বিনোদন ডেস্ক : আওকাত হোসেনের ‘বন্ধু আমার’ ছবির সংগীত পরিচালনা দিয়ে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন বাপ্পী লাহিড়ী। ১৯৯২ সালে মুক্তি পাওয়া ছবিটিতে অভিনয় করেন ফারুক, জাফর ইকবাল, রোজিনা ও সুনেত্রা।
গানগুলোতে কণ্ঠ দেন বাপ্পী লাহিড়ীসহ আশা ভোঁসলে, মুন্না আজিজ ও উদিত নারায়ণ। ছবির ‘একটাই কথা আছে বাংলাতে’, ‘ভালোবাসি ভালোবাসি’, ‘হায় রে হায় একি জ্বালা, পরেছি প্রেমের মালা’ ও ‘হাওয়াই জাহাজে উড়ে উড়ে, এদেশ ঘুরে ওদেশ ঘুরে, দেখলাম সুন্দরী একটিও নেই’ গানগুলো দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।
একই পরিচালকের পরের ছবি ‘আশিক প্রিয়া’রও সব গান করেছেন বাপ্পী লাহিড়ী। এই ছবির ‘আমি আশিক তুমি প্রিয়া’, ‘তোমার আগে আর কেউ নেই’, ‘তুমি আমার সোনা সোনা গো’, ‘প্রেম করেছি বেশ করেছি’ গানগুলো ভীষণ জনপ্রিয় হয়।
নতুন নায়ক-নায়িকা ফারহানা ও ফয়সালের লিপে গানগুলো গেয়েছেন কুমার শানু, কবিতা কৃষ্ণমূর্তি, অলকা ইয়াগনিক ও বাপ্পী লাহিড়ী নিজে।
১৯৯৬ সালে মনোয়ার খোকনের ‘স্বামী কেন আসামী’ ছবিতে ফের সংগীত পরিচালনা করেছিলেন বাপ্পী। শাবানা প্রযোজিত এই ছবিতে শাবানা ছাড়াও অভিনয় করেছিলেন জসিম, চাঙ্কি পাণ্ডে ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। এই ছবির ‘বাতাসটা এসে কী বলে গেল’, ‘এ জীবন কেন এত রং বদলায়’ ও ‘মানুষ তো খেলনা নয়’ গানগুলো জনপ্রিয়তা পায়।
১৯৯৮ সালে ‘মেয়েরাও মানুষ’ ছবিটিও পরিচালনা করেন মনোয়ার খোকন। এই ছবিতেও সুপারহিট গান উপহার দিয়েছিলেন বাপ্পী লাহিড়ী। শাবানা প্রযোজিত ছবিটিতে ‘স্বামী কেন আসামী’ ছবির অভিনয়শিল্পীরাই অভিনয় করেছিলেন।
ছবিটির ‘একটু খানি থাকলে সাথে দোষ কী তাতে’, ‘কখনো সাগর ছিল, কখনো পাহাড় ছিল’ ও ‘হাজারজনের মাঝে একজনই শুধু তুমি’ গানগুলো পেয়েছিল দারুণ জনপ্রিয়তা।
২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া সোহানুর রহমান সোহানের ‘লোভে পাপ পাপে মৃত্যু’ ছবির ‘তুমি ছাড়া দিশেহারা’ গানে কণ্ঠ দেন বাপ্পী। সুরকার শওকত আলী ইমন। পর্দায় ঠোঁট মেলান পূর্ণিমা ও রিয়াজ।
মুক্তি প্রতীক্ষিত এ কে আজাদের ‘দোস্ত দুশমন’ ছবির একটি গানে নিজের সুরে কণ্ঠ দিয়েছিলেন অলকা ইয়াগনিকের সঙ্গে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।