Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home বরাদ্দ নিয়ে ‘গণভবনে’ আজীবন থাকতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
    জাতীয় স্লাইডার

    বরাদ্দ নিয়ে ‘গণভবনে’ আজীবন থাকতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা

    জুমবাংলা নিউজ ডেস্কSeptember 9, 2024Updated:September 9, 20248 Mins Read
    Advertisement

    আকবর হোসেন, বিবিসি বাংলা : ঢাকার শেরে বাংলা নগরে বিশাল জায়গা জুড়ে যে স্থাপনাটি ‘গণভবন’ নামে পরিচিত সেটি নিয়ে বিতর্ক বেশ পুরনো। বাংলাদেশের যত সরকার কিংবা রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন তাদের মধ্যে শুধু সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই গণভবনে বসবাস করেছেন। এছাড়া অন্য কোন সরকার কিংবা রাষ্ট্রপ্রধান সেখানে বসবাস করেননি। যদিও নানাবিধ রাষ্ট্রীয় কাজে গণভবন ব্যবহৃত হয়েছে।

    শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাবার পরে গণভবনের ভেতরে ঢুকে বহু মানুষ ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে, যেটি বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন।

    শেখ হাসিনা যখন ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন তখন তিনি গণভবন বরাদ্দ নিয়ে সেখানে বসবাস করতে শুরু করেন। প্রধানমন্ত্রীত্ব ছাড়ার পরেও তিনি সেখানে বাস করতে চেয়েছিলেন।

    কিন্তু তীব্র রাজনৈতিক বিতর্কের মুখে শেখ হাসিনা ২০০১ সালে গণভবন ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন।

       

    গণভবনকে এখন ‘জুলাই স্মৃতি জাদুঘরে’ রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অধ্যাপক ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার।

    এই সিদ্ধান্ত নেবার কয়েকদিন আগেই লন্ডন থেকে এক ভিডিও বার্তায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান বলেছিলেন, গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তর করা হবে, যেখানে জুলাই-অগাস্ট মাসে শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে যারা আহত-নিহত হয়েছেন তাদের স্মৃতি সংরক্ষণ করা হবে।

    ২০০১ সালে গণভবন বরাদ্দ

    শেখ হাসিনা ক্ষমতা থাকার সময় ২০০১ সালের ২০শে জুন জাতীয় সংসদে ‘জাতির পিতার পরিবার সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন ২০০১’ সংসদে পাশ হয়। এর কয়েক সপ্তাহ পরেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে তার ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা ছিল।

    এই আইনে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে আজীবন এসএসএফ দ্বারা নিরাপত্তা দেয়া, পৃথক আবাসন বরাদ্দ ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা দেয়ার কথা বলা হয়।

    ২০০১ সালের দোসরা জুলাই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় শেখ হাসিনাকে গণভবন বরাদ্দ দেয়া হয়।

    এই আইনের ক্ষমতাবলে শেখ হাসিনাকে গণভবন এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানাকে ধানমন্ডির ছয় নম্বর সড়কে এক বিঘার একটি সরকারি বাড়ি বরাদ্দ দেয়া হয়।

    তৎকালীন বিভিন্ন সংবাদপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে পূর্ত মন্ত্রণালয় বাড়ি বরাদ্দের প্রস্তাব উত্থাপন করে।

    সেখানে বলা হয় গণভবন তার ব্যক্তি মালিকানাধীন হবে না, সরকারি মালিকানাধীনই থাকিবে। শেখ হাসিনাকে গণভবন বরাদ্দ দেবার কারণ হিসেবে তার নিরাপত্তার বিষয়টিকে উল্লেখ করা হয়।

    ‘প্রধানমন্ত্রীকে যে হত্যার হুমকি দেয়া দেয়া হয়েছে তাতে নিরাপত্তা কর্মীরা মনে করেন, গণভবনই তার থাকার জন্য উপযুক্ত স্থান,’ তৎকালীন মন্ত্রিসভায় এ যুক্তি তুলে ধরা হয়, যেটি বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে।

    মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরো বলা হয়, গণভবন শেখ হাসিনা থাকার আগে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ছিল। শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে এটির নাম ‘গণভবন’ ছিল।

    পরে সেটিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন করা হয়। এরপর ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর সেটির নাম আবারো ‘গণভবন’ করা হয়।

    মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, শেখ হাসিনা গণভবনে থাকবেন এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা ১৯৮১ সালে ১২ই জুন মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিধবা স্ত্রী খালেদা জিয়া যেসব সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন সেগুলো পাবেন।

    মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, শেখ রেহানা তার নামে বরাদ্দ করা সরকারি বাড়িতে বসবাসের উপযোগী লোকবল ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন।

    লোকবলের মধ্যে একজন গাড়ি চালক, ব্যক্তিগত সহকারী, বাবুর্চি, মালি, ঝাড়ুদার ও দুইজন বেয়ারার থাকবে। এছাড়া জ্বালানিসহ একটি গাড়ি, সরকারি খরচে টেলিফোন, বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস বিল দেয়া হবে।

    গণভবন নিয়ে বিতর্ক

    শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না থাকলেও গণভবনে বসবাসের জন্য যে বরাদ্দ নিয়েছিলেন, সেটি নিয়ে তখন বেশ বিতর্ক তৈরি হয়। সবচেয়ে বেশি শোরগোল তৈরি হয় বিএনপির তরফ থেকে।

    এই বরাদ্দ দেবার কিছু দিন পরে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে শেখ হাসিনার গণভবনে থাকা নিয়ে আপত্তি তোলেন।

    তখন খালেদা জিয়াকে উদ্ধৃত করে ইত্তেফাক পত্রিকা শিরোনাম করেছিল, “নির্বাচন করিতে চাহিলে গণভবন ছাড়ুন।”

    খালেদা জিয়া বলেন, শেখ হাসিনা যদি নির্বাচনে অংশ না নেয় তাহলে তিনি গণভবনে থাকতে পারেন। তাহলে বিএনপির কোন আপত্তি নেই। কিন্তু শেখ হাসিনা যদি নির্বাচনে অংশ নিতে চান তাহলে গণভবন ছাড়তে হবে।

    তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ঘনিয়ে আসছিল।

    ‘গণভবন ছাড়িয়া বাহির হইয়া আসিলে তিনি যেসব সমস্যার সৃষ্টি করিয়া গিয়াছেন, সেগুলোর সমাধান একসঙ্গে বসিয়া কথা বলিতে রাজি আছি,’ খালেদা জিয়াকে উদ্ধৃত করে লিখেছিল দৈনিক ইত্তেফাক।

    তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা নেবার পরে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া তৎকালীন প্রধান উপদেষ্টা লতিফুর রহমানের সাথে বৈঠক করে শেখ হাসিনার নামে গণভবন বরাদ্দ বাতিল করার দাবি জানান।

    বিএনপি যখন শেখ হাসিনাকে গণভবন ছেড়ে দেবার জন্য রাজনৈতিক চাপ তৈরি করেছিল, তখন আওয়ামী লীগও পাল্টা কৌশল অবলম্বন করে।

    আওয়ামী লীগের তরফ থেকে দাবি তোলা হয় খালেদা জিয়া যাতে তার সেনানিবাসের বাড়ি ছেড়ে দেন।

    এমন অবস্থায় শেখ হাসিনার সরকারের মেয়াদের একেবারে শেষ দিকে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার ঢাকা সেনানিবাসের ভেতরে বাড়ির ইজারা বাতিল করার জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

    তৎকালীন পত্রপ্রিকার খবরে বলা হয়, ১৯৮১ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের মন্ত্রিসভার খালেদা জিয়া ও তার দুই ছেলেকে ১০ লক্ষ টাকা নগদ ও অন্যান্য সুবিধা দিয়ে ঢাকা সেনানিবাসে শহীদ মইনুল রোডের বাড়িটি রেজিস্ট্রিকৃত দলিলের মাধ্যমে কিছু শর্তে ইজারা দেয়া হয়।

    বাড়িটিতে জমির পরিমাণ ছিলে দুই দশমিক ৭২ একর। এই বাড়িতে সেনাপ্রধান ও পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বসবাস করতেন।

    খালেদা জিয়ার বাড়ির বরাদ্দ বাতিল করা হবে না কেন এই মর্মে দুটো কারণ দর্শানোর নোটিস জারি করেছিল।

    এসব নোটিশ জারি করেছিল তৎকালীন মিলিটারি এস্টেট অফিস। এসব নোটিসের মধ্যে বলা হয়, খালেদা জিয়া বাড়ি ইজারার শর্ত ভঙ্গ করেছেন।

