জুমবাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশে নেমে আসার পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সেইসঙ্গে মুল্যস্ফীতি সাড়ে ৮ শতাংশের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বার্ষিক সভা উপলক্ষ্যে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটকুল বা বিশ্ব অর্থনীতির পূর্বাভাস প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
এতে বলা হয়েছে, বিদায়ী অর্থবছর (২০২১-২২) বাংলাদেশে ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করলেও চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছর প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশে নেমে আসতে পারে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক তাদের পূর্বাভাসে বাংলাদেশর প্রবৃদ্ধি চলতি অর্থবছর ৬ দশমিক ২ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে।
তবে শুধু বাংলাদেশই নয়, আইএমএফের হিসাবে বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই প্রবৃদ্ধির নিম্ন গতি থাকবে। কারণ সারা বিশ্ব জুড়েই এখন মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে সারা বিশ্বকেই অস্থিতিশীল করেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি। বিশ্ববাজারে জ্বালানি ও খাদ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে বহু দেশ এখন দীর্ঘ মেয়াদে সংকটে পড়ে যাচ্ছে।
পূর্বাভাস প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ২ শতাংশে নেমে আসতে পারে যা পরের বছর আরো কমে ২ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে। অথচ গত বছরও বিশ্বে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে সারা বিশ্বকেই অস্থিতিশীল করেছে। নানা বিধিনিষেধ আরোপের ফলে ইউরোপে জ্বালানি সরবরাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত বছরের তুলনায় ইউরোপে গ্যাসের দাম প্রায় চার গুণ বেড়েছে।
চলমান অস্থিরতায় বিশ্ব জুড়েই খাদ্যের দাম বেড়েছে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে প্রায় দেশের মুদ্রা মানের পতন হয়েছে। এই বছর বিশ্বের মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে। তবে ২০২৪ সাল নাগাদ মূল্যস্ফীতির চাপ কমার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আইএমএফের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর জন্য ডলারের দাম বৃদ্ধি নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। এসব দেশের আমদানি খরচ বেড়ে যাচ্ছে।
ফলে নিত্যপণ্যের দাম আরো বেড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশ্বের প্রায় দেশই সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি গ্রহণ করেছে। এর ফলে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়েছে।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, গড় হিসাবে এশিয়ার প্রবৃদ্ধি গত বছর সাড়ে ৬ শতাংশ হলেও এ বছর ৪ শতাংশে নেমে আসবে। ইউরোপে এবার শূন্য প্রবৃদ্ধির আশঙ্কা করা হয়েছে। লাটিন আমেরিকার দেশগুলোতে প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৩ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে যা পরের বছর আরো কমে ১ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে আসতে পারে।
তবে মধ্যপ্রাচ্যে ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে ইউক্রেন আগ্রসনকে কেন্দ্র করে বিশ্ব জুড়ে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে। ব্যারেল প্রতি ১২০ ডলারের ওপরে উঠে গেলেও সম্প্রতি ১০০ ডলারের আশপাশে রয়েছে। ধারণা করা হয়েছে সামনের দিনে তেলের দাম আরো কমে আসবে। কিন্তু তেল উত্তোলনকারী দেশগুলো উত্তোলন কমালে তেলের দাম ফের অস্থিতিশীল হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।