মহাবিশ্বের নানা অজানা রহস্য উন্মোচন করা হচ্ছে আস্তে আস্তে। আধুনিক বিজ্ঞানের সহায়তায় আমরা এক্সোপ্ল্যানেটের সন্ধান পেয়েছি। এরকম এক্সোপ্ল্যানেটে জীবনের বিকাশ ঘটানোর অনেক উপাদান বিদ্যমান রয়েছে।
২০২০ সালে ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং টেকনিকাল ইউনিভার্সিটি অব বার্লিন এর এস্ট্রোবায়োলজিস্ট সমস্ত গ্রহ নিয়ে নতুন গবেষণা শুর করেন। পৃথিবীর মত বসবাসের অনুকূল পরিবেশ এর সন্ধান অন্য গ্রহে পাওয়াই এর উদ্দেশ্য।
মহাবিশ্বে খোঁজ করে এরকম ২৪টি গ্রহের সন্ধান পাওয়া গেছে যেখানে জীবন বিকাশের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। এসব গ্রহের বৈশিষ্ট্য সম্মলিত একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
বৈশিষ্ট্যর মধ্যে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে উপযুক্ত তাপমাত্রা, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং পানির বিষয়টি। যদি এমন গ্রহের সন্ধান পাওয়া যায় সেখানে বসেবাসের অনুকূল পরিবেশে রয়েছে তখন কী পরিমাণ পানি মজুদ রয়েছে সেটা বিবেচনা করা হয়।
বিজ্ঞানীরা এটাও বিবেচনা করেন যে, ওই গ্রহের মধ্যাকর্ষণ বল কতটা বেশি। মাধ্যাকর্ষণ বল বেশি হলে প্রাণ বিকাশের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। গ্রহের চারপাশে প্রোটেকটিভ ম্যাগনেটিক ফিল্ড সক্রিয় আছে কিনা সেটা দেখা হয়।
পৃথিবীর সহনশীল তাপমাত্রার মতো অনুকূল পরিবেশ আছে কিনা সে বিষয়টি বিবেচনা করে বিজ্ঞানীরা। ২৪টি গ্রহের মধ্যে এমন দুটো গ্রহের সন্ধান বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন যেখানে অনুকূল তাপমাত্রা বজায় রয়েছে।
নাইট্রোজেন চক্র চলমান আছে কিনা সেটির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অ্যামিনো এসিড, প্রোটিন, ডিএনএ সব কিছুতেই নাইট্রোজেনের সরব উপস্থিতি রয়েছে। নাইট্রোজেন থাকা মানে দ্রুতগতিতে জীবন বিকাশ লাভের সম্ভাবনা তৈরি হওয়া।
বর্তমানে বিজ্ঞানীরা জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ দিয়ে গ্রহগুলোকে আরো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বিজ্ঞানের মনে করেন যে, বৃহস্পতি গ্রহের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপগ্রহ ক্যালিস্ট্রোতে বসবাসের অনুকূল পরিবেশে রয়েছে। ভবিষ্যতে হয়তো বিজ্ঞানীরা এখানে বসতি গড়ে তোলার চেষ্টা করতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।