Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home বাড়ি ভাড়ার আইনগত বিষয়: আপনার অধিকার জানুন
    লাইফস্টাইল ডেস্ক
    লাইফস্টাইল

    বাড়ি ভাড়ার আইনগত বিষয়: আপনার অধিকার জানুন

    লাইফস্টাইল ডেস্কTarek HasanJuly 8, 202515 Mins Read
    Advertisement

    রফিকুল ইসলামের চোখে তখন ভয় আর ক্ষোভের অদ্ভুত এক মিশ্রণ। পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী একটি বাড়ির ছোট্ট রুমে স্ত্রী আর দুই শিশুকে নিয়ে তাঁর পাঁচ বছরের সংসার। হঠাৎ এক সকালে, বাড়িওয়ালার তরফ থেকে এলো নোটিশ: “পরের মাস থেকে ভাড়া দ্বিগুণ, না মানলে সাত দিনের মধ্যে ঘর খালি করুন।” মাস শেষ হতে তখনও দু’সপ্তাহ বাকি। রিকশা চালিয়ে যা আয়, তার বেশিটাই তো চলে যায় ভাড়ায়। নতুন ভাড়া মানেই হয়তো সন্তানদের স্কুল ছাড়তে হবে, কিংবা গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে হবে। রফিকুলের মতো অসংখ্য ভাড়াটিয়ার গলায় যেন চেপে বসা এক অদৃশ্য শিকল – আপনার অধিকার জানুন না থাকলে এই শিকল কখনোই ভাঙা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল নগরায়ণে, যেখানে ভাড়াবাড়িই লক্ষ লক্ষ মানুষের একমাত্র আশ্রয়, সেখানে ভাড়াটিয়া হিসেবে আপনার আইনি সুরক্ষার জানাটা খুলে রাখা শুধু জরুরি নয়, বেঁচে থাকার প্রশ্ন। এই জ্ঞানই আপনার ঢাল, আপনার তলোয়ার।

    আপনার অধিকার জানুন

    • ভাড়াটিয়াদের অধিকার: আইন ও বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে আপনার অধিকার জানুন
    • জরুরি নোটিশ, উচ্ছেদ ও আইনি প্রতিকার: যখন দরজায় কড়া নাড়ে বিপদ
    • জামানত ফেরত: সেই টাকাটা ফেরত পাবেন তো?
    • বাড়িওয়ালার দায়িত্ব ও ভাড়াটিয়ার কর্তব্য: সুস্থ সম্পর্কের ভিত্তি
    • ভাড়া বাড়ানো: কখন, কীভাবে, কতটুকু?
    • জেনে রাখুন-

    ভাড়াটিয়াদের অধিকার: আইন ও বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে আপনার অধিকার জানুন

    বাংলাদেশে ভাড়াটিয়াদের অধিকার রক্ষার মূল ভিত্তি হলো ১৯৯১ সালের ভাড়াটিয়া অধিকার সংরক্ষণ ও ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন। এই আইনই ভাড়াটিয়া ও বাড়িওয়ালার মধ্যকার সম্পর্কের আইনি কাঠামো তৈরি করে, যেখানে উভয় পক্ষেরই নির্দিষ্ট দায়িত্ব ও অধিকার রয়েছে। কিন্তু আইন বইয়ের পাতায় আটকে না রেখে, বাস্তব জীবনে এর প্রয়োগ কেমন? ঢাকার মোহাম্মদপুর, মিরপুর কিংবা চট্টগ্রামের ডবলমুরিংয়ের গলিতে, খুলনার খালিশপুরের বস্তিতে – প্রতিদিনই ভাড়ার জটিলতায় পিষ্ট হচ্ছেন হাজারো রফিকুল। আপনার অধিকার জানুন মানে শুধু ধারা-উপধারা মুখস্থ করা নয়, বরং কখন, কীভাবে, কোথায় এই আইনের সুবিধা নিতে হবে – সেই কৌশল আয়ত্ত করা।

    এই আইনের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে “ভাড়ার ন্যায্যতা” ধারণাটি। ১৯৯১ সালের আইন অনুযায়ী, একটি নির্দিষ্ট এলাকার জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়া ট্রাইব্যুনাল-ই মূলত নির্ধারণ করে কোন ভাড়া ন্যায্য কি না। কিন্তু সমস্যা হলো, এই ট্রাইব্যুনালগুলো সর্বত্র সক্রিয় নয়, এবং প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ। ফলে, বাড়িওয়ালারা প্রায়শই ইচ্ছামতো ভাড়া বাড়ানোর চেষ্টা করেন, যা আইনত অবৈধ। আপনার অধিকার জানুন বলতে প্রথমেই এই অধিকারটির কথা জেনে রাখুন: আপনার সম্মতি ছাড়া বা ভাড়া নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের আদেশ ছাড়া ভাড়া বাড়ানো যায় না।

    বাস্তবতার নির্মম ছবি:

