জুমবাংলা ডেস্ক: জানুয়ারিতে রাজধানীসহ সারা দেশে শীতের তীব্রতা বাড়বে। মাসজুড়ে ৩ থেকে ৪টি শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এদিকে ভোরে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা। কুয়াশার সাথে ঠাণ্ডা হাওয়ায় বাড়ে শীতের তীব্রতা। তাপমাত্রা নামে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে কমেছে কুয়াশা ও শীতের প্রকোপ।
ভোর থেকে ঘন কুয়াশা ও শীতের কবলে রাজধানী ঢাকা। কুয়াশার কারণে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ও সড়কে কয়েক হাত দূরের জিনিসও দেখা যাচ্ছিলো না। হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করে যানবাহন। ।
ঘন কুয়াশার কারণে ভোরে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে সারা দেশে উড়োজাহাজ চলাচল বিলম্বিত হয়। এতে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, নীলফামারী, পঞ্চগড় ও শ্রীমঙ্গলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। আর জানুয়ারি মাসে আসতে পারে একাধিক শৈত্যপ্রবাহ।
আবহাওয়াবিদ এস এম কামরুল হাসান বলেন, জানুয়ারিতে শীতের তীব্রতা বাড়বে। এ সময় আরও ৩ থেকে ৪টি শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে।
শীতের পাশাপাশি সকালে ঘন কুয়াশাও আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
এদিকে, পঞ্চগড়ে ২য় দিনের মৃদু শৈত্যপ্রবাহে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৭ ডি.সে. রেকর্ড করেছে তেতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। সপ্তাহজুড়ে এ শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের।
মেহেরপুরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে দিনভর হালকা বাতাস থাকায় কমছে না শীতের তীব্রতা এবং কুয়াশার ঘনত্ব। সকাল ছয়টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।
নওগাঁয় ৩ দিনের মৃদু শৈত্যপ্রবাহের সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে রয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। ঘন কুয়াশায় ইরি-বোরোসহ অন্যান্য রবিশস্যের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কায় কৃষক। পাবনায় তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ছিন্নমূল মানুষের জীবন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।