বাংলাদেশ ফুটবল দলের জন্য আনন্দের দিন ছিল মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর)। ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের ফিরতি লেগে শেখ মোরসালিনের একমাত্র গোলে বাংলাদেশ ১-০ গোলে ভারতকে হারিয়ে ২২ বছর পর আবারও নিজেদের মাঠে ভারতকে পরাজিত করার গৌরব অর্জন করেছে।

ম্যাচের ১২ মিনিটে শেখ মোরসালিনের করা গোলেই সীমাবদ্ধ থেকে রোহিত চতুর্থীর দল মাঠ ছেড়ে যায় মাথা নিচু করে। ভারতের জন্য এই হার ছিল এক বড় ধাক্কা, যা তাদের ফুটবল ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ব্যর্থতা হিসেবে ধরা হচ্ছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমে এই পরাজয়কে ‘লজ্জাজনক’, ‘বিব্রতকর’ এবং একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা বলে অভিহিত করা হয়েছে। দেশের শীর্ষ সংবাদমাধ্যমগুলো তীব্র সমালোচনা করেছে ভারতের দুর্বল পারফরম্যান্সের জন্য।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিক্রিয়া:
১.ইন্ডিয়া টুডে: ভারতীয় ফুটবলের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার, বাংলাদেশের কাছে ‘বিব্রতকর’ হার।
২.দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস: এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১-০ গোলে লজ্জাজনকভাবে হেরেছে ভারত।
৩.এনডিটিভি: বাংলাদেশের কাছে ০-১ গোলের হারে ভারতের ‘লজ্জাজনক’ পরাজয়।
৪.টাইমস নাউ: ৮,৩৪০ দিনের মধ্যে সবচেয়ে নিচে ভারতীয় ফুটবল, ২১শ শতাব্দীর বড় ‘অপমান’।
৫.ফার্স্ট পোস্ট: ঘরের মাঠে ভারতকে লজ্জা দিয়ে ১-০ গোলে হারাল বাংলাদেশ।
৬.আনন্দবাজার: ২২ বছর পর ফুটবলে বাংলাদেশের কাছে হার ভারতের, স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতায় মানরক্ষার ম্যাচেও ব্যর্থ ঝিঙ্গানরা।
এই হার ভারতের এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ইতিহাসে তাদের জন্য এক দুঃসহ স্মৃতি হয়ে থাকবে। পাঁচ ম্যাচে ভারতের জয়ের সংখ্যা শূন্য থাকায় তারা গ্রুপ ‘সি’ তালিকায় তলানিতে নেমে গিয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের এই জয় তাদের ফুটবলের ইতিহাসে একটি উজ্জ্বল অধ্যায় হিসেবে রেকর্ড হবে।
বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের ফুটবলার হামজা, শমিত, জায়ানদের আত্মবিশ্বাসী পারফরম্যান্স দেশের ফুটবল ভক্তদের মনে নতুন আশা এবং উৎসাহ সৃষ্টি করেছে। যদিও পরবর্তী পর্বে যাওয়ার সুযোগ নেই, তবুও এই জয় বাংলাদেশের ফুটবলকে একটি ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে।
বাংলাদেশের মাঠে ২২ বছর পর ভারতকে হারিয়ে ফুটবল বিশ্বের নজর কেড়েছে লাল-সবুজরা। ভারতীয় ফুটবলে এ হার একবিংশ শতাব্দীর অন্যতম বড় ব্যর্থতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা ভারতীয় গণমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। তবে বাংলাদেশি ফুটবল সমর্থকদের জন্য এটি এক স্মরণীয় এবং গৌরবময় মুহূর্ত
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



