সোমবার সকালে এই ঘটনা ঘতে। নির্যাতিতার বয়ান নিতে সর্বশেষ রাত ৯টায় কাজিরহাট থানা পুলিশের একটি টিম হাসপাতালে অবস্থান করছেন।
তিন মাস আগে এক যুবকের সাথে বিয়ে হলেও নির্যাতিতা আন্ধারমানিক ইউনিয়নে বাবার বাসায় অবস্থান করছিলেন।
ধর্ষণে অভিযুক্তরা হলেন- কাজিরহাটের বাসিন্দা হালান আকনের ছেলে নাজমুল হোসেন, দুলাল বেপারীর ছেলে বাবু বেপারী এবং হাসান ফকিরের ছেলে রাজিব ফকির।
নির্যাতিতার ভগ্নিপতি বলেন, রোববার গভীর রাতে প্রতিবেশী বাবু আমার শ্যালিকাকে ডেকে বাহিরে নেয়। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শ্যালিকাকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে বাবু, রাজিব ও নাজমুল পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ওই রাতে তাকে উদ্ধার করার পর স্থানীয় মেম্বর শাহ পরান ভূঁইয়া অর্থের বিনিময়ে মীমাংসার চেষ্টা চালান।
পরে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নির্যাতিতা বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে কাজিরহাট থানার ওসি অসীম কুমার সিকদার জানান, খবর পেয়ে সাথে সাথে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল ও পরিদর্শকের (তদন্ত) নেতৃত্বে অপর একটি টিম হিজলা উপজেলা হাসপাতালে পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু নির্যাতিতার জ্ঞান না ফেরায় তার বয়ান নেয়া সম্ভব হয়নি। বয়ান নিতে একটি টিম হাসপাতালে অবস্থান করছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরসহ অভিযুক্তদের আটকে পুলিশের অভিযান চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।