জুমবাংলা ডেস্ক : নাটোরের বড়াইগ্রামের মানিকপুর মুন্সীপাড়ায় উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল চাঁদনী খাতুন (১৬) নামে এক কিশোরী। অপরদিকে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাল্যবিয়ের অভিযোগে উপজেলার বাহিমালি গ্রামে অপ্রাপ্ত বয়স্ক বরের চাচাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারিয়াম খাতুন এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের শামসুল হকের অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে শাকিল আহমেদের (১৮) সঙ্গে একই এলাকার বাহিমালি গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে সুমী খাতুনের (২৫) বিয়ের দিন ধার্য ছিল। খবর পেয়ে ইউএনও বাহিমালি গ্রামে কনের বাড়িতে যান। কিন্তু তিনি পৌঁছার আগেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যায়। পরে বাল্যবিয়ের অভিযোগে বরের চাচা মজিবর রহমানকে তাৎক্ষণিক ৩০ হাজার টাকা নগদ জরিমানা করা হয়েছে।
নারী ইউপি সদস্যকে ধ’র্ষণ-হত্যার পর জানাজাও পড়ে ঘাতক
অপরদিকে একই সময়ে উপজেলার মানিকপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের মেয়ে চাঁদনী খাতুনের (১৬) বাল্যবিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। খবর পেয়ে ইউএনও মারিয়াম খাতুন সেখানে অভিযান চালিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন। এ সময় কনের বাবা প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দিবেন না মর্মে লিখিত মুচলেকা দেন।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা খাতুন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। অপর ঘটনায় মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হলেও বরের সরকার নির্ধারিত বিয়ের বয়স হয়নি। এ কারণে বরের সঙ্গে থাকা অভিভাবক হিসেবে তার চাচার জরিমানা করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।