বিনোদন ডেস্ক : বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খান ও তার সাবেক স্ত্রী অমৃতা সিংয়ের মেয়ে অভিনেত্রী সারা আলি খান এবং ছেলে ইব্রাহিম আলি খান। বহু বছর আগে বিচ্ছেদ হয়েছে সাইফ-অমৃতার। দুই ছেলে-মেয়ে তাদের মায়ের কাছেই থাকেন। তবে ছেলে-মেয়ের ভরণপোষণের সব দায়িত্বই বাবা হিসেবে পালন করেন সাইফ।
১৯৯১ সালে নিজের থেকে বয়সে ১০ বছরের বড় অভিনেত্রী অমৃতা সিংকে বিয়ে করেন এই নায়ক। এর পরই দম্পতির দুই ছেলে-মেয়ে হয়। কিন্তু সেই দাম্পত্য ভেঙে যায় ২০০৪ সালে। এরপর ২০১২ সালে অভিনেত্রী কারিনা কাপুরকে বিয়ে করেন সাইফ। এ সংসারেও অভিনেতার দুই সন্তান।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বাবা-মায়ের ডিভোর্স নিয়ে মুখ খুলেছেন এই সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা সারা। অভিনেত্রীর কথায়, তাদের দুজনকে বিচ্ছেদ হতে দেখা সত্যিই তার কাছে ততটা কঠিন ছিল না।
সারা জানিয়েছেন, বয়সের তুলনায় অন্যান্যদের থেকে আগাগোড়াই একটু বেশি ম্যাচিউর ছিলেন তিনি। মাত্র ৯ বছর বয়সেই বুঝে গিয়েছিলেন, একই ঘরে থাকা দুজন মানুষ একে অপরের সঙ্গে সুখী নয়। দুজনে আলাদা ঘরে থাকতে শুরু করার পরই তাদের খুশি ফিরে আসে।
তবে গত ১০ বছর ধরে অভিনেত্রী তার মা অমৃতাকে খুশি দেখেননি। আচমকা মায়ের মুখে হাসি দেখে তাকে সুন্দর এবং উচ্ছ্বসিত দেখে ভালো লেগেছিল সারার। যেন সেগুলো তার মায়ের পাওয়া উচিত ছিল বলে মনে হয়েছিল অভিনেত্রীর।
তাই সারার মতে, যখন তার বাবা-মা দুজনে আলাদা বাড়িতে থেকে খুশি ছিলেন, তাহলে তিনি কেন অখুশি হবেন। অভিনেত্রীর কথায়, এটা মোটেই কঠিন ছিল না তার কাছে।
সারার জানিয়েছেন, ‘ওরা দুজনেই নিজেদের জায়গায় খুব সুখে আছে। আমি আমার মাকে হাসতে, মজা করতে এবং বোকামো করতে দেখি। সেগুলো আমি অনেক বছর ধরে মিস করে এসেছিলাম। এই ভাবে দেখতে পেয়ে অন্যরকমের স্বস্তি পাই’।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।