জুমবাংলা ডেস্ক : বসুন্ধরা আবাসিকের বাড়ি বা ফ্ল্যাটের মালিকেরা গত ছয় বছর ধরে হোল্ডিং ট্যাক্স দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ট্যাক্স আদায়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) ইতিমধ্যে নোটিশ দেওয়া শুরু করেছে। বাড়ি বা ফ্ল্যাটের মালিকেরা এতে ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছেন বলে ডিএনসিসি জানিয়েছে।
তবে বসুন্ধরা আবাসিকের ফ্ল্যাট বা বাড়ির মালিকদের কাছ থেকে নিয়মিত অর্থ আদায় করছে বসুন্ধরা গ্রুপ। এর পরিমান বছরে ৫০ কোটি টাকা। বসুন্ধরা ওয়েলফেয়ার সোসাইটির নামে এই অর্থ তোলা হয়। পরে তারা এই অর্থ বসুন্ধরা গ্রুপের হাতেই তুলে দেয়।
জানা গেছে, গত ৬ বছরে ৩০০ কোটি টাকার বেশি তুলেছে বসুন্ধরা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। সোসাইটিকে আবাসিক ভবনের প্রতি বর্গফুটের জন্য মাসে ৬০ থেকে ৮০ পয়সা এবং বাণিজ্যিক ভবনের জন্য ১ টাকা ৮০ পয়সা দিতে হয়। সেই হিসাবে ১১ হাজার ফ্ল্যাট ও ভবন মালিকের কাছ থেকে বছরে ৫০ কোটি টাকারও বেশি আদায় করে বসুন্ধরা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি।
বসুন্ধরা আবাসিকের ভবন ও ফ্ল্যাটের মালিকেরাই বলছেন, রাজউকের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। তবে সিটি করপোরেশনের মধ্যে থাকতে হয় বলে অবশ্যই ডিএনসিসিকে ট্যাক্স দেওয়া উচিত। তবে বসুন্ধরায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো বলে তাঁরা স্বীকার করছেন। কিন্তু বসুন্ধরার পক্ষ থেকে ঘুরিয়ে যে অর্থ নেওয়া হয় তা আসলে অতিরিক্ত বলে তাঁরা মনে করেন। তাঁদের অভিযোগ, এখানে বাস করে বসুন্ধরার বিপক্ষে কথা বলা যায় না। তারা যেটা ভালো মনে করে সেটাই করে। বসুন্ধরা আবাসিকের ভবন ও ফ্ল্যাটের মালিকদের আশা, সরকার যদি বসুন্ধরায় হস্তক্ষেপ করে তাহলে এদের দাপট কিছুটা কমবে।
হোল্ডিং ট্যাক্সের ব্যাপারে ডিএনসিসি জানিয়েছে, বসুন্ধরা আবাসিকের ফ্ল্যাট ও বাড়ির মালিকদের ২০১৮ সাল থেকে ট্যাক্স দিতে হবে। মালিকদেরই পরিশোধ করতে হবে এই ট্যাক্স। ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, ‘বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষের একটা কথা ছিল যে, রাজউক তাদের এখনো প্রজেক্ট হ্যান্ডওভার করেনি। আমরা দেখেছি, বসুন্ধরার অনেকগুলো ব্লকের নির্মাণকাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। সেগুলোতে আমরা ট্যাক্স আদায়ের কাজ করতে পারি। আমরা সেসব ব্লকে নোটিশ দিচ্ছি, বাসিন্দারা সাড়াও দিচ্ছে।’
এদিকে, বসুন্ধরা গ্রুপের দাবি, সিটি করপোরেশনকে ট্যাক্স না দেওয়ার অনুমতি রাজউকই দিয়েছে। আর ওয়েলফেয়ার সোসাইটি বলছে, মালিকদের কাছে থেকে যে টাকা নেওয়া হয়েছে তা দিয়ে আবাসিকের উন্নয়নে খরচ করেছে গ্রুপ। বসুন্ধরা ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম বলেন, ‘আইন অনুযায়ী ট্যাক্স ধার্য করলে তাতে সাড়া দেবে বসুন্ধরা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। কাউকে অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে না। ওয়েলফেয়ার সোসাইটি টাকা আদায় করে উন্নয়নের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে দিয়ে দেয়। সমন্বয় করে কাজ করা হয়।’
ভবন ও ফ্ল্যাটের মালিকেরা বলছেন, বাড়ি তৈরির সময় উন্নয়নের নামে টাকা নেয় বসুন্ধরা। প্লট বা ফ্ল্যাট বিক্রি করতে গেলেও টাকা দিতে হয়। এরপরও প্রতি মাসে ফি নিচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপ। কিন্তু সিটি করপোরেশন কিছুই পায় না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।