বিনোদন ডেস্ক : বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২৫ অক্টোবর। আর এই নির্বাচনকে ঘিরে উৎসবের কমতি নেই। তবে এবারের নির্বাচনে অনেক শিল্পীরা ভোটাধিকার হারিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে অনেক অভিনয়শিল্পী। অন্যদিকে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বিদায়ী শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।
গত নির্বাচনে শিল্পী সমিতির মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৬২৪ জন। মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেল বিজয়ী হওয়ার পর এ তালিকা থেকে ১৮১ জন ভোটারের ভোটাধিকার খর্ব করে কেবল সহযোগী সদস্য করা হয়। যারা এবার ভোট দেয়ার অধিকার পাবেন না। অন্যদিকে নতুন করে ২০ জন শিল্পীকে করা হয়েছে নতুন ভোটার।
এদিকে এবারের শিল্পী সমিতির ২০১৯-২০ মেয়াদের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ৪৪৯ জন। সমিতির কার্যালয়ের বোর্ডে ভোটারদের এই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে এবারের নির্বাচন কমিশন।
বাদ পড়া অনেক ভোটার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, ‘গঠনতন্ত্রের ধারা অনুযায়ী আমাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নতুন করে যারা ভোটার হয়েছেন তারা আমাদের চেয়ে বেশি সিনেমায় কাজ করেনি। কিন্তু আমাদের সিনেমার তালিকা দেখলে বোঝা যাবে কারা শিল্পী আর কারা শিল্পী নয়।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিল্পী বলেন, ‘সমিতির গঠনতন্ত্রের ৫(ক) ধারায় উল্লেখ আছে, ন্যুনতম পাঁচটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অবিতর্কিত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করতে হবে। কিন্তু এসব বিষয়ের তোয়াক্কা না করেই বড় ধরণের একটা গেমস খেলেছে মিশা-জায়েদ খান। নতুন এখন যারা ভোটার হয়েছেন তারা এই ধারার মধ্যে পরে তারপরও তারা ভোটার হয়েছেন।’
জানা যায়, নতুন ভোটারদের মধ্যে শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্রের ৫(ক) ধারায় সামনে এনে ১৮১ জন পূর্ণ সদস্যের ভোটাধিকার বাদ করে তাদের সহযোগি সদস্য করে রাখা হয়েছে। কিন্তু এর বাহিরে গিয়ে আবারও নতুন ভোটার নেওয়া হয়েছে। নতুনদের মধ্যে সমিতির এই ধারার মধ্যে পড়ে না। এর মধ্যে নতুন সমিতির সদস্য হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না।
আবার ২০০ থেকে তিনশ ছবিতে কাজ করা অনেক শিল্পীকেও বাদ দেওয়া হয়েছে। বাদ পড়া অনেকে অভিযোগ করে বলছেন, মিশা-জায়েদ খান তাদের ব্যক্তি স্বার্থে বাদ দিয়েছেন। নতুন এই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আসার আগের নির্বচনে ভোট প্রয়োগ করেছেন। কিন্তু তারা সমিতির দায়িত্ব নেওয়ার পর সব কিছু নিজেদের দখলে নিয়েছেন। তারা শুধু নীতিতেই আছেন নিয়মে নয়।
এদিকে জায়েদ খান বিষয়টি বলেন, ‘সমিতির গঠনতন্ত্রের বাহিরে গিয়ে আমরা কোনও কাজ করিনি। সমিতির নিয়ম অনুযায়ী আমরা নতুন সদস্য ও বাদ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে কাজ করেছি। আর যারা এখন এই বিষয়টি কথা বলছেন তারা মূলত আমাদের নির্বাচনের ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে চেষ্টা করছেন। আমরা আমাদের নীতি মেনেই সমিরি সঙ্গে কাজ করেছি।’
সমিতির গঠনতন্ত্রের ৫(ক) ধারার বিষয়টির সঙ্গে বর্তমান নতুন সদস্য নেওয়া কতটা যুক্তি সম্মত জানতে চাইলে জায়েদ খান বলেন, ‘কার্যকরি পরিষদের সদস্য ও উপদেষ্টা পরিষদ মিলেই ভোটার তালিকা সংশোধন করা হয়েছে। সমিতির গঠনতন্ত্রের ৫(ক) ধারাটি আজ থেকে ত্রিশ বছর আগের। সেসময় বছরে ৭০ থেকে ৮০ টি সিনেমা মুক্তি পেত। আর এখন বছরে কয়েকটি সিনেমা নির্মাণ হয়। যার ফলে কার্যনির্বাহী সদস্য মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে দুটি করে সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করলে তাদের সদস্যপদ দেওয়া হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।