নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: দুলাল ফকিরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাসলিমা আক্তারের। সেই প্রেমের জেরে প্রায়ই এক সঙ্গে সময় কাটাতেন তারা। এরই মধ্যে পারিবারিক কোনো বিষয় নিয়ে দুজনের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাবা-মাকে জড়িয়ে দুলালকে গালাগাল করেন তাসলিমা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাসলিমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন দুলাল। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থেকে কৌশলে তাসলিমাকে গাজীপুরে এনে গলা কেটে হত্যা করেন দুলাল।
বুধবার (৫ জুন) গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) টিমের হাতে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য দেন প্রেমিক দুলাল।
বুধবার (৫ জুন) রাতে পিবিআই গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, হালুয়াঘাটের কোনাপাড়ার যোগানিয়া গ্রামের ইদ্রিস আলীর মেয়ে তাসলিমা গত ৫ এপ্রিল বিকেলে তার বোনের মেয়ে ঝিনুক বেগমের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন। পরদিন ৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গাজীপুরের জয়দেবপুরের দরগারচালা এলাকার একটি আম বাগান থেকে তাসলিমার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাসলিমার ভাই মোজাম্মেল হক থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ঘটনার দিন সকালে দুলাল কৌশলে তাসলিমাকে গাজীপুরে ডেকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় এবং পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে একটি ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে ঘটনাস্থলেই ছুরি রেখে পালিয়ে যান। ক্লুলেস এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে মাঠে নামে পিবিআই।
গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে মঙ্গলবার (৪ জুন) সন্ধ্যায় দুলালকে শেরপুর জেলার নকলা থানার হাসানখিলার তারাকান্দা বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। দুলাল ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানার পারতলা গ্রামের আব্দুল মজিদ ফকিরের ছেলে। বুধবার বিকেলে আদালতে হাজির করা হলে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে জবানবন্দি দেন দুলাল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।