জুমবাংলা ডেস্ক: জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব ও গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশনের সভাপতি বান কি-মুন বুধবার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জন্য বাংলাদেশে অভিযোজন কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছেন। খবর ইউএনবি’র।
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় দুই দিনব্যাপী ‘ঢাকা মিটিং অব দ্য গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশন’ শীর্ষক সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাতে তিনি এ প্রস্তাব দেন। এ সময় মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের প্রেসিডেন্ট হিলদা সি. হেইনি তার সাথে ছিলেন।
যৌথ বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে অবহিত করেন।
জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনের ক্ষেত্রে মডেল হিসেবে অভিহিত করেন।
বান কি-মুন এবং হিলদা উভয়ে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অত্যন্ত প্রশংসা করেন।
তারা বলেন, ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ১০ লাখ মানুষ নিহত হন। অন্যদিকে ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে নিহত হন দেড় লাখ। কিন্তু সরকারের ভালো ব্যবস্থাপনার কারণে সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় ফণীতে খুব কম সংখ্যক মানুষ মারা গেছেন।
বান কি-মুন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হবে বাংলাদেশ।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী কার্বন নির্গমনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবদান সামান্য। কিন্তু বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন রোধে অনেক কাজ করছে।
বান কি-মুন ও হিলদা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবগুলো মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ ও নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব থাকাকালীন এবং বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ সফরের স্মৃতিচারণ করেন মুন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ের তিক্ত অভিজ্ঞতার পর বাংলাদেশ স্বাধীন হলে বহুবিধ ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্র নির্মাণ করেছিলেন।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি হ্রাসে বঙ্গবন্ধু কক্সবাজারে একটি সবুজ বেষ্টনী তৈরি করেন। সেই সময়ে ৪৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে দুর্যোগ মোকাবিলা করার জন্য প্রশিক্ষিত করা হয়েছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দীন, মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।