জুমবাংলা ডেস্ক : বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করেছেন এক তরুণী। এ খবর জেনে পালিয়েছে প্রেমিক। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ঝলই শালশিড়ি ইউনিয়নের কালিয়াগঞ্জ গ্রামে।
এ বিষয়ে খোঁজ নিতে শনিবার (২ জানুয়ারি) কালিয়াগঞ্জ গ্রামে যায় বাংলাদেশ জার্নালের প্রতিনিধি। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হবিবর রহমানের বাসার আঙিনায় অবস্থান করছে ওই প্রেমিকা।
এ সময় ওই তরুণী প্রতিনিধিকে বলেন, ‘প্রাইভেট পড়তে এসে দেড় বছর আগে প্রেমিক হান্নানের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। একপর্যায়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ধীরে ধীরে প্রেমিক হান্নানের সঙ্গে গোপন সম্পর্কও হয়। গত দেড় বছরে অনেকবার হান্নান রাতে তার বাসায় গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়।’
ওই তরুণী অভিযোগ করেন, ‘কয়েকবার তার গর্ভপাত ঘটানো হয়। কিছুদিন আগে প্রেমিক হান্নান সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য মেরিনার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। পরে ওই ইউপি সদস্যের সঙ্গে বোদা উপজেলার ময়দানদিঘি বাজারে গাইনি চিকিৎসা নেয়। সেখানে সমস্যার সমাধান না হওয়ায় বোদা বাজারের একটি বাড়িতে গিয়ে গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টা করে। তবে প্রেমিক হান্নান তাকে বোদা বাজার হতে গর্ভপাতের জন্য ওষুধ কিনে বাড়ি ফেরার কথা বলে।’
সম্প্রতি প্রেমিক হান্নানকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় প্রেমিকা। বিয়েতে হান্নানের পরিবার রাজি হয়নি। পরে গত ৩১ ডিসেম্বর সর্বশেষ হান্নানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে নম্বর ব্লাক লিস্টে রাখায় তা সম্ভব হয়নি। প্রেমিকের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় আর কোনো উপায় না পেয়ে ওই শিক্ষকের বাড়িতে অবস্থান নেন প্রেমিকা।
‘হান্নান বিয়ে না করলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেবেন’ বলেও প্রতিনিধিকে জানান ভুক্তভোগী ওই তরুণী।
এদিকে মহিলা ইউপি সদস্য মেরিনা আকতারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ‘দুই পরিবারের সঙ্গে আমার পরিচয় রয়েছে। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। চিকিৎসার কথা বলে আমার সঙ্গে ময়দানদিঘি ও বোদা বাজারে ওষুধের দোকানে গিয়েছিল ওই তরুণী। কিন্তু গর্ভপাতের বিষয়ে আমার জানা নেই।’
পলাতক প্রেমিক হান্নানের বাবা স্কুলশিক্ষক হবিবর রহমান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার অংশ হিসেবে মেয়েটি বাসায় অবস্থান নিয়েছে। বর্তমানে আমার ছেলের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া ওই মেয়েটির এলাকার বেশকিছু ছেলের সঙ্গেও সম্পর্ক রয়েছে।’
প্রেমিকার বাবা ইউনুস আলীর দাবি, ‘আমার মেয়ের সঙ্গে ওই ছেলের দেড় বছর থেকে সম্পর্ক। এখন বিয়ের কথা শুনে ছেলেটি বাড়ি থেকে পালিয়েছে। আমি বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। আমার মেয়েকে যদি ছেলের পরিবার মেনে না নেয় তাহলে আমি আইনের আশ্রয় নেব।’
ঝলই শালশিরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, ‘ফকিরপাড়া গ্রামের ইউনুস আলীর মেয়ে স্কুলশিক্ষক হবিবর রহমানের বাড়িতে অবস্থানের বিষয়টি আমি জেনেছি। যদি ছেলে পক্ষের কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে আমি বিষয়টি মীমাংসার জন্য উদ্যোগ নেব।’
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel