জুমবাংলা ডেস্ক : রাজশাহীর বাঘায় জল মটার চুরির অভিযোগে তিন জনকে গাছে বেধে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এক আম বাগানের মধ্যে মেহগনি গাছের সাথে রশি দিয়ে বেধে তাদের নির্যাতন করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের মহদিপুর গ্রামে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের মহদিপুর গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে আযুব আলীর বাড়ির আঙ্গিনায় জল মটার বসানো ছিল। এই জল মটারটি তিনদিন আগে (বুধবার) রাতে চুরি হয়। চুরির অভিযোগে বারশতদিয়াড় গ্রামের টুলু হোসেনের ছেলে দুলু হোসেন (৩০), হেলালপুর গ্রামের সারাত আলীর ছেলে মাইদুল ইসলাম (৪০)ও মহদিপুর গ্রামের জান মোহাম্মদের ছেলে সাইদুল ইসলামকে (৪৫) ধরে আনা হয়।
পরে আযুব আলীর আম বাগানের মধ্যে মেহগনি গাছের সাথে রশি দিয়ে বেধে তাদের নির্যাতন করা হয়। এ সময় তাদের নির্যাতন করার দৃশ্য এলাকার শত শত মানুষ দাঁড়িয়ে দেখছিল। কিন্তু নির্যাতনকারীদের ভয়ে কেউ তাদের রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসেনি। তাদের শনিবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত মেহগনির গাছের সাথে বেধে নির্যাতন করা হয়েছে বলে তারা জানান।
এদিকে ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করা হলে চকিদার দিয়ে তার কার্যালয়ে আনা হয়। তবে এ সময় দুলু হোসেন স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, আমার সার্টের পকেটে ৬৫০ টাকা ছিল। সেই টাকা তারা নিয়েছেন। আমাদের মিথ্যা অভিযোগে ধরে এনে মারপিট করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আযুব আলী জানান, আমার বাড়ির আঙ্গিনা থেকে দুলু, মাইদুল, সাইদুল রাতের আধারে জল মটার চুরি করে নিয়ে যায়। জল মটারটি স্থানীয় ভাঙড়ি ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেয়। গোপনে তথ্য সংগ্রহ করে শনিবার সকালে তাদের ধরে এনে মেহগনি গাছের সাথে শুধু বেধে রাখা হয়। তাদের কোন প্রকার মারপিট করা হয়নি। পরে চৌকিদাদেরর সহায়তায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আনা হয়েছে। তবে চুরির বিষয়টি তারা এলকার শত শত মানুষের কাছে শিকার করেছেন।
এ বিষয়ে মনিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিকরা অবগত করলে চৌকিদার পাঠিয়ে আমার কার্যালয়ে তাদের নিয়ে আসি। বিষয়টি নিয়ে ইউপি মেম্বর ও স্থানীয়দের নিয়ে সমঝোতার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
বাঘা থানার তদন্ত ওসি আবদুল বারী জানান, বিষয়টি জানার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে তারা অভিযোগ করলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।