থাইল্যান্ডের গবেষকরা ধানের একটি নতুন জাত ডেভেলপ করেছেন যা বন্যায় বেঁচে থাকতে পারে এবং কিছু কীটপতঙ্গ প্রতিরোধ করতে পারে। থাইল্যান্ড বিশ্বের বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারক দেশগুলির মধ্যে একটি। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত আবহাওয়া পরিস্থিতি সেখানে বিরাজ করে, যেমন মারাত্নক খরা এবং ভারী বন্যা। এসব সমস্যার কারণে দেশের কৃষি খাত ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। নতুন গবেষণা বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তায় অবদান রাখতে সাহায্য করতে পারে।
থাইল্যান্ডের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সমস্যা মোকাবেলা করছে। খরা ও ভারী বন্যার কারণে তাদের শস্য উৎপাদন এবং খাদ্যের যোগান দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারসাম্য ব্যাহত হচ্ছে।
শেষ কয়েক বছরে থাইল্যান্ডের কৃষকদের অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। ভারি বন্যায় তাদের ধানের জমি তলিয়ে গেছে। তারা আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত ধান উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না।
থাইল্যান্ড এর কৃষকদের জন্য ধান উৎপাদন অনেক কঠিন হয়ে যাচ্ছে। দশ বছর ধরে থাইল্যান্ডের bio-technological institute ধানের নতুন জাত উদ্ভাবনে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।
সর্বশেষ তারা এমন ধানের জাত খুঁজে পেয়েছে যারা এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে টিকে থাকতে সক্ষম। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে থাইল্যান্ডে কৃষিকাজ ব্যাহত হচ্ছে। এজন্য তাদের ধানের এমন জাতের দরকার ছিল যেটি জলবায় পরিবর্তনের প্রভাবের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে।
সর্বশেষ থাইল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা গবেষণায় সন্তোষজনক অগ্রগতি অর্জন করেছে। পাশাপাশি পোকা-মাকড়, ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে ধান যেন নষ্ট না হয় এবং কৃষকরা যেন ঝুঁকি থেকে রক্ষা পায় সেদিকে নজর দেয়া হচ্ছে।
ধানের নতুন জাত কৃষকদের আর্থিক সচ্ছ্বলতা এনে দিতে সক্ষম। থাইল্যান্ড ধান রপ্তানিতে পৃথিবীতে শীর্ষস্থানীয় অবস্থান অর্জন করেছে। পৃথিবীর অনেক অঞ্চলে চালের চাহিদা মেটানোর জন্য থাইল্যান্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
উষ্ণতা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগকে সাথে নিয়েই থাইল্যান্ডকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ধান উৎপাদন করতে হবে। কৃষকদের আর্থিক সচ্ছলতা ও বিশ্বব্যাপী খাদ্যের চাহিদা মেটানোর জন্য এ গবেষণা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।