স্পোর্টস ডেস্ক: ২২ গজের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে আফিফ-মেহেদী মিরাজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলকে টেনে তুলেছেন, এনে দিয়েছেন এক অবিশ্বাস্য জয়। এই ঘটনার একটা কাকতালীয় দিকও আছে। এই দুজনই ছিলেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়ক। প্রথমে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়কত্ব সামলেছিলেন মিরাজ। পরে টিম ম্যানেজমেন্টর সাথে দ্বন্দ্বের জেরে অধিনায়কত্ব হারান মিরাজ, দায়িত্ব দেয়া হয় নাইম ইসলামকে। তবে তার হাতে দল ভালো করেনি। বিপিএলের শেষ অংশে কাপ্তানির ভার পড়ে ২২ বছরের আফিফে কাঁধে। তার অধিনায়কত্বে মিরাজকে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে দেখা যায়, দল যায় প্লেঅফে।
তাদের সেই রসায়নটাই যেনো জমে গেলো আফগানিস্তানের বিপক্ষের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে। ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারানোর ম্যাচটা দুজনে ২২৫ বলে ১৭৪ রানের পার্টনারশিপ বের করে আনেন। ছোটো কাঁধে এতো বড় দায়িত্ব সামলানোর শিক্ষাটা কী তবে আফিফ-মিরাজ জুটি এবারের বিপিএলেই নিয়েছিলেন? ব্যাট হাতে বিপিএলে দুইশ’র বেশি রান করেছেন মিরাজ, বল হাতে নিয়েছেন ১৩ উইকেট। কালকের ম্যাচে ১০ ওভারে বল হাতে মিরাজ দিয়েছেন মাত্র ২৮ রান। ইকোনোমি ২.৮০। সাথে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত মিরাজ করেছেন ১২০ বলে ৮১ রান। হয়েছেন প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ।
আফিফ বিপিএলে ব্যাট হাতে ১২ ম্যাচে করেছেন ২৩২ রান। আর কালকের ম্যাচে ১১৫ বলে ৯৩ রান করা আফিফ ‘মোস্ট ভেল্যুয়েবল প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ’ হয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।