    • ভাড়ার ঊর্ধ্বগতি: রাজধানীর অভিজাত এলাকাগুলোতে (গুলশান, বনানী, বারিধারা) ভাড়া আকাশছোঁয়া। মধ্যবিত্তের পক্ষে ধীরে ধীরে এগুলো দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠছে। এমনকি মিরপুর, উত্তরা, মোহাম্মদপুরের মতো এলাকাগুলোতেও ভাড়ার উর্ধ্বগতি নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য ভয়াবহ চাপ তৈরি করছে।
    • জামানতের জটিলতা: অনেক ক্ষেত্রে বাড়িওয়ালা ২ মাস, ৩ মাস, এমনকি ৬ মাসের জামানত চেয়ে বসেন। ভাড়াটিয়া চলে যাওয়ার সময় এই জামানত ফেরত না দেয়ার অভিযোগ অসংখ্য। আইন এখানে স্পষ্ট: জামানত শুধুমাত্র ভাড়া বাকি বা সম্পত্তির ক্ষতির ক্ষতিপূরণের জন্যই ব্যবহার করা যাবে, এবং অবশিষ্ট টাকা অবশ্যই ফেরত দিতে হবে।
    • খেয়ালখুশিমতো উচ্ছেদ: রফিকুলের মতো হাজারো মানুষ প্রতিমাসেই ভোগেন এই আতঙ্কে। আইন স্পষ্টভাবে উচ্ছেদের জন্য একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া (জরুরি নোটিশ, মামলা দায়ের, আদালতের আদেশ) বাতলে দিয়েছে। কিন্তু অনেক বাড়িওয়ালা স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে বা ভয় দেখিয়ে অবৈধভাবে উচ্ছেদের চেষ্টা করেন।

    আপনার প্রথম ধাপ:
    ভাড়া চুক্তিপত্র। এটি কেবল কাগজের টুকরো নয়, আপনার অধিকার রক্ষার প্রথম ও প্রধান হাতিয়ার। মৌখিক চুক্তির চেয়ে লিখিত চুক্তি শতগুণে ভালো। চুক্তিতে কী কী থাকা অত্যাবশ্যক:

    • ভাড়ার পরিমাণ ও প্রদানের তারিখ (স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে)।
    • জামানতের পরিমাণ এবং ফেরত পাওয়ার শর্তাবলি।
    • ভাড়ার মেয়াদ (মাসিক/বার্ষিক) এবং নবায়নের পদ্ধতি।
    • ভাড়া বাড়ানোর প্রক্রিয়া ও শর্তাবলি (সরকারি নির্দেশনা বা ট্রাইব্যুনালের আদেশ অনুযায়ী)।
    • বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়ার দায়িত্ব (মেরামত, ইউটিলিটি বিল ইত্যাদি)।
    • চুক্তি সমাপ্তির শর্তাবলি এবং উচ্ছেদের জন্য প্রয়োজনীয় নোটিশের সময়সীমা।
    • উভয় পক্ষের স্বাক্ষর, সাক্ষীর স্বাক্ষর এবং তারিখ।

    সতর্কতা: কোনোভাবেই স্ট্যাম্প পেপারবিহীন চুক্তি সই করবেন না। স্ট্যাম্প পেপারে করা চুক্তিই আইনগত দলিল হিসেবে স্বীকৃত। চুক্তি পড়ে বুঝতে সমস্যা হলে, কোনো আইনজীবীর সাহায্য নিন। মনে রাখবেন, আপনার অধিকার জানুন শুরু হয় এই সাদা কাগজের টুকরো থেকেই।

    জরুরি নোটিশ, উচ্ছেদ ও আইনি প্রতিকার: যখন দরজায় কড়া নাড়ে বিপদ

    ভাড়াটিয়াদের সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম – উচ্ছেদ নোটিশ। ১৯৯১ সালের আইনের ধারা ১৩ উচ্ছেদের জন্য কঠোর শর্ত আরোপ করেছে। বাড়িওয়ালা ইচ্ছামতো, হঠাৎ করে আপনাকে উচ্ছেদ করতে পারবেন না। আপনার অধিকার জানুন এই বিভাগে গভীরভাবে, কারণ এটিই আপনার ঘর ছাড়া না ছাড়ার চাবিকাঠি।

    বৈধ উচ্ছেদ নোটিশের শর্তাবলি (ধারা ১৩):

    1. নির্দিষ্ট কারণ: বাড়িওয়ালাকে উচ্ছেদের সুনির্দিষ্ট ও আইনসম্মত কারণ উল্লেখ করতে হবে। যেমন:
      • ভাড়া বকেয়া রাখা (এমনকি এক মাসের জন্যও)।
      • ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে সম্পত্তির ক্ষতি সাধনের প্রমাণ।
      • ভাড়াটিয়ার অসামাজিক বা বেআইনি কার্যকলাপ (যা প্রতিবেশীদের জন্য উৎপাত সৃষ্টি করে)।
      • বাড়িওয়ালার নিজের বা তার নির্ভরশীল পরিবারের সদস্যের জন্য জরুরি প্রয়োজনে বাড়িটি ব্যবহারের দরকার পড়া (এই দাবি প্রমাণসাপেক্ষ)।
      • ভাড়াটিয়ার জালিয়াতি বা ভুল তথ্যের ভিত্তিতে চুক্তি করা।
    2. সময়সীমা: উচ্ছেদ নোটিশে কমপক্ষে ৩০ দিনের সময় দিতে হবে। অর্থাৎ, নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিন পরেই শুধু উচ্ছেদের কার্যক্রম শুরু হতে পারে, তার আগে নয়। এই ৩০ দিন আপনার প্রস্তুতি নেয়ার সময়, আইনি পরামর্শ নেয়ার সময়।
    3. লিখিত নোটিশ: নোটিশ অবশ্যই লিখিত হতে হবে এবং নিবন্ধিত ডাক বা করজোড়ে হস্তান্তর এর মাধ্যমে ভাড়াটিয়াকে দিতে হবে। মৌখিক হুমকি, ফোন কল বা দরজায় লিখে দেয়া কাগজ আইনত উচ্ছেদ নোটিশ হিসেবে গণ্য হয় না!

