জুমবাংলা ডেস্ক : জুলাই আন্দোলনে হামলার ঘটনায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ছাত্রলীগের ২১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জড়িত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বৃহস্পতিবার উপাচার্য কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে রেজিস্ট্রার দপ্তরে।
স্ব স্ব বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ শেষে আগামী মাসে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ববি শিক্ষার্থীদের সভায় হামলা ও আন্দোলনকারীদের পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
অভিযোগপত্র বিশ্লেষণ এবং প্রক্টর অফিসের বিশ্বস্ত সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এর আগে ৩ ডিসেম্বর রাতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনকে জুলাই অভ্যুত্থানে হামলায় জড়িতদের বিচারসহ ১৫টি শর্ত দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা।
ছাত্রলীগের এই ২১ নেতাকর্মী ববির বিভিন্ন বিভাগের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী। ববিতে ছাত্রলীগের কমিটি না থাকলেও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে একাধিক গ্রুপে ভাগ হয়ে তারা বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করত।
মামলা হতে যাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন আইন বিভাগের অমিত হাসান রক্তিম ও মাহামুদুল হাসান তমাল, গণিত বিভাগের মোবাশ্বের রিদম ও আবিদ হাসান, মার্কেটিং বিভাগের শরীফ, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের আবুল খায়ের আরাফাত ও শরিফুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের রাকিবুল হাসান ও সাব্বির হোসেন, ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের আল সামাদ শান্ত ও খালিদ হাসান রুমি, অর্থনীতি বিভাগের সরোয়ার আহমেদ সাইফ, লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রসেনজিৎ কুমার, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের শওকত হোসেন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের ইরাজ রব্বানী। এছাড়া মামলা হতে যাচ্ছে ব্যবস্থাপনা বিভাগের ফিরোজুল ইসলাম নয়ন ও ইমরান হোসেন নাইম, আইন বিভাগের নাইম উদ্দিন ও শাখাওয়াত হোসেন অনু, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সৈয়দ রুম্মান ইসলাম ও অর্থনীতি বিভাগের মো. রাজিব মন্ডলের বিরুদ্ধে।
ববি রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম বলেন, উপাচার্য দপ্তর থেকে আমাকে চিঠি দিয়ে দুটি ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে আগামী সপ্তাহে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।