ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে স্পেসস্টেশনে নভোচারীদের ভিডিও দেখা যায়। এখন পর্যন্ত এই ইন্টারনেটের গতি খুব ধীর। ইন্টারনেট সংযোগের জন্য রয়েছে বিশেষ নেটওয়ার্ক। এই নেটওয়ার্ক তথ্যের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ ও পরিচালনের কাজে নিয়োজিত স্যাটেলাইটের মাধ্যমে কাজ করে।
তথ্য আদান–প্রদানের এই একই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে নাসা স্পেসস্টেশনের নভোচারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। মাত্র পাঁচ বছর আগে নভোচারীদের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা অনুমোদন করা হয়। নাসা মনে করে, মহাশূন্যে নভোচারীদের একাকিত্ব দূর করা ও জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য সৃষ্টির জন্য এর প্রয়োজন আছে।
এখন নভোচারীরা স্পেসস্টেশনে ল্যাপটপও ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো এই যুগেও কেন মহাকাশে ইন্টারনেট ধীরগতিতে চলে? কেন ভূপৃষ্ঠে প্রচলিত ব্রডব্যান্ডের মতো বেশি গতিতে চলে না? এর প্রধান কারণ হলো মহাকাশ থেকে কোনো নভোচারী ওয়েবসাইটের কোনো লিংকে ক্লিক করলে প্রথমে সেটা পৃথিবীর সঙ্গে সংযোগ সাধনকারী স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কে যায়।
এই নেটওয়ার্ক কাজ করে পৃথিবী থেকে প্রায় ২০–২৫ হাজার মাইল উঁচুতে। এরপর সেই সংকেত যায় পৃথিবীর নির্দিষ্ট কোনো গ্রাহকের কাছে এবং এরপর আবার একই পথে তথ্যের সংকেত ফেরত যায়। তবে নাসা লেজার বিম ব্যবহার করে মহাশূন্যে ইন্টারনেটের গতি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।