বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: বাইকপ্রেমীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। রাত বাড়লেই তিলোত্তমার রাস্তায় মাঝেমাঝেই চোখে পড়ে সুপারবাইকে চড়ে বাইকআরোহীদের আনাগোনা।
বছর দশেক আগেও শহরের রাস্তায় পাঁচ লক্ষের উপরে স্পোর্টস বাইক প্রায় চোখে পড়ত না বললেই চলে। তবে হালফিলে ছবিটা বদলেছে। ভারতের কলকাতার তরুণ প্রজন্ম কেবল রয়্যাল এনফিল্ডের বুলেটেই আটকে নেই, কাওয়াসাকি, সুজ়ুকি ও বেনেলির দামি স্পোর্টস বাইকের দিকেও ঝুঁকছেন।
সদ্য বাজারে এসেছে ডুকাটি পানিগেল ভি৪ এস। সম্প্রতি কলকাতার এসঅটো বাইক শো রুমে এই বাইকটি হাতে পেলেন এক গ্রাহক। মুম্বাইয়ের মুস্তাফা শেঠওয়ালার হাতে এসঅটো সংস্থার পক্ষ থেকে অনলাইনেই তুলে দেওয়া হল বাইকটি। ডুকাটি এমন একটা সংস্থা যার সঙ্গে আভিজাত্য, স্টাইল, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং পারফরম্যান্স— এই শব্দগুলি ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে। বাইকটি বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গেই এর জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া।
অল্পবয়সিদের মধ্যে এর লুক এবং শক্তিশালী ইঞ্জিনের জন্য এক বিশেষ জায়গা দখল করে নিয়েছে এই সুপারবাইকটি। বাইকারদের পছন্দের কথা মাথায় রেখেই বানানো হয়েছে ডুকাটি পানিগেলের নতুন ভারসানটি। ডুকাটি পানিগেল ভি৪ এস-এ থাকছে ১১০৩ সিসির ইঞ্জিন। এ ছাড়াও ডুয়াল চ্যানেল এবিএস, ৪ সিলিন্ডার, লঞ্চ কন্ট্রোল সিস্টেম ও ট্র্যাকশন কন্ট্রোল সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য রয়েছে এই বাইকটির। বাইকটির ওজন ১৭৪ কেজি। বাজারমূল্য ২৬ লক্ষ। এসঅটো সংস্থার পক্ষ থেকে সুষ্ঠু ভাবে অনলাইনেই সম্পূর্ণ করা হল বাইকের ডেলিভরি।
তবে এত দামি বাইক কি কলকাতার তরুণ প্রজন্মকে আদৌ আকৃষ্ট করে?
স্থানীয় বাসিন্দা রৌণক সিংহের মতে, ‘‘স্পোর্টস বাইকের বেশ শখ রয়েছে আমার। কাওয়াসাকি নিনজা ৩০০ বাইকটি আছে আমার। আরও উন্নত বাইক কেনার ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই। নয়ডায় বুদ্ধ সারকিটে লোকে চাইলেই স্লট বুকিং করে স্পোর্টস বাইকগুলি চালাতে পারেন। তবে কলকাতায় তেমন কোনও ট্র্যাক নেই। তাই কেনার ইচ্ছে থাকলেও কিনে কোনও লাভ নেই। ভবিষ্যতে কলকাতায় এমন বাইক ট্র্যাক তৈরি হলে নিশ্চয়ই আমাদের সুবিধা হবে। আমার মতো এমন আরও অনেকেই আছেন যাঁরা ভাল স্পোর্টস বাইক চালাতে চান!’’
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
ভেঙে পড়লো হোটেলের বিশাল অ্যাকুয়াডোম, দেড় হাজার মাছসহ যেন এক বিস্ফোরিত!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।