বাবারে টাকা লাগবে না, তুই দেশে ফিরা আয়। আমি তোর মুখটা দেখতে চাই’-এমন বিলাপ করতে করতে বার বার মুর্ছা যাচ্ছিলেন সৌদি আরবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে মৃত মেহেদি হাসান আকাশের মা শাহিনুর আক্তার।
রোববার দুর্ঘটনার দিন ছেলের সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয় শাহিনুর আক্তারের। আগামী সপ্তাহে আকাশ টাকা পাঠানোর কথা বলেন মাকে। রমজান মাসে দেশে আসবেন, কার জন্য কি লাগবে মায়ের কাছে জানতে চেয়েছিলেন আকাশ। রমজানের আগেই বাড়ি ফিরবেন আকাশ, তবে কফিনে বন্দি হয়ে।
স্বজনদের আহাজারিতে আকাশের বাড়ি মতলব দক্ষিণ উপজেলার নলুয়া গ্রামে শোকের মাতম চলছে। সৌদি আরবের তায়েফ শহরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে রোববার রাতে আকাশের মৃত্যু হয়।
একই দুর্ঘটনায় আকাশের মামা লিটন (৪২) ও তার খালাতো ভাই ফয়সাল মোল্লার (২৫) মৃত্যু হয়। বর্তমানে তাদের মরদেহ ওই দেশের হাসপাতালে রয়েছে।
মেহেদির চাচাত ভাই মাসুদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লিটনের ফুফাতো ভাইয়ের ছেলে সেলিম ফোন করে আমাদের মৃত্যুর সংবাদ জানিয়েছেন।
মাসুদ বলেন, তারা তিনজন সে দেশে ফ্র্রি ভিসায় কাজ করতেন। মৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়নি। তাদের মরদেহ আনার চেষ্টা চলছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা হক জানান, সৌদি আরবে মারা যাওয়া তিনজনের ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কেউ জানাতে পারেনি। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মরদেহ দেশে আনতে আমার সহযোগিতা থাকবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।