বিনোদন ডেস্ক : জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের পুত্র নুহাশ হুমায়ূন। বেশ কয়েক বছর ধরেই নির্মাণে এসেছেন তিনি। সে অনুযায়ী কোনো সাফল্য বা আলোচনা না পেলেও নির্দিষ্ট গণ্ডিতে নিজের নামটি প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে চলেছেন। সম্প্রতি দেশীয় একটি ওটিটি প্লাটফর্ম থেকে সাইকোলজিক্যাল হরর ঘরানার চারটি ভিন্ন গল্প নিয়ে নির্মাণ করেছেন অ্যান্থোলজি সিরিজ ‘পেটকাটা ষ’।
সেই ওয়েব সিরিজটির তিনটি গল্প মুক্তি পেয়েছে। আরও একটি গল্প মুক্তির অপেক্ষায়। ওয়েব সিরিজটি নিয়ে ২৬ এপ্রিল রাত ৮টায় একটি গণমাধ্যমের লাইভ অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এসেছিলেন তিনি। আয়োজনে সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন সারা ফ্যায়রুজ যাইমা নামের এক উপস্থাপিকা। সেখানে প্রয়াত বাবা নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের পুত্র হিসেবে এ পর্যন্ত আসতে পেরেছেন কি না- এমন একটি প্রশ্ন করা হয়েছিল নুহাশকে।
লাইভ শেষে বিষয়টি নিয়ে চরম বিরক্তি প্রকাশ করেছেন নুহাশ। তিনি তার ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাসও দেন এ নিয়ে। সেখানে ইংরেজিতে নুহাশ লেখেন, ‘‘বাংলাদেশে রিপোর্টিং যদি আরেকটু সম্মানজনক হতো! একটু আগে আমি লাইভ ইন্টারভিউতে ছিলাম; ভেবেছিলাম ‘ষ’ নিয়ে কথা হবে। সেখানে আমাকে প্রশ্ন করা হলো, যদি আমার বাবা (হুমায়ূন আহমেদ) না হতেন, তাহলে আমি এই অবস্থানে আসতে পারতাম কি-না? আমি জানি না আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত একজন নির্মাতাকে আপনারা এই প্রশ্ন করেন কীভাবে?
আপনাদের কি মনে হয়, সানড্যান্স, বুসান, এএক্সএসডাব্লিউ, মার্শে দ্যু ফিল্ম- আন্তর্জাতিক উৎসবগুলোতে বাপের নাম দেখে ইনভাইট করা হয়?’
আয়োজনের ১১ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডে সঞ্চালক নুহাশের কাছে প্রশ্ন করেন, ‘যদি আপনি নুহাশ হুমায়ূন না হতেন, হুমায়ূনপুত্র না হতেন, তাহলে কি আপনি যেখানে ছিলেন সেখানে থাকতেন বলে মনে হয়?’
উত্তরে নুহাশ বলেন, ‘জানি না, আমি শেষ যে পাঁচটি ইন্টারভিউ করলাম, আমি খুব ইউজ টু হয়ে গেছি, এ জিনিসগুলো আসে না, খুবই আরাম লাগে। ইন্টারন্যাশনালি সবাই আমাকে আমার কাজের জন্য চেনে। এটা আমাদের কালচারাল একটা জিনিস, আমরা আমাদের আর্টিস্টদের কাজের থেকে তাদের পার্সোনাল লাইফে ইন্টারেস্টেটা বেশি।
এ প্রশ্নটা মিডিয়া থেকে বেশি আসে। মিডিয়া এ রিপোর্টগুলো করতে পছন্দ করে বেশি, আর অ্যাকচুয়াল কাজের সাকসেস নিয়ে কথা বলে না। আমি ইন্টারনাশনালি সেলিব্রেটেড ফিল্মমেকার। ওখানে ফ্যামিলি ট্যামিলি নিয়ে ভাবার স্পেস নাই।’
ইন্টারভিউ প্রচার হওয়ার পরপরই নুহাশ ওই প্রশ্নে বিরক্তি প্রকাশ করে ফেসবুকে স্টেটাস দেন। নুহাশের স্ট্যাটাসের নিচে মন্তব্যের ঘরে তার মা গুলতেকিন খান ছেলেকে সান্ত্বনা দিয়ে ইংরেজিতে লেখেন, ‘আপসেট হয়ো না বাবা। এ জন্যই আমি কোনো পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দেই না। তারা অনেকভাবে চেষ্টা করে, কিন্তু আমি বলি আমাকে মেইলে প্রশ্ন পাঠান। আমি দেখি কিছু প্রশ্নের পর তারা আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন করে। এদের অনেকের ইচ্ছা থাকে এক পক্ষের কথা নিয়ে লিখে দিতে। এটা কি পেশাদারত্ব?’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।