বিনোদন ডেস্ক : বরাবরই অভিনয়ের পাশাপাশি নির্মাণেও দর্শকদের মুগ্ধ করেন অভিনেতা ও নির্মাতা আফজাল হোসেন। বর্তমানে নিজের নতুন সিনেমা নির্মাণসহ একাধিক কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন তিনি। তবে এর মাঝেও নিজের সহকর্মীদের কাজ দেখা এবং শুভেচ্ছা জানাতে দেরি করেন না আফজাল হোসেন।
সম্প্রতি নির্মাতা শিহাব শাহীন বাবা-মেয়ের গল্পে নির্মাণ করেছেন সিনেমা ‘বাবা, সামওয়ান ইজ ফলোয়িং মি’। সিনেমাটি দেখার পর নিজের ফেসবুকে আফজাল হোসেন লিখেছেন, বাবা, সামওয়ান ইজ ফলোয়িং মি-বাবা, কে যেন আমাকে অনুসরণ করছে। এটা একটা সিনেমার নাম। নামে আছে নতুনত্ব, সিনেমাটা জুড়েও রয়েছে তা। পর্দায় যতক্ষণ গল্পটা চলেছে হলভর্তি দর্শক চোখ সরাতে পারেননি, রুদ্ধশ্বাসে দেখতে বাধ্য হয়েছেন। গল্প, চিত্রনাট্যের বিন্যাস, নির্মাণের মুন্সিয়ানা, শিল্পীদের অভিনয়, চিত্রগ্রহণ ও আবহসংগীত-সব মিলিয়ে যেকোনো দর্শকের জন্য এস কে এস সিনেপ্লেক্সের গত সন্ধ্যাটি ছিল অতি চমত্কার এক অভিজ্ঞতা।
তিনি আরও লিখেন, সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন খ্যাতিমান নির্মাতা শিহাব শাহীন। তাঁর নির্মিত বেশ কটি সিনেমা ইতোমধ্যে দর্শকের খুবই প্রিয় হয়েছে। বলছি সিনেমা কিন্তু সিনেমার সকল গুনাগুন থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন ওটিটি প্লাটফর্মে দেখানো হয় বলে এগুলোর অন্য একটা নাম দেয়া হয়েছে। সিনেমা হল, চলচ্চিত্রের দর্শকের জন্য বাবা, সামওয়ান ইজ ফলোইং মি নির্মিত হয়নি। দেখা যাবে বিন্জে। কিন্তু গতকাল সিনেমাটা শেষ হওয়ার পর তৃপ্ত আনন্দিত দর্শকদের মুখ দেখে মনে হয়েছিল, এটা সগৌরবে সিনেমাহলেও মুক্তি পেতে পারতো। ছোট পর্দার জন্য নির্মিত হলেও সিনেমা তো সিনেমাই।
গল্পটা এই রকম-মেয়ে থাকে অস্ট্রেলিয়াতে। একরাতে কাজ থেকে ফেরার পথে সে লক্ষ্য করে একজন তাকে অনুসরণ করছে। ঢাকাতে ফোন করে বাবাকে সে বিপদের আশঙ্কার কথা জানায়। ব্যস! গল্পটা দৌঁড়াতে শুরু করে। এই দৌঁড়ের মধ্যে এক একটা চরিত্রের দেখা মেলে, ঘটনা বহুদিকে ডালপালা মেলতে থাকে।
বাবা-মেয়ের চরিত্র নিয়ে তিনি বলেন, মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছে তাসনিয়া ফারিন। লেডিস এ্যান্ড জেন্টেলম্যানে ওকে প্রথম দেখি এবং বিস্মিত হই। মুগ্ধ হয়েছিলাম কারাগার দেখে। হাল্কা পাতলা গড়নের মেয়েটা ওজনদার অভিনয় করে। বাবা, সামওয়ান ইজ ফলোইং মি তেও বরাবরের মতোই মনোযোগ টেনে ধরে রাখে তাসনিয়া ফারিন। বাবার চরিত্রে দারুণ অভিনয় উপহার দিয়েছে শহীদুজ্জামান সেলিম। চরিত্রটায় ছিল নানা রঙ। একদিকে প্রবল আদর্শবাদী, প্রতিবাদী মানুষ আবার অতি সাধারণও। মধ্যবিত্ত পিতৃত্বের অহং ঝলসে ওঠে কখনো, পাশাপাশি বয়ে চলে করুণ অসহায়ত্ব- এতকিছু বিস্তারিত অভিনয়ে তুলে আনা অনেক পরিণত অভিনয়শিল্পীর পক্ষেই সম্ভব। এই চরিত্রের অভিনয় থেকে সেলিম নিজেকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেলো।
তিনি আরও বলেন, ভালো লেখা ভালো অভিনয়ের জন্য খুব দরকারি। লেখা আর নির্মান দুটোতেই শিহাব শাহীন যে পাঁচ তারকা মানের বাবা সামওয়ান ইজ ফলোইং মি দেখে শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যায়। মেয়েটির প্রেমিক চরিত্রটি যেভাবে লেখা হয়েছে- এক বাক্যে অসাধারণ।
যেমন লেখা তেমন মাপের অভিনয় করা সহজ কাজ ছিলনা- ইরফান সাজ্জাদ হেরে যায়নি, মনে ধরার মতো অভিনয় করতে পেরেছে। সোহেল মন্ডল বরাবরের মতোই ভালো। অন্যান্য চরিত্রের অভিনয়শিল্পীরা প্রত্যেকেই ভালো ছিল বলে গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যগুলো সত্য বলে মনে হয়েছে। ভালো লাগলে অনেক অনেক ভালো বলতে ভালো লাগে। একটা কথা ভেবে মনখারাপ হচ্ছে- সবাই বড় পর্দায় সিনেমাটা দেখতে পাবেনা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।