বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ জনে। যাদের মধ্যে সম্প্রীতি দুই শিশুসহ তিন জন সনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ২ জন সম্প্রতি বিদেশে থেকে এসেছেন। তারা একই পরিবারের সদস্য। অপরদিকে আক্রান্ত ৮ জনের মধ্যে এক জন নারীও রয়েছেন।
জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর এর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে তিন জন সেবা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন। আর বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন ৫ জন’।
তিনি বলেন, ‘নতুন আক্রান্তরা একজন রোগীর পরিবারের সদস্য। তাদের কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং করার সময় রোগীর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরিক্ষা করা হয়। পরিক্ষার পর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়’।
‘তাদেরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো। তাদের শরীরে ভাইরাসের লক্ষণ মৃদু। তাদের কাছ থেকে যেন অন্যদের মধ্যে জীবাণু ছড়িয়ে না পড়ে, তাই তাদেরকে আইসোলেশনের রাখা হয়েছেন’ বলেন আইইডিসিআর পরিচালক।
মিস. ফ্লোরা জানান, ‘এছাড়া এখনো আইসোলেশনে রয়েছেন আরো ১০ জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের রয়েছেন ৪ জন’।
এ সময় দেশের বাহির থেকে আগতদের হোম কোয়ারেন্টিণে থাকা কালীন সময়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকেও দূরত্ব বজায় রাখার জন্য অনুরোধ জানান সেব্রিনা ফ্লোরা।
আইইডিসিআর এর এই কর্মকর্তা বলেন, করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে হটলাইনে যোগাযোগ করতে হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী আইইডিসিআর সদস্যরা নমুনা সংগ্রহ করবেন। তবে নমুনা দিতে বা করোনাভাইরাস এর উপসর্গ নিয়ে সেবা পেতে কাউকে আইইডিসিআর কার্যালয়ে যেতে নিষেধ করেছেন তিনি’।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।