জুমবাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশিদের জন্য হঠাৎ করেই ভিসা দেওয়া স্থগিত করেছে ওমান সরকার। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশিদের জন্য যে কোনো ধরনের ভিসা না দেওয়া এবং ওমানে টুরিস্ট ও ভিজিট ভিসায় আসা প্রবাসীদের ভিসা পরিবর্তন করার সুযোগও স্থগিত করেছে রয়্যাল ওমান পুলিশ (আরপিও)।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশিরা বিপুল টাকা খরচ করে ওমানে গিয়ে ঠিকমত কাজ পাচ্ছে না। এতে নিরুপায় হয়ে অবৈধ কাজে জড়িয়ে পড়ছে তারা। তাই ভিসার অপব্যবহার ঠেকাতে বাংলাদেশিদের জন্য সব ধরনের ভিসা দেওয়া স্থগিত করেছে দেশটি।
ভিসার অপব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে ওমান থেকে পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র জানায়, সম্প্রতি ওমান কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক তরুণের জন্য পাঁচজন করে বিদেশি কর্মী নিয়োগের অনুমতি দিয়েছে। সে সুযোগকে অপব্যবহার করছে একশ্রেণির মানব পাচারকারী। তারা চাকরি আছে কি নেই সেটা যাচাই-বাছাই না করেই বাংলাদেশ থেকে ওমানে লোক নিচ্ছে। ওইসব লোকজন ওমানে এসে প্রতিশ্রুত কাজ পাচ্ছে না। ফলে তারা বাধ্য হয়ে পথঘাটে এমন সব কাজ করছেন, যা দেশটির প্রচলিত আইনে বিধিসম্মত নয়। কেউ কেউ আবার বাধ্য হয়ে অনৈতিক কাজে জড়াচ্ছেন। সব মিলিয়ে বাংলাদেশিদের এমন কর্মকাণ্ড ওমান কর্তৃপক্ষকে অসন্তুষ্ট করে তুলেছে।
ওমানের একটি সূত্র জোর দিয়ে বলছে, আনুষ্ঠানিকভাবে কারণ ব্যাখ্যা না করলেও ভিসার অপব্যবহারের জন্য যে বাংলাদেশের নাগরিকদের ভিসা দেওয়া স্থগিত করা হয়েছে, ওমানের সাম্প্রতিক উদ্যোগে সেটি স্পষ্ট।
রয়্যাল ওমান পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়, পর্যটক ও ভ্রমণ ভিসায় যে বিদেশিরা ইতোমধ্যে ওমানে এসেছেন, তাদের জন্য ‘ভিসা পরিবর্তন’ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে পর্যটন ও ভ্রমণ ভিসায় ওমানে গিয়ে প্রবাসীরা কর্মী হিসেবে ভিসা নিতে পারতেন। ‘ভিসা পরিবর্তন’ কার্যক্রম স্থগিত হওয়ায় যারা কর্মী হিসেবে ভিসা নিতে চান, তাদের নিজ দেশে ফিরে কাজের ভিসা নিয়ে ওমানে যেতে হবে। তবে এ সুযোগ বাংলাদেশিদের জন্য থাকছে না। কারণ, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশিদের জন্য সব ধরনের ভিসা স্থগিত রয়েছে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গতকাল বুধবার (১ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ওমানে লোকজন নেওয়ার ব্যাপারে যে সুযোগ পাওয়া গিয়েছিল, মানব পাচারকারীরা তার অপব্যবহার করছেন। এর ফলে হয়তো ওমান ভিসা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশের কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে দেশটিতে কাজ করছেন, এটি বিবেচনায় নিয়ে ওমানকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানানো হবে। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রদূতকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
ওমানের বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১০ মাসে অন্তত ১ লাখ ১০ হাজার বাংলাদেশি ওমানে গেছেন। এই মুহূর্তে ওমানে বিভিন্ন দেশের কর্মীর সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। যার মধ্যে বাংলাদেশি কর্মীই সর্বোচ্চ, প্রায় আট লাখ।
Get the latest News first— Follow us on Zoombangla Google News, Zoombangla X(Twitter) , Zoombangla Facebook, Zoombangla Telegram and subscribe to our Zoombangla Youtube Channel.