    যদি আপনি নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে বাড়ি খালি না করেন, তাহলে বাড়িওয়ালার কী করণীয়?

    • বাড়িওয়ালাকে স্থানীয় ভাড়া নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (ভাড়া ট্রাইব্যুনাল)-এর কাছে উচ্ছেদের জন্য মামলা (মোকদ্দমা) দায়ের করতে হবে।
    • ট্রাইব্যুনাল উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনবেন, প্রমাণ পরীক্ষা করবেন।
    • শুধুমাত্র ট্রাইব্যুনালের চূড়ান্ত আদেশ পাওয়ার পরেই আইনানুগভাবে উচ্ছেদ কার্যকর করা যাবে।
    • ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করা যেতে পারে।

    অবৈধ উচ্ছেদের বিরুদ্ধে আপনার করণীয়:

    • আতঙ্কিত হবেন না: প্রথমেই নিজেকে শান্ত করুন। মনে রাখবেন, আইন আপনার পাশে আছে।
    • নোটিশ যাচাই করুন: নোটিশটি কি লিখিত? ৩০ দিনের সময় দিয়েছে? বৈধ কারণ উল্লেখ আছে? নোটিশটি সঠিকভাবে (নিবন্ধিত ডাক/করজোড়ে) পেয়েছেন?
    • তৎক্ষণাৎ আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করুন: এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। একজন অভিজ্ঞ আইনজীবী আপনার কেস মূল্যায়ন করে পরবর্তী পদক্ষেপ বলে দেবেন। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী – প্রতিটি বিভাগীয় শহরেই ভাড়া আইনে বিশেষজ্ঞ আইনজীবী রয়েছেন।
    • প্রমাণ সংগ্রহ করুন: নোটিশের কপি, ভাড়া পরিশোধের রসিদ (বাকি না থাকলে), সম্পত্তির ক্ষতি না করার প্রমাণ, বাড়িওয়ালার সাথে কথোপকথনের রেকর্ডিং (যদি থাকে, তবে স্থানীয় আইন জেনে নিন) সংরক্ষণ করুন।
    • ভাড়া নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপধের শরণাপন্ন হন: আপনার এলাকার ভাড়া ট্রাইব্যুনালে গিয়ে আবেদন করতে পারেন। তারা বাড়িওয়ালাকে তলব করে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করবেন।
    • ফৌজদারি অভিযোগ: যদি বাড়িওয়ালা বা তার লোকজন জোরপূর্বক আপনার জিনিসপত্র বাইরে ফেলে, দরজা ভেঙে ঢোকে, বা আপনাকে শারীরিকভাবে উত্যক্ত করে, তাহলে স্থানীয় থানায় জিডি বা মামলা দায়ের করুন। দখলচ্যুত করার চেষ্টা, বলপ্রয়োগ, এবং সম্পত্তির ক্ষতি ফৌজদারি অপরাধ।

    গুরুত্বপূর্ণ তথ্য: বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রাসঙ্গিক আইন ও কিছু নির্দেশিকা পাওয়া যেতে পারে: বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট (আপনি সাইটে গিয়ে “Acts” বা “Laws” সেকশনে খুঁজে দেখতে পারেন, যদিও সরাসরি লিঙ্ক সবসময় স্থির নয়)।

    আপনার অধিকার জানুন এই পর্বে মানে হলো, উচ্ছেদের নামে যেকোনো ভয়ভীতি বা জোরজবরদস্তির মুখে দাঁড়িয়ে জানা যে, আইনী প্রক্রিয়া ছাড়া আপনাকে তাড়ানো সম্ভব নয়, এবং আইনের আশ্রয় নেয়ার আপনার পূর্ণ অধিকার রয়েছে।

    জামানত ফেরত: সেই টাকাটা ফেরত পাবেন তো?

    ভাড়া বাড়িতে ঢোকার সময় যে জামানতের টাকা দেয়া হয়, প্রায়শই সেটিই হয়ে ওঠে সবচেয়ে বড় দ্বন্দ্বের কারণ। ভাড়াটিয়া চলে যাওয়ার সময় বাড়িওয়ালা নানা অজুহাতে জামানত ফেরত দিতে চান না – দেয়ালে ছোট খ scratches, একটি ট্যাপ লিক করছে, কিংবা সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি যে ঘর ‘পুরোপুরি’ পরিষ্কার হয়নি। আপনার অধিকার জানুন এই টাকা ফেরত পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার হাতিয়ার।

    ১৯৯১ সালের ভাড়াটিয়া অধিকার সংরক্ষণ ও ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা ১৬ জামানত সম্পর্কে স্পষ্ট:

