জুমবাংলা ডেস্ক : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিনই করোনা ও করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাচ্ছেন অনেকেই। এরই ধারাবাহিকতায় মেডিকেলটিতে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান মুজিবর রহমান (৪২) নামে এক ব্যাক্তি। ফলে হাসপাতালেই মরদেহের পাশে বসে কাঁদতে থাকে তার ৭ বছরের মেয়ে মরিয়ম খাতুন। সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর অসহায় ওই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে নওগাঁ জেলা প্রশাসন।
আজ মঙ্গলবার ভিডিওটি জেলা প্রশাসকের নজরে আসে। এরপর তিনি পোরশা উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নে কলনীবাজার গ্রামে মৃত মুজিবর রহমানের বাড়ি খুঁজে বের করেন। পরিবারটিকে ১০ হাজার টাকা দেন তিনি। এছাড়া একটি মুদি দোকান করে দেওয়ারও আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক।
মৃত মুজিবুর রহমানের স্ত্রী তানজিলা বেগম জানান, বেশ কিছুদিন ধরে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন তার স্বামী। প্রথমে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেন। এরপর পার্শ্ববর্তী একটি ক্লিনিকে এবং পরে পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে তাকে সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেলে পাঠানো হয়। সেখানে গতকাল সোমবার সকালে রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়ার পর ভর্তির আগেই মারা যান মুজিবর রহমান।
তানজিলা বলেন, ‘তখন লাশের পাশে আমার ৭ বছরের মেয়েকে রেখে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে যাই। বাবাকে হারিয়ে লাশের পাশেই বসে কান্না করছিল আমার ছোট মেয়ে মরিয়ম।’ ওই সময় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক লোক ঘটনাটি ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. হারুন অর রশীদ বলেন, ‘ভিডিওটি ফেসবুকে দেখার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হামিদ রেজাকে ওই ব্যক্তির বাড়ি খুঁজে বের করে পরিবারের খোঁজখবর নিতে বলি। খুঁজে পাওয়ার পর দুপুরের দিকে তাৎক্ষণিক মৃত ব্যক্তির স্ত্রী তানজিলার হাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তাকে একটি মুদি দোকানও করে দেওয়া হবে।’ ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।