জুমবাংলা ডেস্ক : ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে সংসারের হাল ধরতে চেয়েছিলেন হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান বাপ্পী মোল্লা। তবে বাবা তাকে মোটরসাইকেল কিনে দেননি। তাই নিজের কিডনি বিক্রি করে মোটরসাইকেল কেনার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কিডনি বিক্রির জন্য তিনদিন ধরে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ক্রেতা খুঁজে বেড়ান বাপ্পী। বিষয়টি বেআইনি জেনেও নিরুপায় হয়ে ক্রেতা খুঁজেন তিনি।
রবিবার বিকেলে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়েছে। বর্তমানে তিনি যশোর কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
বাপ্পী মোল্লা জানান, চার-ভাই বোনের মধ্যে বাপ্পী সবার বড়। হতদরিদ্র বাবা অন্যের জমিতে দিনমজুরের কাজ করেন। চার মাস আগে মাগুরা জেলার বারাসি গ্রামের শরীফ হোসেনের মেয়ে সুমাইয়া খাতুনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পরে কৃষি কাজ করে সংসার খরচ ভালোমতো না চলায়; বউ পরামর্শ দেন মোটরসাইকেল ভাড়ায় চালাতে। সে পরামর্শেই বাপ্পী বাবার কাছে মোটরসাইকেল কেনার টাকা চায়। কিন্তু বাপ্পীকে মোটরসাইকেল কিনে না দিয়ে বাবা ছোট ভাই সাগরকে মোটরসাইকেল কিনে দেন। এ নিয়ে গত ৪ নভেম্বর বাবার সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় তার। সেদিনই পারিবারিক কলহে বউ বাবার বাড়িতে চলে যায়।
বাবার প্রতি অভিমান করে মোটরসাইকেল কিনেই বাড়িতে ফিরবেন তিনি প্রতিজ্ঞা করেন। এরপর তিনদিন ধরে ঝিনাইদহ ও যশোরের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিক ঘুরে বেড়ান কিনডি ক্রেতার খোঁজে। সে ধারাবাহিকতায় রোববার সকাল থেকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে কিনডি ক্রেতা খুঁজতে থাকেন তিনি।
এক পর্যায়ে ওয়ার্ড বয়দের সন্দেহ হলে তারা বাপ্পীকে হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের হাতে তুলে দেন।
হাসপাতালে দায়িত্বরত কনস্টেবল সৌরভ বলেন, ঝিনাইদহের এক যুবক নিজের কিনডি বিক্রি করবেন বলে ক্রেতা খুঁজে বেড়াচ্ছে জানতে পেরে তাকে আটক করে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। যশোর কোতোয়ালি থানার এসআই শংকর কুমার জানান, তার পিতা-মাতাকে সংবাদ দেয়া হয়েছে। থানায় এলে বাপ্পীকে তাদের জিম্মায় দেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।