    • জামানতের উদ্দেশ্য: এই টাকা শুধুমাত্র দুটি ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে:
      1. ভাড়া বাকি থাকলে: চুক্তি শেষে বা ভাঙ্গার সময় যদি আপনার ভাড়ার বকেয়া থাকে।
      2. সম্পত্তির ক্ষতি সাধন করলে: আপনি বা আপনার অতিথিরা ইচ্ছাকৃত বা গুরুত্র অবহেলায় সম্পত্তির ক্ষতি করলে, তার যুক্তিসঙ্গত মেরামত খরচ।
    • ফেরতের বাধ্যবাধকতা: উপরোক্ত দুই ক্ষেত্রের বাইরে বাড়িওয়ালা জামানতের টাকা আটকে রাখতে পারবেন না। চুক্তি শেষে বা ভাঙ্গার সময়, সম্পত্তি হস্তান্তরের পর অবশিষ্ট জামানত অবশ্যই ফেরত দিতে হবে।
    • হিসাবের স্বচ্ছতা: যদি বাড়িওয়ালা ক্ষতিপূরণ কাটছাট করেন, তাহলে তিনি বিস্তারিত হিসাব (মেরামতের বিল/রসিদ) ভাড়াটিয়াকে দেখাতে বাধ্য। শুধু মুখে বললেই হবে না।

    জামানত ফেরত না পেলে আপনার করণীয় (ধাপে ধাপে):

    1. লিখিত দাবি: প্রথমেই বাড়িওয়ালাকে একটি রেজিস্টার্ড ডাক বা করজোড়ে নোটিশ দিন। নোটিশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন:
      • আপনি কবে চুক্তি শেষে/ভাঙ্গার সময় সম্পত্তি হস্তান্তর করেছেন।
      • আপনি কত টাকা জামানত দিয়েছিলেন।
      • সম্পত্তি হস্তান্তরের সময় তার কী অবস্থা ছিল (যেকোনো ক্ষতি আগেই উল্লেখ করা হয়েছিল কিনা, মেরামত করা হয়েছিল কিনা)।
      • ভাড়া বাকি নেই মর্মে প্রমাণ (ভাড়ার রসিদের কপি সংযুক্ত করুন)।
      • জামানত ফেরত দাবি করুন এবং ১৫ দিন বা যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে তা পরিশোধের অনুরোধ করুন।
      • ফেরত না দিলে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিন।
    2. আপোষ-মীমাংসার চেষ্টা: যদি সম্ভব হয়, স্থানীয় সমাজপতি, ওয়ার্ড কাউন্সিলর বা উকিলের মাধ্যমে আলোচনার চেষ্টা করুন। অনেক সময় ভয় দেখালেই বাড়িওয়ালা টাকা দিতে বাধ্য হন।
    3. ভাড়া ট্রাইব্যুনালে মামলা: যদি লিখিত দাবি ও আলোচনা কাজ না করে, তাহলে স্থানীয় ভাড়া নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (ভাড়া ট্রাইব্যুনাল)-এ মামলা (দেওয়ানি মামলা) দায়ের করুন। ট্রাইব্যুনাল জামানতের টাকা ফেরতের আদেশ দিতে পারেন।
    4. দেওয়ানি আদালতে মামলা: জামানতের টাকা ফেরত চেয়ে সরাসরি দেওয়ানি আদালতে (সাধারণত জুনিয়র বা সিনিয়র সহকারী জজ আদালত) মামলা দায়ের করা যায়। এটি একটি দেওয়ানি পাওনা আদায়ের মামলা।

    জামানত রক্ষার টিপস:

    • চুক্তিতে স্পষ্ট লিখুন: জামানতের পরিমাণ, ফেরতের শর্তাবলি (ভাড়া বাকি ও প্রকৃত ক্ষতি ছাড়া), হস্তান্তরের সময় সম্পত্তির অবস্থা যাচাইয়ের পদ্ধতি (একটি ইনস্পেকশন রিপোর্ট বা উভয়ের স্বাক্ষরযুক্ত হ্যান্ডওভার নোট) চুক্তিতে লিখিতভাবে উল্লেখ অত্যাবশ্যক।
    • ভাড়ার রসিদ: প্রতিমাসের ভাড়া পরিশোধের রসিদ সযত্নে সংরক্ষণ করুন।
    • হস্তান্তরের প্রমাণ: বাড়ি ছাড়ার সময়, বাড়িওয়ালার উপস্থিতিতে সম্পত্তির অবস্থা যাচাই করে একটি হ্যান্ডওভার রিপোর্ট তৈরি করুন এবং উভয়ে সই করুন। ফটোগ্রাফ বা ভিডিও রেকর্ডিং করে রাখুন।
    • যোগাযোগ লিখিত রাখুন: জামানত ফেরত সংক্রান্ত যেকোনো আলোচনা ইমেইল, এসএমএস বা চিঠির মাধ্যমে রাখার চেষ্টা করুন।

    আপনার অধিকার জানুন এখানে মানে হলো, জামানত আপনার টাকা। অবৈধভাবে আটকে রাখা মানে আপনার সম্পদ হরণ। আইনী প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এই টাকা ফেরত পাওয়া আপনার পূর্ণ অধিকার।

    বাড়িওয়ালার দায়িত্ব ও ভাড়াটিয়ার কর্তব্য: সুস্থ সম্পর্কের ভিত্তি

    একটি সুন্দর ভাড়াটিয়া-মালিক সম্পর্কের মূল ভিত্তি হলো পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং আইনের প্রতি সম্মান। আইন শুধু অধিকারই দেয় না, দায়িত্বও বণ্টন করে। আপনার অধিকার জানুন মানে শুধু নিজের অধিকার নয়, বাড়িওয়ালার অধিকার এবং আপনার নিজের দায়িত্বও সমানভাবে বোঝা।

