জুমবাংলা ডেস্ক : বিভিন্ন পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি গুরুত্বপূর্ণ ফল হল শসা। এতে প্রায় ৯৫ শতাংশ জল থাকে। তাই জন্য গরমকালে শসা খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। শসা শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ রয়েছে। এমনকি ডাক্তারও শরীরের বিভিন্ন উপকারের জন্য শসা খেতে বলেন। ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, কপার, ভিটামিন কে, সি যুক্ত এই ফল আমাদের পেট, ত্বক,চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও ওজন কমাতে সাহায্য করে।কিডনিতে পাথর,কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ একাধিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে শসা।
তাই আমাদের নিত্যদিনই বাজার চলতি শসা কিনে আনতে হয়। কিন্তু আজকের এই প্রতিবেদনে বাজার থেকে না কিনে কীভাবে ঘরেতেই পর্যাপ্ত পরিমাণে শসা উৎপাদন করা সম্ভব সেই বিষয়ে আলোচনা করা হল। এই পদ্ধতিতে কোনো বড় বাগানের প্রয়োজন পড়বে না। শুধুমাত্র বস্তার মধ্যে মাটি ভরেই চাষ করতে পারা যাবে শসার।
১) প্রথমেই একটি সিমেন্টের বস্তা নিয়ে তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে দোআঁশ মাটি এবং গোবর সার মিশিয়ে মাটি তৈরি করে নিতে হবে। এই মাটিতে শসা খুব ভালো উৎপাদন হয়।
২) এরপর বাজার থেকে ভালো মানের শসার বীজ কিনে এনে মাটির একটু ভিতর দিক করে বীজগুলি পুঁতে দিতে হবে।
৩) মাটিতে নিয়মিত জল দেওয়া প্রয়োজন। দেখা যাবে সাত আট দিনের মাথায় ছোট ছোট চারা গাছ বেরিয়েছে। চারা গাছ বেরোনোর পনেরো থেকে কুড়ি দিন খুবই যত্নের প্রয়োজন। এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সূর্যালোক এবং জলের প্রয়োজন। না হলে গাছ পুষ্টি পাবে না।
৪) এরপরের পর্যায়ে গাছের উপযুক্ত বৃদ্ধির জন্য বেশ কিছু জৈব সার প্রয়োগের প্রয়োজন। তাই বাজার থেকে জিঙ্ক, কপার, সালফেট, ফসফরাস, সীসা, অ্যামনিয়া যুক্ত জৈব সার কিনে এনে গাছের গোড়ায় প্রয়োগ করতে হবে।
৫) যেহেতু শসা গাছ একটু লতানে হয় তাই গাছ একটু বড় হলেই চারদিকে বাঁশ এবং সুতোর সাহায্যে মাচা তৈরি করে দিতে হবে।
৬) এরপর প্রায় পঞ্চাশ দিনের মাথায় দেখা যাবে শসা গাছের সম্পূর্ণরূপে বৃদ্ধি ঘটেছে এবং গাছ ভর্তি ফল ধরেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।