জুমবাংলা ডেস্ক: বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার মধুমতি নদীর চর উদয়পুরে মরুভূমির ফল সাম্মাম চাষে সফলতা পেয়েছেন প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদ। আড়াই মাস পর পর মাত্র দেড় একর জমি থেকে সাড়ে চার লাখ টাকার সাম্মাম বিক্রি করেছেন তিনি। জমি প্রস্তুত, বীজ রোপন, মাচা তৈরি, আগাছা পরিষ্কার, সার-ওষুধসহ সব ধরনের ব্যয় বহন করে বছরে অন্তত ১৫ লাখ টাকা আয় তার। ফয়সালের সফলতায় এলাকার অনেকেই সাম্মাম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাঁশ ও নাইলনের তৈরি মাচায় তরমুজ আকৃতির ফল ঝুলছে। প্রতিটির ওজন দুই থেকে তিন কেজি। প্রতি কেজি সাম্মামের পাইকারি দাম ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। ক্ষেতের পরিচর্যার জন্য রয়েছে ১২ জন নিয়মিত শ্রমিক।
প্রকৌশলী ফয়সাল বলেন, সাম্মাম একটি পুষ্টিকর ফল। আমাদের দেশে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমার ক্ষেতে ফলনও ভালো হয়েছে। পাইকাররা ট্রাকে ভরে গোপালগঞ্জ ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এটি সরবরাহ করে। শীত ছাড়া বছরের অন্যান্য সময়ে এই ফল চাষ করা যায়। রোপন থেকে শুরু করে বিক্রি পর্যন্ত ৭৫ দিনের মতো সময় লাগে। এক জমিতে বছরে চারবার চাষ করা যায়। প্রতিবার ব্যয় হয় ১০ থেকে ২০ হাজার। কারো উঁচু জমি থাকলে সাম্মাম চাষ লাভজনক একটি ব্যবসা হতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ফয়সাল আহমেদের বাবা শেখ টিপু সুলতান জানান, ছেলে চাকরি ছেড়ে কৃষিকাজ করতে চাইলে তিনি বিরোধিতা করেন। তবে ফয়সালের সফলতা দেখে এখন সহায়তা করছেন।
পরিচর্যায় নিয়োজিত শেফালি পোদ্দার বলেন, দুই বছর ধরে ফয়সালের খামারে কাজ করছেন। এখান থেকে যা আয় করি তা দিয়েই ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনার পাশাপাশি সংসার চলে যায়। সালাম শেখ নামের আরেক শ্রমিক বলেন, সাম্মামের পাশাপাশি বারোমাসি তরমুজ, বেগুন, পেঁপে ও আখসহ নানা ধরনের ফল এখানে উৎপাদন করা হয়। প্রথম দিকে ফলন কম হলেও, ধীরে ধীরে তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মোল্লাহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অনিমেষ বালা বলেন, সাম্মাম মরু অঞ্চলের ফল। আমাদের দেশে ফলটি সাম্মাম হিসাবে পরিচিতি পেলেও অনেকে এটাকে রকমেলন বা হানিডিউ মেলনও বলেন। ফয়সাল আহমেদ বাগেরহাটে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে ফলটির চাষ শুরু করেছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে সব ধরনের কারিগরি সহযোগিতা করা হচ্ছে। আরও কেউ যদি সাম্মাম চাষ করতে চান, তাহলে তাকেও আমরা সহযোগিতা করব।
এই প্রথম ৫ বাড়ি নিয়ে ‘মডেল গ্রাম’, চাষ হচ্ছে রাসায়নিক মুক্ত সবজি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।