জুমবাংলা ডেস্ক: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ নয়, সরকারের বশংবদরা বেহেশতে আছে। আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারাও এখন কোটিপতি। লক্ষ কোটি টাকা লুটপাট করে যারা বিদেশে টাকা পাচার করেছে, যারা বিদেশে অট্টালিকা তৈরি করেছে তারা বেহেশতে আছেন।’
‘তবে সেই বেহেশত সাদ্দাদের বেহেশত। অচিরেই ভেঙে খান খান হয়ে যাবে,’ যোগ করেন তিনি।
আজ (১৩ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে আরাফাত রহমান কোকোর ৫৩ তম জন্মদিন উপলক্ষে জিয়া মঞ্চ আয়োজিত আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলে রিজভী এই মন্তব্য করেন।
‘বাংলাদেশের মানুষ বেহেশতে আছে’ বলে মন্তব্য করার পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন দেশবাসীর কাছে কৌতুক অভিনেতায় পরিণত হয়েছেন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মোমেন সাহেব, আপনি তো বাজারে যান না, রিকশাওয়ালার কথা শোনেন না, গরিব মানুষের কথা শোনেন না। একটা ডিমের দাম এখন সাড়ে ১২ টাকা, এক হালি ডিমের দাম পঞ্চাশ টাকা, এক কেজি ইলিশ কিনতে দুই হাজার টাকা লাগে। সবজি বাজারে এখন আগুন, মানুষ চাল-ডাল-সবজি কিনতে পারছে না। অভাবের তাড়নায় মানুষ সন্তান বিক্রি করছে। জনগণ আপনাদের তৈরি করা আগুনে জ্বলেপুড়ে মরছে।’
তিনি আরও বলেন, মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্তরা এখন হাহাকার করছে। এগুলো গণমাধ্যমে আসছে। যদিও গণমাধ্যম চাপে আছে। তারপরেও অনেক কিছু গণমাধ্যমে উঠে আসছে। গোটা দেশে এখন দুর্ভিক্ষের ছায়া। আপনারা বেহেশতের কথা বলে অহংকার করেন, জনগণের টাকা হরিলুট করে আপনাদের অনেক টাকা, আপনারা বেহেশতে থাকতে পারেন, কিন্তু জনগণ আপনাদের দুঃশাসনের নরকে আছে। মোমেন সাহেব, আপনার এই বক্তব্য ক্ষুধার্ত জনগণের সাথে চরম রসিকতা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আপনারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে রাজপথ দখলের হুমকি দেন, যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী না থাকে তাহলে আপনারা রাজপথ থেকে ভীত শৃগালে মতো পালিয়ে যাবেন। বিএনপির নোত-কর্মীদের গুম করে, খুন করে, বিচারবহির্ভূত হত্যা করে, দেশের সম্পদ হরিলুট করে, চুরি করে আপনারা অহংকার দেখাচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া মাঠে নামলে আপনারা তুলার মতো উড়ে যাবেন।
তিনি বলেন, আপনারাতো জনগণের অধিকার ডাকাতি করেছেন। আপনি এত বড় কথা বলেন, আপনার নেত্রীকে এক এগারোতে যখন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, কই তখনতো রাজপথে একটি মিছিল করতে পারেননি। ৫০০ লোক নিয়ে রাস্তায় নামতে পারেননি। ১৫ আগস্টের সময়তো আপনি (কাদের) ছাত্রনেতা, কই তখনতো আপনি রাস্তায় নামেননি। আপনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে গুলি করে রাজপথ দখলে রাখবেন, যেভাবে গুলি করে নুরে আলমকে হত্যা করা হয়েছে, আব্দুর রহিমকে হত্যা করা হয়েছে। গুলি করে, হত্যা করে, নির্যাতন করে আর জনগণকে দমিয়ে রাখা যাবে না। আপনাদের পতন কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।
আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, ফয়েজ উল্লাহ ইকবাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু তালেব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।