জুমবাংলা ডেস্ক: স্বপ্নের পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে গতকাল (২৬ জুন) ৩ মোটরসাইকেলে নবাবগঞ্জ থেকে গিয়েছিলেন ৬ বন্ধু। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, ক্ষণস্থায়ী উচ্ছ্বাস মুহূর্তেই পরিণত হয় ঘোর অন্ধকারে। মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লাশ হয়ে ফেরেন আলমগীর ও ফজলু। বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোয় শেষ পর্যন্ত দুই বন্ধুর আনন্দ উচ্ছ্বাস পরিণত হলো বিষাদে।
দুই বন্ধুর মধ্যে সদ্য বিয়ে করেছিলেন বিদেশফেরত ফজলু। একদিন আগেই তিনি কিনেছিলেন মোটরসাইকেল। কে জানতো সেই মোটরসাইকেলই কেড়ে নেবে তার প্রাণ!
দীর্ঘদিনের প্রতিক্ষার পর প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধোধনের পরদিনই অর্থাৎ রবিবার ভোর থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয় পদ্মা সেতু। প্রথম দিনেই পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা যায় দুই বন্ধু। দুর্ঘটনার ভিডিও মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
এই দুর্ঘটনার পর আজ সকাল ৬টা থেকে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
জানা যায়, রবিবার রাত সাড়ে আটটায় পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত থেকে মাওয়া প্রান্তের উদ্দেশে রওনা দেন দুই বন্ধু। সেতুর মাঝামাঝি পৌঁছালে বাইকের উচ্চগতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা লাগে রোড ডিভাইডারের সাথে। এতে গুরুতর আহত হন আলমগীর হোসেন ও ফজলু। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথেই মারা যান দুজনই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সেতুর মাঝে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারায় মোটরসাইকেলটি। পরে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফজলু ও আলমগীর দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলছেন, বেপরোয়া গতির কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।