প্রশ্ন: আমার বয়স ৩৫ বছর। আসলে আমার জীবনে এখন নেমে এসেছে গভীর অন্ধকার। স্বামী আমার থেকে ৭ বছরের বড়। তবে দেখা গেল যে মানুষটি তাঁর বসের সঙ্গে প্রেম করছে। আর এটা আমি ঠিক কি করে করে মেনে নেব বলুন তো।
এই বিষয়টা নিয়ে আমি স্বামীর (Husband) সঙ্গে কথা বলেছি। ও জানায়, বস ওকে বাধ্য করছে সম্পর্কে থাকতে। এমনকী শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্যও তাঁকে বাধ্য করা হয়েছে। আসলে তাঁরা একটা আন্তর্জাতিক টুরে গিয়েছিলেন। তখন এই ঘটনা ঘটে। আসলে ওর কেরিয়ার নির্ভর করছে এই মানুষটির উপর। তাই স্বামী প্রোমোশনের কথা ভেবেই নাকি একবার এই বিষয়ে হ্যাঁ করেছিলেন। তবে এরপর থেকে রোজকার রোজ এই সমস্যা শুরু হয়েছে। এখন রোজই বস চায় ওর সান্নিধ্য।
আসলে স্বামী খুব ভালোবাসে আমায়। তাই ও আমায় গোটা বিষয়টি সত্যি করে বলে দিয়েছে। তবে এখন ওর কিছুই করার নেই। কারণ ও ভয় পাচ্ছে যে কিছু করতে গেলেই চাকরি চলে যেতে পারে। আসলে ওর বস হল খুবই ক্ষমতাবান এক মহিলা। সে চাইলেই ওর চাকরি নিয়ে নিতে পারে।
আমি অবশ্যই বিষয়টিকে মেনে নিইনি। আমি ওকে এর জন্য কথা শুনেয়েছি। বলেছি এভাবে চলতে থাকলে সম্পর্ক থেকে আমি বেরিয়ে যাব। এবার আমি বুঝতে পারছি না ঠিক কী সমস্যা হতে পারে এর থেকে, এমনকী ও যে এর থেকে বেরনোর জন্য কী করবে, তাও বুঝতে পারছি না। এবার কোনও ব্যক্তি যদি আমায় পরামর্শ (Relationship Tips) দেন খুব ভালো হয়।
বিশেষজ্ঞের উত্তর
এই প্রসঙ্গে সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ রচনা খান্না সিং বলেন, আমাদের কাছে প্রশ্ন করার জন্য ধন্যবাদ। আমি বুঝতে পারছি যে আপনি ও আপনার স্বামী খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। তবে এই সমস্যার কোনও একটি সমাধান এভাবে বলা যায় না। এখানে আমায় জনতে হবে যে আপনি কী চান? আপনি কি স্বামীকে এই কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা করে দিতে পারবেন?
উনি কী চাইছেন বুঝুন
আসলে তিনি যখন আপনার সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছেন, তখন একটা বিষয় বুঝে নিতে হবে যে উনি একটা সমাধান চাইছেন। এবার আপনাকে নিজের সন্তানের কথাও ভাবতে হবে। এই অবস্থায় দেখুন যদি তাঁকে ক্ষমা করা যায়। এখানে দুটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। এক্ষেত্রে উনি মিথ্যে বলতে পারেন গোটা বিষয়টি নিয়ে। তবে এটা হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম। এই পরিস্থিতিতে আপনি তাঁকে ক্ষমা করে দিতেই পারেন। এমনকী ফিরে যেতে পারেন পুরনো জীবনে। তবেই সমস্যা মিটবে।
অফিসের সমস্যা
আসলে অফিসে আপনার স্বামীকে অনেক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এক্ষেত্রে চাকরি চলেও যেতে পারে ওনার। তবে আপনাকে অবশ্যই তাঁর পাশে থাকতে হবে। উনি যদি চাকরি ছাড়ার বিষয়ে কথা বলতে থাকেন, তবে তাঁর পাশে থাকুন। তাঁকে বোঝান যে নতুন চাকরি পাওয়াটা খুব বেশি সমস্যার হবে না।
এছাড়াও আপনি তাঁকে বলতে পারেন যে যেটা ওনার সঙ্গে ঘটেছে, তা ঠিক নয়। এমনকী এর থেকে যে সমস্যা তৈরি হয়ে যেতে পারে এটাও বলতে হবে। পাশাপাশি উনি যে চাকরিক্ষেত্রে সমস্যার শিকার এই বিষয়টাও তাঁর মাথায় থাকার দরকার। তবে সবথেকে বেশি প্রয়োজন হল পাশে থাকার।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নিন
এই সময়ে আপনাকে অবশ্যই নিজের ভালোটা বুঝতে হবে। তাই নিজে থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার তুলনায় একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ফেলা দরকার। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ খুব সহজেই সমস্যা থেকে আপনাকে বের করে আনতে পারেন। তাই ভয়ের কিছুই নেই। বরং সতর্ক হয়ে যান। এমনকী এখনই পরামর্শ নেওয়ার চেষ্টা করুন।
প্রতিবেদন সৌজন্যে: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।