জুমবাংলা ডেস্ক: খাসিয়া উপজাতির লোকেরা গোল মরিচ চাষ করছেন। হবিগঞ্জের পাহড়ি এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে গোল মরিচ চাষের সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধারণা করছেন কৃষি বিভাগ। হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের আলিয়াছাড়া খাসিয়াপুঞ্জিতে চাষ হচ্ছে গোল মরিচ।
গুল্ম জাতীয় গোলমরিচ গাছ দেখতে অনেকটা পান গাছের মতোই। গোলমরিচের গাছ অন্য গাছ বিশেষ করে সুপারি গাছকে অবলম্বন করে বেড়ে ওঠে। প্রায় ৪ বছরে একটি গোল মরিচের গাছ পূর্ণতা পায়। তখন প্রতিটি গাছে ১ থেকে আড়াই কেজি পর্যন্ত গোল মরিচ উৎপাদন হয়।
গোলমরিচ চাষি আলিয়াছড়া খাসিয়াপুঞ্জির গোত্র প্রধান উ-থেন বলেন, আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে গোল মরিচের চারা রোপণ করা হয়। গাছের লতা থেকেই স্থানীয়ভাবে চারা উৎপাদন করা হয়। উৎপাদিত গোল মরিচ আহরণের পর শুকিয়ে রাখা হয়।
তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সময়ে এখানে এসে গোলমরিচ কিনে নিয়ে বাজারজাত করেন। আধুনিক পদ্ধতিতে গোল মরিচ চাষ এবং চাষিদের প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে জেলার পাহাড়ি এলাকায় মূল্যবান গোল মরিচ চাষের জমির পরিমাণ কয়েক গুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব বলে তিনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক নয়নমণি সূত্রধর বলেন, আলিয়াছড়া খাসিয়াপুঞ্জিতে গোল মরিচ চাষের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হবে। এ ছাড়া বাহুবল উপজেলার বৃন্দাবন চা-বাগান কর্তৃপক্ষকে বাগানের পরিত্যক্ত পাহাড়ি এলাকায় গোল মরিচ চাষ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।