জুমবাংলা ডেস্ক : সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি থাকাকালে রাজধানীর গুলশানে একটি সরকারি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। অবসরে যাওয়ার পর এক বছরের বেশি সময় তিনি ওই বাড়িটি দখলে রেখেছিলেন।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বাড়িটি ছাড়ার জন্য বারবার তাগাদা দেওয়ার পর ২০১৭ সালের মে মাসে শামসুদ্দিন চৌধুরী বাড়িটি ছাড়েন। তবে বাড়িভাড়া, গ্যাস ও পানির বিল বাবদ সরকারের পাওনা ১৪ লাখ ১৯ হাজার ২০০ টাকা তিনি এখনো পরিশোধ করেননি।
জানা যায়, শামসুদ্দিন চৌধুরী বিচারপতি হিসেবে ঢাকার গুলশানে ৩৫ নম্বর সড়কে সরকারি একটি বাড়ি বরাদ্দ পেয়ে সেখানে ওঠেন ২০১২ সালের নভেম্বরে। তিনি অবসরে যান ২০১৫ সালের ২ অক্টোবর। অবসরের পর বাড়িটিতে আরও দুই বছর থাকবেন বলে জানিয়ে সরকারি আবাসন পরিদপ্তরকে চিঠি দেন শামসুদ্দিন চৌধুরী।
আবাসন পরিদপ্তর সূত্র জানায়, তাকে ছয় মাস থাকার অনুমতি দেওয়া হয়। সে হিসেবে বিচারপতি মানিকের বাড়ি ছাড়ার কথা ২০১৬ সালের এপ্রিলে। কিন্তু ওই সময়ে তিনি বাড়ি ছাড়েননি। ছাড়েন ২০১৭ সালের মে মাসে। সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের সাম্প্রতিক হিসাবে, শামসুদ্দিন চৌধুরী তাকে দেওয়া সময়ের চেয়ে যত দিন বেশি ওই বাড়িতে ছিলেন, সেই সময়ের বাড়িভাড়া, পানি বিল ও গ্যাস বিল বাবদ সরকারের পাওনা দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ টাকা।
অবসরে যাওয়ার পর সরকারি বাড়ি ছাড়তে শামসুদ্দিন চৌধুরীকে চিঠি দিয়েছিল সরকারি আবাসন পরিদপ্তর। নথিপত্র বলছে, চিঠির জবাবে শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, অবসরে যাওয়ার পর বিচারপতিরা ১২ মাস বিনা ভাড়ায় সরকারি বাসায় বসবাস করতে পারেন। এর জবাবে আবাসন পরিদপ্তর থেকে জানানো হয়, বিচারপতিরা অবসরে যাওয়ার পর এক বছর বিনা ভাড়ায় থাকতে পারার সরকারি কোনো আদেশ, নির্দেশ বা পরিপত্র নেই।
সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের দুজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বকেয়া টাকা চাইতে গেলে শামসুদ্দিন চৌধুরী অস্বীকৃতি জানাতেন। বাজে ব্যবহারও করতেন। পরে তার কাছে টাকা চাওয়া বন্ধ করে দেন কর্মকর্তারা। নিয়ম অনুযায়ী সরকারি বাসা ছেড়ে দেওয়ার পর সব কর্মকর্তাকে আবাসন পরিদপ্তর থেকে না-দাবি সনদ নিতে হয়। শামসুদ্দিন চৌধুরী এই সনদের জন্য আবেদনই করেননি।
বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য জানতে শামসুদ্দিন চৌধুরীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। তবে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর তিনি কেটে দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।