স্পোর্টস ডেস্ক : মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশের হারের গল্পটা লেখা হয়ে গিয়েছিল প্রথম দিনের প্রথম সেশনেই। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ অলআউট ১০৬ রানে। যার জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৩০৮। ইনিংস ব্যবধানে হার এড়ানোটায় যেখানে কঠিন সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০৬ রানের লক্ষ্য ছুড়ে লড়াইয়ের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল বাংলাদেশ।
মেহেদী হাসান মিরাজের নৈপুণ্যে টেস্টটাকে টেনে এনেছিল চতুর্থ দিনে। তবে তার সেই লড়াই শেষ পর্যন্ত মলিন হয়ে গেছে প্রোটিয়াদের দাপুটে জয়ে। বাংলাদেশ ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ তে লিড নিয়েছে সফরকারীরা। সেই সঙ্গে এশিয়ায় ১৩ ম্যাচ ও ১০ বছর পর জয় পেল প্রোটিয়ারা। বল হাতে তাইজুল ইসলাম ছাড়া তেমন একটা লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ।
এর আগে, তৃতীয় দিনে সেঞ্চুরির ঘ্রাণ নিয়ে খেলা শেষ করা মিরাজ ও নাঈম হাসানের ব্যাটে চতুর্থ দিনে দারুণ কিছুর স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৭ উইকেটে ২৮৩ রান। ৮৭ রানে অপরাজিত ছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
চতুর্থ দিনে সেই তিনি সেঞ্চুরিটাও আদায় করে নিতে পারেননি। পরপর নাঈম ও তাইজুলকে হারিয়ে শেষমেশ নিজেও ফিরেছেন ৯৭ রানে। তাতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস থেমেছে ৩০৭ রানে। চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ যোগ করতে পেরেছে মোটে ১৯ রান। প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাদা একাই শিকার করেছেন ৬ উইকেট। বাকি তিন উইকেট গেছে কেশভ মহারাজের পকেটে।
এর আগে, বুধবার ১০১ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। হাতে ছিল ৬ উইকেট। বৃষ্টি ও আলোকস্বল্পতায় সারা দিন খেলা হয়েছে ৫৭.৫ ওভার। ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তুলে ১৮২ রান। ১১২ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন মেহেদি হাসান মিরাজ। সপ্তম উইকেটে জাকের আলি অনিকের সঙ্গে রেকর্ড ১৩৮ রানের জুটি গড়েন মিরাজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।