বিনোদন ডেস্ক : চলচ্চিত্রের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে গত ১৩ জুলাই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছিল। আর গতকাল বুধবার চলচ্চিত্রের ১৮ সংগঠন মিলে জায়েদ খানকে ‘বয়কট’ করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়, যা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানোর ঠিক তিন দিনের মাথায় সংগঠনগুলোর এমন সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছেন জায়েদ খান। তিনি বয়কটের সিদ্ধান্তকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যা দিয়েছেন।
দৈনিক আমাদের সময় অনলাইনকে জায়েদ খান বলেন, ‘ব্যক্তি জায়েদ খানকে কেন তারা বয়কট করল। আমাকে তারা যে চিঠি পাঠিয়েছে- সেখানে বলা হয়েছে, সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে। এখনো পাঁচ দিন সময় বাকি। তার আগেই কেন আমাকে বয়কট করা হলো। তারা আবার বলছে, এটা ১৭ সংগঠন করেছে। এর মধ্যে কি প্রযোজক সমিতি নাই? আর যদি তারাসহ সবাই বয়কট করে থাকে, তাহলে সেই চিঠির মূল্যই বা কী? তাহলে কেন আমাকে চিঠি পাঠানো হলো। এগুলো সবই নাটক।’
শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ বলেন, ‘গত কয়েক বছরে আমি শিল্পীদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েও শিল্পী ও দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। দায়িত্ব নেওয়ার পর আমি শিল্পীদের জন্য কাজ করেছি। কোনো অসৎ কাজ করিনি। এই বিষয়গুলোও তারা নিতে পারছে না। তাদের জ্বলছে।’
চিত্রনায়ক জায়েদ খান বলেন, ‘হঠাৎ কেন মিশা-জায়েদকে বয়কট। কোনো কিছু করলে সংগঠন করেছে। বয়কট করলে সংগঠনকে করুন। যে এসএমএস পাঠানোর কথা বলা হচ্ছে, সেখানে কোথাও কি জায়দ-মিশার নাম লেখা ছিল। লেখা ছিল, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। তাহলে আমাকে কেন বয়কট? এগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আগামী রোববার আমরা একটি সংবাদ সম্মেলন করব, সেখানে সবকিছু তুলে ধরবো।’
এসএমএসে কি এমন লিখেছিলেন যে, সংগঠনগুলো আপনার প্রতি এতটাই ক্ষুব্ধ? উত্তরে জায়েদ বলেন, ‘আমি শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক। শিল্পীদের দিকটা দেখাই আমার মূল দায়িত্ব। অক্টোবরে তারা যখন নীতিমালা করে, নভেম্বরে আমি তাদের জানাই, আমরা সবকিছু মেনে নিচ্ছি। কিন্তু যাতায়াতসহ কিছু পয়েন্টে সংশোধন দরকার। কনভেন্সের জায়গাটা আগের মতোই রাখতে হবে। এটি আমি এসএমএস করে তাদের জানাই। এটি আমার কথা নয়, শিল্পীদের। শিল্পীদের নেতা হিসেবে সিদ্ধান্তটা আমি সংগঠনের নামে পঠিয়েছি মাত্র। এখানে আমাকে এককভাবে টেনে আনার মানে কি? পুরো বিষয়টি নীতিমালাকেন্দ্রিক। গত বছর অক্টোবরে তারা যে নীতিমালা করেছে আমি তখন বলেছিলাম, কমিটিতে যেন অন্তত শিল্পী সমিতির সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদককে রাখা হয়। তারা সে সম্মানটুকুও দেয়নি। এরপর যখন নীতিমালা পেলাম, আমরা সবটাতেই “হ্যাঁ” বলেছি। শুধু দু-এক জায়গা পরিমার্জনের কথা বলেছি। এটা কি আমরা বলতে পারি না? শিল্পীরা তাদের সিদ্ধান্ত মৌখিকভাবে সমিতিতে জানিয়েছিল। আমরা গত বছরের নভেম্বরে কার্যকরী সমিতির মিটিংও ডাকি। সেখানে এই সিদ্ধান্তকে নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। এটা সম্পূর্ণই শিল্পী সমিতির সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত আমি মেসেজ আকারে সব শিল্পীকে জানিয়ে দিয়েছি।’
আপনার বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ- আপনি অন্যদের সম্মান দেন না। হেয় করে কথা বলেন। এমন প্রশ্নে তিনি জায়েদ খান বলেন, ‘মানুষ মুখে বলার সময় অনেক কথাই বলে। শুধু মুখে বললে হবে না। অভিযোগের প্রমাণ দিক, অভিযোগ তোলা সহজ। আমি কারও সঙ্গে কখনো বেয়দবি বা অসম্মানসূচক কোনো কথা বলিনি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



