেউ ভিতরে ঢুকতে না পারে, সেইজন্য দরজার বাইরে পাহারায় থাকে দু’জন। এরপরই ফাঁকা গ্রিনরুমে তাকে যৌ’ন হেনস্থা করেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। তার ওপর জোরজবরদস্তি করা শুরু হয়। জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়। মাটিতে ফেলে দেওয়া হয় তাকে। প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ব’ন্দুকের নলের সামনে জোর করে তাকে বিবস্ত্র করার চেষ্টা করা হয়।
ওই গায়িকা জানান, বাইরে ব্যান্ডের শিল্পীরা দাঁড়িয়ে থাকলেও কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি। এরপর ‘ফ্ল্যাটে নিয়ে চলার কথা’ বলে কোনোমতে নিরস্ত্র করেন অভিযুক্ত ভানুকে। তারপরই বন্ধ গ্রিনরুম থেকে পালাতে সক্ষম হন তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে পরিচিত এক ‘দাদা’র মোটরসাইকেলে করে স্থানীয় পুলিশের কাছে যান। তখনও পিছু পিছু ধাওয়া করে ভানুর লোকজন।
অভিযুক্ত ভানু ওরফে সুরজিৎ সাহা তৃণমূল করেন বলে স্বীকার করে নিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর। ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা অভিযুক্ত ভানু। যৌ’ন হেনস্থার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় কাউন্সিলর জানিয়েছেন, তিনি তৃণমূল করেন। কিন্তু এ ধরনের ঘটনা দল সমর্থন করে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।