
জুমবাংলা ডেস্ক : আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম (এমপি) বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন না। তার জন্ম পাকিস্তানে। তার বাবা, মায়ের কবরও পাকিস্তানে। তিনি পাকিস্তানের ঠিকানাতেই সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছিলেন। আর যুদ্ধ করেছেন পাকিস্তানের ‘স্পাই’ হয়ে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে চান্দিনা মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ সেলিম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে খুনের ঘটনার সঙ্গে জিয়াউর রহমান সরাসরি জড়িত ছিলেন। আজ যদি তিনি বেঁচে থাকতেন তাহলে অন্যান্য খুনিদের মতো তারও ফাঁসি হতো। মৃত মানুষের বিচার হয় না। এ জন্য জিয়া ও মোস্তাকদের বিচার হয়নি। বেঁচে থাকলে তারও বিচার হতো।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ৫ মে মেজর আসলাম বেগ চিঠি দিয়ে জিয়াকে লিখেন- ‘তোমার স্ত্রী ও সন্তানদের কোনো চিন্তা করো না, তোমার কর্মকাণ্ডে আমরা খুশি। তোমাকে নতুন কাজ দেওয়া হবে। তুমি মেজর জলিল থেকে সাবধান থেকো’। ওই চিঠির মানে কি দাঁড়ায়? তিনি স্পাইং করছিলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের খবরাখবর তিনি পাকিস্তানে পাঠাচ্ছিলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ (এমপি) বলেন, আদালতে বিএনপির আইনজীবীদের হট্টগোল নজিরবিহীন ঘটনা। শুধু বাংলাদেশ কেন পৃথিবীর কোনো দেশেই প্রধান বিচারপতির উপস্থিতিতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে এমন হট্টগোলের নজির নেই।
কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল আউয়াল সরকারের সভাপতিত্বে এবং সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ এম. হুমায়ূম মাহমুদ এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক আইন মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী এ কে এম এনামূল হক শামীম এমপি, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর।
এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে সাবেক ডেপুটি স্পিকার অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ (এমপি), মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূইয়া (এমপি), ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন (এমপি), সেলিমা আহমাদ মেরী (এমপি), রাজি মোহাম্মদ ফখরুল মুন্সি (এমপি) বক্তব্য দেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি শেখ সেলিম।
প্রথম অধিবেশন শেষে দুপুরের খাবারের বিরতির পর দ্বিতীয় অধিবেশন আর হয়নি। এ সময় সম্মেলনের কোন কমিটি ঘোষণা ছাড়াই অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
দলের একাধিক সূত্র জানায়, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের অধীনস্ত ৭টি উপজেলার কাউন্সিলর তালিকা সম্পূর্ণ না হওয়ায় সম্মেলনে কমিটি ঘোষিত হয়নি।
Get the latest News first— Follow us on Zoombangla Google News, Zoombangla X(Twitter) , Zoombangla Facebook, Zoombangla Telegram and subscribe to our Zoombangla Youtube Channel.