জুমবাংলা ডেস্ক : মৌলভীবাজারের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়ে প্রায় ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জেলার ৪০টি ইউনিয়নের ৪৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। খোলা হয়েছে ৯৮টি আশ্রয় কেন্দ্র।
কমলগঞ্জে ধলাই নদীর তিনটি স্থানে বাঁধ ভেঙে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে বিস্তৃর্ণ এলাকা। কমলগঞ্জে ধলাই নদীর সদর ইউনিয়নের চৈতন্যগঞ্জ এলাকার এবং রহিমপুর ইউনিয়নের চৈত্রঘাট ও মুন্সিবাজার ইউনিয়নের খুশালপুর গ্রামে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
ভাঙন দিয়ে পানি প্রবেশ করে নারায়নপুর, চৈতন্যগঞ্জ, বাঁধে উবাহাটা, খুশালপুর ছয়কুট, বড়চেগ, জগন্নাথপুর, প্রতাপী, গোপীনগর, আধকানী, কাঁঠালকান্দিসহ প্রায় ৪০টি গ্রামে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি ও বাড়ি ঘরে পানি প্রবেশ করছে।
মনু ও ধলাই নদীর বাঁধের ১৯টি স্থান ঝুকিপূর্ণ রয়েছে। কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে মৌলভীবাজারের ৭টি উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে কুলাউড়া পৌরসভার ৩টি ওয়ার্ড। এছাড়াও বন্যার পানি প্রবেশ করেছে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কুলাউড়া উপজেলা পরিষদ ও জুড়ী উপজেলা পরিষদে। বন্যা কবলিত এলাকার অধিকাংশ গ্রামীণ রাস্তা তলিয়ে গেছে।
আঞ্চলিক সড়কের অনেক স্থানে পানি উঠেছে। বাড়ি-ঘর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি রয়েছেন ৭ উপজেলার প্রায় ৩ লাখ মানুষ। জেলার ৪০ ইউনিয়নের ৪৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল জানান, জেলার মনু, কুশিয়ারা ও জুড়ী নদীর পানি বিপদসীমার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ধলাই নদীর পানি কিছুটা কমেছে। উজানে ভারত অংশে বৃষ্টি না হলে পানি কমতে শুরু করবে। ঝুকিপূর্ণ স্থানগুলো মনিটরিং রাখা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম বলেন, যেসব এলাকা প্লাবিত হয়েছে আমরা সবসময় তা সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে। বন্যা কবলিতদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় আমরা সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রতিটি উপজেলার ইউএনওদের নিয়ে কমিটি করা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সব প্রস্তুতি আছে।
দুপুরে দিল্লি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, কাল নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।