    বাড়িওয়ালার দায়িত্ব (আপনার অধিকার):

    1. বাসযোগ্য অবস্থায় সম্পত্তি প্রদান: ভাড়াটিয়াকে বাড়ি হস্তান্তরের সময় তা বসবাসের উপযোগী অবস্থায় (Habitable Condition) সরবরাহ করতে হবে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত:
      • মৌলিক সুবিধা নিশ্চিত করা: নিরাপদ পানির সংযোগ, বৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ, নিষ্কাশন ব্যবস্থা (স্যানিটেশন)।
      • গাঠনিক নিরাপত্তা: দরজা-জানালা, ছাদ, সিঁড়ি, দেয়াল ইত্যাদির মৌলিক নিরাপত্তা ও মেরামত নিশ্চিত করা।
      • প্রয়োজনীয় মেরামত: সাধারণত বড় ধরনের মেরামত (Structural Repairs), যেমন ছাদ লিক করা, ভিত্তিতে সমস্যা, প্রধান পাইপলাইন ফেটে যাওয়া ইত্যাদির দায়িত্ব বাড়িওয়ালার।
    2. ভাড়াটিয়ার শান্তিপূর্ণ দখল নিশ্চিত করা: ভাড়াটিয়া যাতে শান্তিপূর্ণভাবে বাড়িটি ভোগ দখল করতে পারে, বাড়িওয়ালাকে তা নিশ্চিত করতে হবে। অযৌক্তিক হস্তক্ষেপ বা হয়রানি করা যাবে না।
    3. জামানত ফেরত দেয়া: উপরে বর্ণিত শর্তানুযায়ী সময়মতো জামানত ফেরত দেয়া।
    4. আইনসম্মত নোটিশ প্রদান: ভাড়া বাড়ানো, চুক্তি নবায়ন না করা বা উচ্ছেদের ক্ষেত্রে আইনত নির্ধারিত নোটিশ প্রদান করা।

    ভাড়াটিয়ার কর্তব্য (আপনার দায়িত্ব):

    1. সময়মতো ভাড়া পরিশোধ: চুক্তিতে উল্লিখিত তারিখের মধ্যে পূর্ণ ভাড়া পরিশোধ করা ভাড়াটিয়ার প্রাথমিক কর্তব্য। বিলম্ব বা বকেয়া রাখা উচ্ছেদের বৈধ কারণ।
    2. সম্পত্তির যত্ন নেয়া: ভাড়াটিয়াকে সাধারণ ব্যবহারজনিত ক্ষতি ছাড়া বাড়ি ও তার সুযোগ-সুবিধার যত্নবান ভোক্তা (Careful Occupier) হিসেবে আচরণ করতে হবে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত:
      • ছোটখাটো মেরামত নিজেই করা (যেমন: একটি আলোর সুইচ পরিবর্তন, ছোটখাটো প্লাম্বিং বন্ধ)।
      • ইচ্ছাকৃত বা গুরুত্র অবহেলায় কোনো ক্ষতি না করা।
      • বাড়ি ও আশেপাশের এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।
    3. বাড়িওয়ালার অনুমতি ছাড়া বড় ধরনের পরিবর্তন না করা: দেয়াল ভাঙা, নতুন স্থাপনা তৈরি করা, বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং বা প্লাম্বিং ব্যবস্থায় বড় ধরনের রদবদল করা যাবে না বাড়িওয়ালার লিখিত অনুমতি ছাড়া।
    4. বাড়ি অন্যকে ভাড়া না দেয়া বা হস্তান্তর না করা: বাড়িওয়ালার লিখিত সম্মতি ছাড়া সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বাড়িটি অন্য কাউকে ভাড়া দেয়া (Sub-let) বা হস্তান্তর (Assign) করা যাবে না।
    5. চুক্তির শর্তাবলি মেনে চলা: চুক্তিতে উল্লিখিত অন্যান্য যুক্তিসঙ্গত শর্তাবলি মেনে চলা।

    দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরিণতি:

    • ভাড়াটিয়ার ব্যর্থতা: সময়মতো ভাড়া না দেয়া, সম্পত্তির ক্ষতি করা, অসামাজিক কার্যকলাপ – এগুলো উচ্ছেদের বৈধ কারণ। বাড়িওয়ালা ক্ষতিপূরণও দাবি করতে পারেন।
    • বাড়িওয়ালার ব্যর্থতা: বসবাসের অনুপযোগী অবস্থা বজায় রাখা, প্রয়োজনীয় মেরামত না করা – এসব ক্ষেত্রে ভাড়াটিয়া ভাড়া ট্রাইব্যুনালে আবেদন করে ভাড়া কমাতে পারবেন, মেরামতের আদেশ চাইতে পারবেন, এমনকি ক্ষতিপূরণও দাবি করতে পারবেন।

    আপনার অধিকার জানুন মানে এই ভারসাম্য বোঝা। দায়িত্ব পালন করলে অধিকার প্রতিষ্ঠা সহজ হয়। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আইনের প্রতি আনুগত্যই টেকসই ও শান্তিপূর্ণ ভাড়াটিয়া-মালিক সম্পর্কের চাবিকাঠি।

    ভাড়া বাড়ানো: কখন, কীভাবে, কতটুকু?

    ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টি বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং বিরোধের প্রধান উৎস। বাড়িওয়ালারা মুদ্রাস্ফীতি, রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বৃদ্ধির যুক্তি দেখান। ভাড়াটিয়ারা আয়-ব্যয়ের অসামঞ্জস্যের কথা বলেন। আইন এই জটিল বিষয়টিকে কিছু নিয়মের মধ্যে আনতে চেয়েছে। আপনার অধিকার জানুন এই পর্বে মানে হলো, ভাড়া বাড়ানো সম্পর্কে আইন কী বলে তা জেনে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।

    ১৯৯১ সালের আইনের ধারা ১০ ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে:

    • চুক্তির মেয়াদে ভাড়া বাড়ানো: যদি আপনার লিখিত চুক্তি একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য (যেমন: ২ বছর) করা হয়ে থাকে, এবং সেই চুক্তিতে ভাড়া স্থির (Fixed) থাকে, তাহলে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে বাড়িওয়ালা ভাড়া বাড়াতে পারবেন না। এটি চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করার শামিল।
    • চুক্তির মেয়াদ শেষে বা মাসিক চুক্তির ক্ষেত্রে:
      1. সরকারি বিজ্ঞপ্তি: সরকার ভাড়া নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (ভাড়া ট্রাইব্যুনাল)-এর সুপারিশের ভিত্তিতে বিভিন্ন এলাকা ও ধরনের ভবনের জন্য সর্বোচ্চ ভাড়ার হার নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে। বাড়িওয়ালা সেই নির্ধারিত হারের সীমার মধ্যে ভাড়া বাড়াতে পারেন।
      2. ট্রাইব্যুনালের আদেশ: যদি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে আপনার এলাকা/ভবনের ধরনের জন্য নির্দিষ্ট হার না থাকে, বা বাড়িওয়ালা সরকারি নির্দেশিত সীমার চেয়ে বেশি ভাড়া চান, তাহলে তাকে অবশ্যই ভাড়া নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপধের (ভাড়া ট্রাইব্যুনাল) কাছে আবেদন করে ভাড়া বাড়ানোর আদেশ নিতে হবে।
      3. ভাড়াটিয়ার সম্মতি: উভয় পক্ষের পারস্পরিক সম্মতিতেও ভাড়া বাড়ানো যায়। তবে এই সম্মতি অবশ্যই লিখিত হতে হবে।

    ভাড়া বাড়ানোর বৈধ প্রক্রিয়া:

    1. লিখিত নোটিশ: বাড়িওয়ালাকে আপনাকে একটি লিখিত নোটিশ দিতে হবে। এই নোটিশে উল্লেখ থাকতে হবে:
      • প্রস্তাবিত নতুন ভাড়ার পরিমাণ।
      • নতুন ভাড়া কার্যকর হওয়ার তারিখ (যা নোটিশ পাওয়ার কমপক্ষে ৩০ দিন পর হতে হবে)।
      • ভাড়া বাড়ানোর কারণ (যদি সরকারি সীমা বা ট্রাইব্যুনালের আদেশের ভিত্তিতে না হয়)।
    2. আপনার প্রতিক্রিয়া:
      • যদি রাজি হন: লিখিত সম্মতি দিন (ইমেইল, চিঠি বা স্বাক্ষরিত কাগজে)।
      • যদি রাজি না হন:
        • নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে ভাড়া নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (ভাড়া ট্রাইব্যুনাল)-এ আপত্তি/আবেদন দাখিল করুন।
        • ট্রাইব্যুনাল উভয় পক্ষ শুনবেন এবং ভাড়া বাড়ানো ন্যায্য কি না, তা নির্ধারণ করবেন।
        • ট্রাইব্যুনালের আদেশ চূড়ান্ত (আপিল সাপেক্ষে)।

    কোনো অবস্থাতেই বাড়িওয়ালা যেসব কাজ করতে পারবেন না:

    • জোর করে ভাড়া বাড়ানো: ভাড়া বাবদ বেশি টাকা নেয়া বা জোর করে আদায় করা।
    • সেবা বন্ধ করে দেয়া: ভাড়া বাড়ানোর চাপ তৈরি করতে পানির সংযোগ কেটে দেয়া, বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়া বা দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়া। এটি গুরুতর অপরাধ এবং ফৌজদারি মামলার যোগ্য।
    • অপমান বা হয়রানি করা: ভাড়া না বাড়ালে ভাড়াটিয়াকে অপমান করা, হুমকি দেয়া বা অন্য কোনোভাবে হয়রানি করা।

    আপনার করণীয় যদি অবৈধভাবে ভাড়া বাড়ানোর চাপ দেয়া হয়:

    1. চুক্তি ও আইন স্মরণ করিয়ে দিন: বাড়িওয়ালাকে শান্তভাবে কিন্তু দৃঢ়তার সাথে আপনার চুক্তির শর্ত এবং ১৯৯১ সালের আইনের প্রাসঙ্গিক ধারাগুলোর কথা স্মরণ করিয়ে দিন।
    2. লিখিত যোগাযোগ: সব ধরনের যোগাযোগ (আপত্তি, আলোচনার অনুরোধ) লিখিতভাবে রাখুন (ইমেইল, এসএমএস, রেজিস্টার্ড চিঠি)।
    3. ভাড়া ট্রাইব্যুনালে আবেদন: অবৈধ ভাড়া বৃদ্ধি বা হয়রানির বিরুদ্ধে স্থানীয় ভাড়া ট্রাইব্যুনালে আবেদন করুন।
    4. পুলিশে অভিযোগ: যদি জোরজবরদস্তি, সেবা বন্ধ করা বা শারীরিক উত্যক্ত করা হয়, স্থানীয় থানায় জিডি/মামলা করুন।

