জুমবাংলা ডেস্ক : জি-২০ সম্মেলনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সেলফি তোলায় বিএনপি নেতাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘নয়াদিল্লির একটি সেলফি দেখে বিএনপি নেতাদের চোখ-মুখ শুকিয়ে গেছে এবং তাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এখন কাকে দেখাবে, কে নিষেধাজ্ঞা দেবে, কে ভিসা নীতি দেবে! এসব আমরা ভয় পাই না।’
আজ রবিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে যুবলীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ জনগণের সঙ্গে আছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা, ওদের (বিএনপি) তো নেতা নেই। আজকে লাফালাফি বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক করেছেন…দিন যায়, মাস যায়, দেখতে দেখতে ১৫ বছর, আন্দোলন হবে কোন বছর? বিএনপি মানুষের মনে আস্থা রাখতে পারছে না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলনে জনগণ নেই। শুধু আছে নেতা-কর্মী। বিএনপি নেতারা কর্মীদের আশ্বাস দিচ্ছে যে ভয় পেয়ো না, আমেরিকা ও ইউরোপ আছে। তারা কর্মীদের কত কথা শোনাচ্ছে! অথচ একটি সেলফি দেখে কর্মীরা আর আশা রাখতে পারছে না।’
মনোনয়ন বাণিজ্যের জন্য বিএনপি তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দাবি করে কাদের বলেন, ‘তাদের আন্দোলনের বাজার ভেঙে যাচ্ছে। নেতিবাচক রাজনীতির কারণে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।’
বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ড. ইউনূস আমাদের সুখে-দুঃখে নেই। তাকে আপন মানুষ ভাবব কেমন করে? যে বিবৃতি তিনি ছাপিয়েছেন তার খরচ দুই মিলিয়ন ডলার। কোথা থেকে এল এত টাকা? ড. ইউনূসের ওপর ভর করেছে বিএনপি। ওয়ান-ইলেভেনের মতো নাগরিক কমিটি করে সুশীল সরকার গঠনের দিন চলে গেছে। বাংলাদেশের মানুষ মনে মনে ঠিক করে নিয়েছে কাকে ভোট দেবে। দেশের ৭০ পার্সেন্ট মানুষ শেখ হাসিনার পক্ষে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দল নয়, সাম্প্রদায়িক ও অপকর্মের দল নয়। আওয়ামী লীগ সত্যের পক্ষে, জনগণের পক্ষে তাদের সুদৃঢ় অবস্থান যেকোনো মুহূর্তে জানান দেয় ও দিতে পারে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আগামী নির্বাচন বলে দেবে কে বাংলাদেশের ক্ষমতার মঞ্চে থাকবে। বুঝেশুনে সিদ্ধান্ত নিন। নির্বাচনে আসেন। মোকাবিলা হবে ইলেকশনে। ফাইনাল খেলা ইলেকশনে।’
এ সময় যুবলীগকে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘অশুভ শক্তি’র বিরুদ্ধে নিজেদের বলিষ্ঠ অবস্থান নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘যুবলীগ ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ, আন্দোলন-সংগ্রামে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় দৃষ্টান্তকারী সংগঠন। যুবলীগ অন্যান্য সংগঠনের কাছে অনুসরণীয়, অনুকরণীয়। যার যা প্রাপ্য তা স্বীকার করা উচিত। ভালো কাজের প্রশংসা পাওয়া উচিত। ভালো কাজের প্রশংসা পাওয়া উচিত।’
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল প্রমুখ।
ডেঙ্গু চিকিৎসার বাইরে সিটি করপোরেশনের কাজও আমরা করছি : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।