বিনোদন ডেস্ক : বাবাকে রুষ্ট করেই নিজের স্বপ্নের দিকে হাত বাড়িয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। সাফল্য পেয়েছেন মডেলিং করে। সম্প্রতি তিনি এক জনপ্রিয় সিরিয়ালের নায়িকা। তাঁর বাবা কি মেনে নিলেন মেয়ের ইচ্ছা? কী বললেন অভিনেত্রী?
‘গীতা এলএলবি’ ধারাবাহিকটি টিআরপির তালিকায় ভাল নম্বরই তোলে বরাবর। সেই ধারাবাহিকটিতে অভিনয় করেন হিয়া মুখোপাধ্য়ায়। তিনিই প্রধান চরিত্রে রয়েছেন। তিনিই ধারাবাহিকের গীতা। এক আইনজীবীর চরিত্রে অভিনয় করেন হিয়া। চরিত্রটা দরিদ্র, কিন্তু সৎ। ন্যায়ের পথে থাকা গীতা বেশ ‘গুন্ডা’টাইপের এক মেয়ে। কবজি ঘুরিয়ে সংলাপ বলে হিয়া, “কোর্টের ভিতর মুখ চলে, আর কোর্টের বাইরে হাত।” দুষ্টুলোককে কোর্টেই বাইরে মেরে কুপোকাত করে দিতে পারে সে। কিন্তু বাস্তবজীবনে কেমন মেয়ে হিয়া?
বললে বিশ্বাস করা কঠিন, বাস্তব জীবনে নাকি এক্কেবারে ভিন্ন ধরনের এক মেয়ে হিয়া। ১০ বছর ধরে জমিয়ে মডেলিং করেছেন তিনি। এবার অভিনেত্রী হিসেবেও কাজ শুরু করছেন। গীতা হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। দর্শকদের ভালবাসা কুড়াচ্ছেন হিয়া। কিন্তু এই হিয়া গীতার মতো নন। গীতা যতখানি দাপুটে, হিয়া এক্কেবারেই নরম স্বভাবের। জীবনে তাঁর মা অনেকখানি জুড়ে আছেন।
আর বাবা? হিয়ার ঠাকুরদা ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। তাঁর বাবা এক গবেষক। অনেকে চেয়েছিলেন উচ্চশিক্ষা অর্জন করবেন হিয়া। কিন্তু বাবার স্বপ্নটা যে তাঁর স্বপ্ন ছিল না কোনওদিনই। হিয়া চাইতেন অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে। তাই মেয়ের এই লড়াইয়ে বাবাকে তেমনভাবে পাশে পাননি হিয়া। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছেন, “বাবা চাইতেন আমি সাহিত্য নিয়ে কিংবা পড়াশোনা নিয়ে কিছু করি। কিন্তু বাবার ইচ্ছেটা আমি রাখতে পারিনি। সেটাই আমার বাবার আক্ষেপ।”
তবে ‘গীতা এলএলবি’ জনপ্রিয় হওয়ার পর থেকে মেয়ের ইচ্ছাকে মেনে নিয়েছেন তাঁর বাবা। হিয়া বলেছেন, “এখন সন্ধ্যা ০৬.৩০টা বাজার অনেক আগে আমার বাবাই টিভি সেটটার সামনে বসে পড়েন। বাবা-মা দু’জনেই চা খেতে-খেতে টিভিতে আমার অনুষ্ঠান দেখেন। এটা আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া। কেউ না দেখুক আমার সিরিয়াল, বাবা-মা দেখলেই হবে। এখন হয়তো আমার বাবা আমার কাজ ভালবাসেন কিন্তু তার বহিঃপ্রকাশ নেই।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।