জুমবাংলা ডেস্ক : আকর্ষণীয় সুবিধা দেওয়ার কারণে তুরস্কের বিনিয়োগকারীরা এখন বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করছে বলে জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি পণ্যের ডাইভার্সিফিকেশনের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণও বৃদ্ধি করতে চায় তুরস্ক।
মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানস্থ ইবিএল প্রধান কার্যালয়ে ব্যাংকটির সিনিয়র কর্মকতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বাংলাদেশকে একটি উদীয়মান নক্ষত্র হিসেবে উল্লেখ রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতি করছে এবং দেশটির ভবিষ্যত উজ্জ্বল।
বৈঠকে ইবিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আলী রেজা ইফতেখার রাষ্ট্রদূতকে ইস্টার্ণ ব্যাংকের সার্বিক কার্যক্রম, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ করে করোনা মহামারিকালে ব্যাংকটির ভূমিকা সম্পর্কে অবহিত করেন। বৈদেশিক বাণিজ্য ও বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ইবিএল যে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে তাও তিনি তুলে ধরেন।
ইফতেখার বলেন, আমদানি-রপ্তানীর ক্ষেত্রে তুরস্কের সঙ্গে ইস্টার্ণ ব্যাংকের বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। তুরস্কের ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আমরা করেস্পন্ডেন্ট ব্যাংকিং সম্পর্ক স্থাপন করেছি। তুর্কী ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত এলসি’র বিপরীতে আমাদের ব্যাংক এড-কনফার্মেশন ও অর্থ প্রদান করে থাকে। গ্যারান্টি ব্যবসায় তুরস্কের ব্যাংকগুলো আমাদের পার্টনার। তুর্কী ব্যাংকগুলোর কাউন্টার গ্যারান্টির বিপরীতে আমরা লোকাল গ্যারান্টি দিচ্ছি। তিনি এই সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নিতে এবং নতুন উচ্চতায় স্থাপন করতে চান বলেও জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, তুরস্ক ওষুধ প্রস্তুত শিল্প, আইটি, কৃষিশিল্প, হালকা প্রকৌশল, সেবা খাতে, পর্যটন ও স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার উপায় খুঁজছে। তিনি আরো বলেন, শিগগিরই এফবিসিসিআই এবং তুরস্কের ফরেন ইকোনোমিক রিলেশন্স বোর্ডের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে যাচ্ছে।
তিনি জানান, বর্তমানে তুরস্ক-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বাংলাদেশ প্রতি বছর তুরস্কে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পাট রূপ্তানি করে ।
ভবিষ্যতে বাংলাদেশে তুর্কী বিনিয়োগ সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত বলেন, শীর্ষস্থানীয় তুর্কী প্রতিষ্ঠান আইগাজিস চট্টগ্রামের এলপিজি সেক্টরে বড় আকারের বিনিয়োগ নিয়ে আসছে।
দু’দেশের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের মধ্যে বোঝাপড়া ও সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি তুরস্ক-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করতে যাছেন বলেও জানান তুর্কী রাষ্ট্রদূত।
সভায় আন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইবিএল উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ সাহিন, রিটেইল ও এসএমই ব্যাংকিং বিভাগ প্রধান এম. খোরশেদ আনোয়ার, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ও অফসোর ব্যাংকিং প্রধান মো. ওবায়দুল ইসলাম এবং কম্যুনিকেশন্স ও এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স প্রধান জিয়াউল করিম। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।