    আপনার অধিকার জানুন বলতে এখানে বুঝুন: ভাড়া বাড়ানো একটি নিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়া, বাড়িওয়ালার ইচ্ছামতো হাতের খেলা নয়। আপনার সম্মতি বা ট্রাইব্যুনালের আদেশ ছাড়া ভাড়া বাড়ানো আইনত অবৈধ এবং আপনি এর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর পূর্ণ অধিকার রাখেন।

    বাবা-মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের গুরুত্ব

    জেনে রাখুন-

    ১. বাড়িওয়ালা হঠাৎ করে কত টাকা ইচ্ছা ভাড়া চাইতে পারেন?
    না, বাড়িওয়ালা ইচ্ছামতো ভাড়া নির্ধারণ বা বাড়াতে পারেন না। ভাড়া সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সর্বোচ্চ সীমার মধ্যে থাকতে হবে বা ভাড়া নিয়ন্ত্রণ ট্রাইব্যুনালের আদেশক্রমে বাড়াতে হবে। আপনার সম্মতি ছাড়া বা ট্রাইব্যুনালের আদেশ ছাড়া ভাড়া বাড়ানো অবৈধ। আপনার অধিকার জানুন: ভাড়া বাড়ানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়।

    ২. জামানতের টাকা ফেরত পেতে সমস্যা হলে প্রথমে কী করব?
    প্রথমে বাড়িওয়ালাকে একটি রেজিস্টার্ড ডাক বা করজোড়ে লিখিত নোটিশ দিন, জামানত ফেরত চেয়ে। নোটিশে ভাড়া বাকি নেই ও সম্পত্তির ক্ষতি হয়নি এর প্রমাণের কথা উল্লেখ করুন এবং ১৫-৩০ দিনের মধ্যে টাকা ফেরত দাবি করুন। না পেলে স্থানীয় ভাড়া ট্রাইব্যুনাল বা দেওয়ানি আদালতে মামলা করার বিকল্প আছে। আপনার অধিকার জানুন: জামানত ফেরত পাওয়া আপনার আইনি অধিকার।

    ৩. বাড়িওয়ালা বলছেন বাড়ির মেরামতের জন্য ভাড়া বাড়াবেন। এটা কি আইনসম্মত?
    শুধু মেরামতের অজুহাতে ভাড়া বাড়ানো আইনসম্মত নয়। ভাড়া বাড়ানোর জন্য উপরে বর্ণিত প্রক্রিয়া (সরকারি সীমা, ট্রাইব্যুনালের আদেশ বা আপনার সম্মতি) অনুসরণ করতে হবে। বাড়িওয়ালার দায়িত্ব মৌলিক মেরামত করা। আপনার অধিকার জানুন: সাধারণ রক্ষণাবেক্ষণ খরচ ভাড়া বাড়ানোর বৈধ কারণ হিসেবে গণ্য হয় না।

    ৪. ভাড়া বাকি পড়লে বাড়িওয়ালা কি সাথে সাথে উচ্ছেদ করতে পারেন?
    না, সাথে সাথে উচ্ছেদ করা যায় না। ভাড়া বাকি পড়লে বাড়িওয়ালাকে প্রথমে একটি লিখিত নোটিশ দিতে হবে (সাধারণত ৩০ দিনের, কিন্তু চুক্তিতে কম সময় উল্লেখ থাকলে তা অনুযায়ী), বকেয়া ভাড়া শোধ করার জন্য। সেই নোটিশের সময়সীমার মধ্যে বকেয়া ভাড়া শোধ না করলে এবং বাড়ি না ছাড়লে, তবেই কেবল ভাড়া ট্রাইব্যুনালে উচ্ছেদের মামলা দায়ের করতে পারেন। ট্রাইব্যুনালের আদেশের পরেই শুধু উচ্ছেদ কার্যকর হয়। আপনার অধিকার জানুন: উচ্ছেদ একটি দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া।

    ৫. লিখিত চুক্তি ছাড়া ভাড়া থাকলে কি আমার কোনো অধিকার আছে?
    হ্যাঁ, আছে। বাংলাদেশে মৌখিক চুক্তিও আইনত গ্রহণযোগ্য। তবে, প্রমাণ করা অত্যন্ত কঠিন। ভাড়ার পরিমাণ, জামানত, উচ্ছেদের নোটিশ ইত্যাদি নিয়ে বিরোধ হলে মৌখিক চুক্তির ক্ষেত্রে প্রমাণের অভাবেই ভাড়াটিয়ার সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা বেশি। আপনার অধিকার জানুন: লিখিত চুক্তি সবসময় মৌখিক চুক্তির চেয়ে অনেক বেশি সুরক্ষা দেয়।

    ৬. বাড়িওয়ালা পানির পাম্প বা বিদ্যুৎ মিটার নিজের নামে না করলে আমার কী সমস্যা হতে পারে?
    এটি একটি জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়। যদি ইউটিলিটি সার্ভিস (পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস) সরাসরি আপনার নামে না থাকে, তাহলে:

