জুমবাংলা ডেস্ক : যশোরে বাবার বিরুদ্ধে আল আমিন (৫) নামে এক শিশুকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের বাকুড়া গ্রামে বুধবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ওই শিশুটির বাবার বিরুদ্ধে তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করেছেন শিশুটির নানী। তবে শিশুটির বাবার পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। শিশুটি এখন গুরুতর অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা অথবা ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) রাতে হাসপাতালে শিশুটির নানী শাকিরন বলেন, একই গ্রামের প্রতিবেশী দাউদ সরদারের ধর্ষণের শিকার হয়ে শিশুটির জন্ম হয়। এরপর আদালতে মামলা হলে ডিএনএ পরীক্ষায় দাউদ সরদার শিশুটির বাবা নিশ্চিত হয়। পরবর্তীতে আমার মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেই। মেয়ে এখন অন্য গ্রামে থাকে। বুধবার রাতে আল আমিনকে নিয়ে আমি একসাথেই ঘুমিয়ে ছিলাম। রাত একটার দিকে আল আমিনের চিৎকারে আমার ঘুম ভেঙে দেখি বিছানার একপাশে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। তাড়াতাড়ি পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে আল আমিনকে নিয়ে হাসপাতালে আসি। দাউদ সরদারই শিশুটিকে হত্যার জন্য এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
দাউদ সরদার কেন এমন ঘটনা ঘটাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে শিশুটির নানী জানান, সম্পত্তির ব্যাপার আছে। পাশাপাশি দাউদের ছেলে মেয়েরাও বড় বড় চাকরি করে। এ বাচ্চা বেঁচে থাকলে তাদের মান-সম্মানের ব্যাপার এজন্য হয়তো হত্যারচেষ্টা করতে পারে।
শিশুটির ব্যাপারে হাসপাতালের চিকিৎসক মো. শরীফুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, শিশুটির ৮০ শতাংশ শরীর পুড়ে গেছে। তার অবস্থা গুরুতর। এ কারণে তাকে খুলনা অথবা ঢাকায় নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে রাতে দাউদ সরদারকে ফোন দেয়া হলে তার মেয়ে ধরেন। তিনি বলেন, ‘শাকিরন যশোর থাকে। এ ঘটনা ঘটার আগে সে কখন গ্রামে এসেছে তাও আমরা জানি না। এর আগে সে মেয়ের বিয়ে দিতে এবং শিশুটির খরচের জন্য ৫ লাখ টাকাও নিয়েছে। আমরা শিশুটিকে আমাদের কাছে রাখতে চাইলে শাকিরন তাও দেয়নি। সে আরও ১০ লাখ টাকা চেয়েছে। সামনে বাবার মামলার রায় হবে। আর আগুন দিয়ে শিশুটিকে পোড়ানোর ঘটনায় আমার আব্বা জড়িত না।
এ ব্যাপারে ঝিকরগাছা থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এ ব্যাপারে থানায় কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। তবে কিছুক্ষণ আগে জানতে পেরে বাঁকড়া ফাঁড়িকে বিষয়টি খোঁজ নিতে বলেছি। সূত্র : সময় নিউজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।