ম্যাচ শেষে জয়ের হাসিটা হাসতে পারলে নিজেকে ভাগ্যবান ভাবতেই পারতেন। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে কজনইবা পেরেছেন ১১ হাজার রান করতে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সেই এলিট ক্লাবে প্রবেশ করেছেন পাকিস্তানের এই তারকা ব্যাটার। প্রোটিয়া লেগস্পিনার পিটারকে মিড উইকেটের ওপর দিয়ে বিশাল এক ছক্কা হাঁকিয়ে এই ক্লাবে প্রবেশ করেন বাবর।
পাকিস্তানের হয়ে ২য় এবং ইতিহাসের মাত্র ১১তম ব্যাটার হিসেবে এই ক্লাবে প্রবেশ করলেন বাবর আজম। পাকিস্তান থেকে এর আগে এমন কীর্তি আছে শোয়েব মালিকের। তার রান ১৩ হাজার ৪১৫। সবার ওপরে থাকা ক্রিস গেইলের রান ১৪ হাজার ৫৬২। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্রুততম ১১ হাজার রানও তার।
এমনকি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গতকাল ১৪ হাজার রান পূরণ করেছেন বাবর আজম। পাকিস্তানের হয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম ব্যাটার হিসেবে এই তালিকায় ঢুকেছেন সাবেক এই অধিনায়ক। সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ ইউসুফের (৩৩৭) চেয়ে একও ইনিংস বেশি খেলে (৩৩৮) এই তালিকায় ঢুকেছেন বাবর আজম। বৈশ্বিকভাবে অবশ্য দশম স্থানে আছেন তিনি।
সেঞ্চুরিয়ানে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাবর নায়ক হতে পারেননি। পাকিস্তানের ২০৫ রান দক্ষিণ আফ্রিকা টপকে গিয়েছিল রিজা হেনড্রিকসের ১১৭ রানের সুবাদে। রেকর্ডের পাতায় নাম তুলেছেন তিনিও।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টি-টোয়েন্টিতে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেছেন রিজা। সর্বোচ্চ ১১৯ রানের ইনিংস এসেছিল ফাফ ডু প্লেসির ব্যাট থেকে। ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এসেছিল সেই ইনিংস। এমনকি পাকিস্তানের বিপক্ষেও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস এটি।
ম্যাচ জেতাতে রাসি ভ্যান ডার ডুসেনের সঙ্গে প্রোটিয়া ইতিহাসে টি-টোয়েন্টির চতুর্থ সর্বোচ্চ জুটি করেছেন রিজা হেনড্রিকস। তবে টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় উইকেটে এটাই দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা জুটি। আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০১২ সালে হ্যামিল্টনে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে রিচার্ড লেভি ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের অবিচ্ছিন্ন ১৩৩।
এদিন কুইন্টন ডি কককে ছাড়িয়ে টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সবচেয়ে বেশি (১৮টি) পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসের কীর্তি গড়েছেন রিজা হেনড্রিকস। এছাড়া চলতি বছর দ্বিতীয়বার নিজের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভাঙলেন হেনড্রিকস। গত মে মাসে আগের সেরা ৮৩ ছাড়িয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেছিলেন ৮৭ রান। এবার পেলেন সেঞ্চুরি।
সাইম আইয়ুবকে ছাপিয়ে চারশ রানের ম্যাচে নায়ক সেঞ্চুরিয়ান রিজা
রিজা হেনড্রিকসের সেঞ্চুরির সুবাদে দলীয় রেকর্ড গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে মাত্র ৩য় দল হিসেবে ৫ বারের বেশি ২০০ এর বেশি রানের টার্গেট তাড়া করে জিতেছে তারা। সবচেয়ে বেশি ৭ বার ২০০ রানের বেশি তাড়া করে জয় পেয়েছে ভারত। অস্ট্রেলিয়াও ৫বার ২০০ এর বেশি রানতাড়া করে জয় পেয়েছে।
দূর্ভাগ্যের রেকর্ড অবশ্য জুটেছে সাইম আইয়ুবের কপালে। পাকিস্তানের ইতিহাসে ৪র্থ ব্যাটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৯৮ রানে থামতে হয়েছে তাকে। যদিও গতকাল ইনিংসের শেষ ৯ বলে স্ট্রাইক পাননি ৫৭ বলে ৯৮ রান করা সাইম। যদি সুযোগ পেতেন তবে ম্যাচের গল্পটাও হয়ত বদল হতো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।