    গণভবন নিয়ে রিট দায়ের

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণভবন বরাদ্দ দেবার বিষয়টিকে আইনগতভাবে চ্যালেঞ্জ করার প্রস্তুতি নেয় বিএনপি। তখন তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা নিলে মামলা দায়ের করা হবে।

    অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি লতিফুর রহমানের নেতৃত্ব তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা নেবার পর শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার নিরাপত্তা আইন ও গণভবন বরাদ্দের বিরুদ্ধে রিট দায়ের করে বিএনপি।

    দলটির তৎকালীন মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভুঁইয়া এ রিট আবেদন দায়ের করেছিলেন। এই রিট আবেদন দায়ের করার কয়েকদিনের মধ্যে হাইকোর্ট একটি রুল জারি করে।

    বিএনপি তাদের রিট পিটিশনে উল্লেখ করেছিল, ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগনের নিরাপত্তা আইন’ বৈষম্যমূলক এবং অসাংবিধানিক।

    এই আইনটি সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী বলে উল্লেখ করা হয়। বিএনপি যুক্তি দিয়েছিল যে আইনটি দেশের সকল নাগরিকের বিপরীতে কেবল দুইজনের জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে।

    রিট পিটিশনে বলা হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় এই আইন বলবৎ থাকলে আওয়ামী লীগ প্রাধান্য পাবে। ফলে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ কলুষিত হবে।

    যদিও এই রিট নিয়ে খুব বেশি অগ্রগতি হয়নি।

    এরই মধ্যে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ও হয়ে যায়। ২০০১ সালের অক্টোবর মাসে নির্বাচনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় আসে বিএনপি।
    এরপর ডিসেম্বর মাসে ‘জাতির পিতার পরিবার সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন ২০০১’ বাতিল করা হয়।

    গণভবন ছেড়ে যাওয়া

    ব্যাপক রাজনৈতিক বিতর্কের পটভূমিতে শেখ হাসিনা গণভবন ছেড়ে দেবার সিদ্ধান্ত নেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার এক মাসের মধ্যেই শেখ হাসিনা গণভবন ছেড়ে দেন।এরপর ২০০১ সালে ১৬ই অগাস্ট তিনি গণভবন ছেড়ে যান।

    শেখ হাসিনা যখন গণভবন ছেড়ে যাচ্ছিলেন তখন তিনি বিএনপি নেতা খালেদা জিয়াকে সেনানিবাসের বাড়ি ছেড়ে দেবার আহবান জানান।

    শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা তখন লিখেছিল, “তিনি (খালেদা জিয়া) বলেছিলেন আমি গণভবন ছাড়লেই নাকি আমার সাথে আলোচনা করবেন। এখন তিনি ১০১ টাকা দিয়ে সেনানিবাসের যে বাড়ি নিয়েছেন তা ফেরত দিলেই আলোচনা হতে পারে।”

    গণভবন ছাড়ার সময় শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের আরো বলেছিলেন, ‘বাড়ি নিয়ে এতো কথা শুনতে ভালো লাগে না। নেই নাই, নিলাম না।’

    শেখ হাসিনা তখন দাবি করেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে গণভবন ১০১ টাকার প্রতীকী মূল্যে বাড়ি কিনে নেবার প্রস্তাব উঠেছিল।

    ‘আমি ঐ প্রস্তাব গ্রহণ করিনি। আমি বলেছিলাম, আমার শুধু থাকার জায়গা হলেই চলবে। সিকিউরিটির লোকেরা বিভিন্ন বাড়ি সার্ভে করে সুগন্ধা, যমুনা বা করতোয়া আমার বসবাসের জন্য নির্ধারণ করে। যমুনার মতো বিলাসবহুল বাড়ির পরিবর্তে আমি করতোয়াকে (পরবর্তীতে গণভবন) বেছে নেই,’ সাংবাদিকদের বলেছিলেন শেখ হাসিনা।

    পরে ২০০১ সালে গণভবন ছেড়ে যাবার সময় শেখ হাসিনা দাবি করেছিলেন, গণভবন প্রধানমন্ত্রীর বাসস্থান হিসেবে চিহ্নিত ছিল না।

    তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, যদি সেটি প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি হিসেবে চিহ্নিত থাকে তাহলে শাহ আজিজ, মওদুদ আহমদ ও খালেদা জিয়া গণভবন ব্যবহার করেননি কেন?