    • বিল বাড়িওয়ালা দিলেও, আপনার ব্যবহারের হিসাব স্পষ্ট নাও হতে পারে।
    • বাড়িওয়ালা যদি বিল না দেয়, তাহলে আপনার সেবা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
    • এটি প্রায়ই বাড়িওয়ালার কর ফাঁকি দেয়ার একটি পদ্ধতি হতে পারে।
      চেষ্টা করুন ইউটিলিটি সংযোগ নিজের নামে নেয়ার। না পারলে, চুক্তিতে কে কোন বিল দিবে তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন। আপনার অধিকার জানুন: নিজের নামে ইউটিলিটি সংযোগ থাকা স্বচ্ছতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করে।

    আপনার অধিকার জানুন এই গাইডের প্রতিটি শব্দই লেখা হয়েছে রফিকুল ইসলাম এবং তাকে মতো লাখো শহুরে ভাড়াটিয়ার নিরাপত্তা ও মর্যাদার কথা ভেবে। বাংলাদেশের ১৯৯১ সালের ভাড়াটিয়া অধিকার সংরক্ষণ ও ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন শুধু কাগজে কলমে থাকা আইন নয়, এটি আপনার ঘর, আপনার পরিবার, আপনার নিশ্চিন্ত ঘুমের রক্ষাকবচ। ভাড়ার চাপ, জামানত ফেরত না পাওয়ার দুঃখ, অযৌক্তিক উচ্ছেদের আতঙ্ক – এই আইনের সঠিক প্রয়োগেই এসবের মোকাবেলা সম্ভব। মনে রাখবেন, জ্ঞানই শক্তি। আইন জানা মানে ভয়কে জয় করা, অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করা। আপনার হাতে আইন আছে। আপনার হাতে রাস্তা আছে – ভাড়া ট্রাইব্যুনাল, আদালত, আইনজীবী। আপনার কণ্ঠস্বর আছে। আপনার অধিকার জানুন, তারপর সেই জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে দাঁড়ান। লিখিত চুক্তি করুন, ভাড়ার রসিদ রাখুন, অন্যায় নোটিশের জবাব দিন, আইনি সাহায্য নিন। প্রতিটি সচেতন পদক্ষেপ শুধু আপনাকে নয়, আপনার পাশের বাসিন্দাকেও সুরক্ষা দেয়। আজই এই গাইডটি শেয়ার করুন, আলোচনা শুরু করুন। কারণ, আপনার অধিকার জানুন কখনোই শুধু ব্যক্তিগত বিষয় থাকে না – এটি একটি সমষ্টিগত সংগ্রাম, একটি ন্যায়সঙ্গত শহরের জন্য আমাদের যৌথ লড়াই।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    eviction notice house rent act legal rights rent agreement rent law security deposit tenant rights bangladesh অধিকার আইন আইনগত আপনার আপনার অধিকার জানুন উচ্ছেদ নোটিশ চুক্তি জানুন জামানত ফেরত নিয়ম, নির্ধারণ পরামর্শ বাড়ি ভাড়ার আইন বাড়ি, বাড়িওয়ালার দায়িত্ব বাংলাদেশ ভাড়া আইন বিষয়, বিষয়ক ভাড়া চুক্তি ভাড়া ট্রাইব্যুনাল ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন ভাড়া বাড়ানো ভাড়া, ভাড়াটিয়া অধিকার ভাড়াটিয়া সুরক্ষা ভাড়ার ভাড়ার নিয়ম মামলা মালিক লাইফস্টাইল শাস্ত্র সম্পর্ক সম্মতি সহায়তা,
    Related Posts
    পুরুষদের আগ্রহ

    পুরুষের এই গুণটি মেয়েদেরকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করে

    July 16, 2025
    ছাগল পালন

    ছাগল পালনে নতুন খামারিদের করণীয়

    July 16, 2025
    মরিচ

    কাঁচা মরিচ গাছ এই নিয়মে লাগালে হবে বাম্পার ফলন

    July 16, 2025
    সর্বশেষ খবর
    janata-bank

    বৈষম্যের অভিযোগে জনতা ব্যাংকের কর্মী অসন্তোষ

    Trump

    ছয় ঘণ্টার নোটিশে অভিবাসীদের দেশ ছাড়া করতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র

    Iran

    সামরিক বাজেট ২০০ শতাংশ বাড়িয়ে দশ বছরের যুদ্ধ প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান

    গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে নিহত ৪

    Nothing Phone 3

    বাজার কাঁপাচ্ছে Nothing Phone 3, জানুন দাম, অফার ও স্পেসিফিকেশন

    Marrige

    যেসব দেশে বিয়ে করলে সহজেই মিলতে পারে নাগরিকত্ব!

    Soudi

    সৌদি আরবে বিদেশিদের জন্য সম্পত্তি মালিকানার আইন অনুমোদন

    ২২ ক্যারেট সোনার দাম

    ২২ ক্যারেট সেনার দাম: ভরিপ্রতি স্বর্ণের আজকের বাজার দর কত?

    আজকের টাকার রেট

    আজকের টাকার রেট: ১৭ জুলাই, ২০২৫

    নামাজের সময়সূচি ২০২৫

    নামাজের সময়সূচি: ১৭ জুলাই, ২০২৫

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.