    গণভবনের ইতিবৃত্ত

    বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের সময় গণভবন নির্মাণ করা হয়। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান সেখানে বসবাস করতেন না। তিনি পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের বাড়িতে, যেটি পরবর্তীতে ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর’ করা হয়েছিল।

    ২০০১ সালে শেখ হাসিনা তখন বলেছিলেন, শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট থাকাকালে গণভবন অফিসের কাজে ব্যবহার করতেন।

    মূলত বিকেল-সন্ধ্যাকালীন অফিস হিসেবে এটি ব্যবহৃত হতো। শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডের পর এই গণভবন অনেকটা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল বলে জানা যায়।

    জেনারেল এরশাদ ক্ষমতায় থাকার সময় ১৯৮৫ সালে গণভবন সংস্কার করে সেটিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘করতোয়া’ নামকরণ করা হয়।

    বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানদের জন্য এই অতিথি ভবন ব্যবহার করা হতো। এই ভবনে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী ঢাকা সফরের সময় অবস্থান করেছিলেন বলে জানা যায়।

    এরপর অতিথি ভবন ‘করতোয়া’ রাষ্ট্রীয় কাজে কিছু ব্যবহার হয়েছিল।

    কিন্তু ১৯৯৬ সালে নির্বাচনে জয়লাভের পর প্রধানমন্ত্রী হয়ে শেখ হাসিনা গণভবনে বসবাস শুরু করেন। তখন সেটির নামকরণ করা হয় আবারো ‘গণভবন’ নামে, ২০০১ সালে শেখ হাসিনা গণভবন ছেড়ে যাবার পর কয়েক বছর সেটি আর ব্যবহৃত হতে দেখা যায়নি।

    এরপর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনা প্রথমে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উঠেছিলেন।

    গণভবণ সংস্কার শেষে ১৪ মাস পরে ২০১০ সালের মার্চ মাসে শেখ হাসিনা সেখানে বসবাস করা শুরু করেন।

    শেখ হাসিনার শাসনামলের বেশির কাজ গণভবন থেকে পরিচালিত হতো।

    বিশেষ করে ২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের পর তেঁজগাও এলাকায় অবস্থিত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তিনি খুব একটা অফিস করেননি। গণভবনে বসেই তিনি সরকারি কাজ এবং দলীয় বিভিন্ন সভা করেছেন।

    পাঁচই অগাস্ট যখন ছাত্র-জনতা গণভবনের দিকে এগিয়ে আসতে শুরু করে, তখন তিনি এই গণভবন থেকে রওনা দিয়ে কুর্মিটোলা বিমানবন্দর দিয়ে ভারতে চলে যান।-বিবিসি বাংলা

    মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন, দুই সেনাসদস্যের ভূয়সী প্রশংসা করলেন সেনাপ্রধান

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘জাতীয় আজীবন গণভবনে চেয়েছিলেন: থাকতে নিয়ে, প্রভা বরাদ্দ শেখ স্লাইডার হাসিনা
    Related Posts

    খাগড়াছড়ির বর্তমান পরিস্থিতি সন্তোষজনক : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

    September 29, 2025

    বিমান বাহিনীর ৭৪তম ফ্লাইট সেফটি অফিসার্স কোর্সের সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত

    September 29, 2025
    সরকারি ছুটি

    চলতি বছর আর কয়টি ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা?

    September 29, 2025
    সর্বশেষ খবর

    খাগড়াছড়ির বর্তমান পরিস্থিতি সন্তোষজনক : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

    বিমান বাহিনীর ৭৪তম ফ্লাইট সেফটি অফিসার্স কোর্সের সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত

    Maryland shoplifting surge

    Maryland Sees Sharp Rise in Shoplifting Incidents

    Super Bowl 2026 Halftime Show

    Where Will the Super Bowl Be in 2026? Everything We Know So Far

    social impact leadership

    How Colombia’s Juan Pablo Alvarado Herrera Became OD Young Person of the Month

    Apple external monitors

    Apple’s New Displays Enter Mass Production for Imminent Launch

    ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত

    when is the super bowl 2026

    When Is the Super Bowl 2026? Everything We Know So Far

    চট্টগ্রাম ও বরিশালে বিকাশ-বিজ্ঞান চিন্তার আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ‘বিজ্ঞান উৎসব’

    How to Create Email List

    How to Create Email List Without Website: Proven Strategies

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.