বিনোদন ডেস্ক : চুরি-ছিনতাই কিংবা ডাকাতদের নিয়ে নানা ধরনের গল্প-কাহিনি রয়েছে। হয়তো কারো মুখে, না হয় বই বা পত্রিকায় পড়ে সেসব জানা হয়েছে। কিন্তু খুব কম সংখ্যক মানুষই রয়েছেন যারা সরাসরি ডাকাতদের কবলে পড়েছেন। আর ভয়ংকর এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন বলিউডের আলোচিত অভিনেতা অক্ষয় কুমার।
ডাকাতদের কবলে পড়ে অভিনব উপায়ে রক্ষা করেছিলেন নিজেকে। ট্রেনের মধ্যে ঘুমের ভান করে রক্ষা করেছিলেন নিজেকে। আর অতি কষ্টে জীবন রক্ষা করার সেই অভিজ্ঞতাই জানিয়েছেন এ বলিউড তারকা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরেই বক্স অফিসে সাড়া পাচ্ছে না অক্ষয় কুমারের সিনেমা। তবে আসন্ন সিনেমা ‘সিংহম এগেইন’ থেকে দর্শকদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। আবার তার ক্যামিওসহ সদ্য মুক্তি পাওয়া ‘স্ত্রী ২’ এখনো বক্স অফিস কাঁপাচ্ছে। তবে চম্বল ডাকাতদের কবলে পড়ার ঘটনাটি কোনো সিনেমার নয়। অভিনেতার বাস্তবজীবনের ঘটনা। যা অনুপম খেরের চ্যাট শো ‘কুছ ভি হো সকতা হ্যায়’-এ জীবনের এই গল্প জানিয়েছেন অক্ষয়।
এ অভিনেতা বলেন, একবার ট্রেনে করে ঘুরতে যাচ্ছিলাম। তখন হঠাৎই জানতে পারি ডাকাত দল ট্রেনে উঠে পড়েছে। তখন প্রায় ভোর সাড়ে চারটা হবে। আমার কাছে পাঁচ হাজার টাকার জিনিসপত্র, সঙ্গে আমার জামা-কাপড়ও ছিল। সব প্রয়োজনীয় জিনিস ছিল। চম্বল আসার পরপরই ট্রেনে উঠে পড়ে ডাকাত দল। তারা আমার বগিতেই আসে। আর ওই সময় ঘুমাচ্ছিলাম আমি।
অক্ষয় বলেন, হঠাৎ বীভৎস্য এক আওয়াজ আসে কানে। চোখ খুলেই দেখতে পাই ডাকাত দাঁড়িয়ে আছে। তখন সবাইকে বলি, এখন কিছুই বলবেন না, চুপচাপ ঘুমাতে থাকুন। এ সময় দেখি ওরা সবার লাগেজ নিচ্ছে। ধীরে ধীরে আমার কাছে এসে মুহূর্তেই আমার ব্যাগ নিয়ে নেয়। তখন যদি আমি কোনো শব্দ করতাম, তাহলে গুলি করে মেরে ফেলত আমায়।
এ তারকা পুরনো দিনের সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে বলেন, আমি চেয়ে চেয়ে শুধু দেখেছি আর কেঁদেছি। এরপর ওরা সবকিছু নিয়ে চলে যায়। এমনকি আমার জুতাও বাদ রাখেনি। সিটের নিচে রাখা জুতাও কেড়ে নেয়। বুঝতে পারি, কিছুই বাদ রাখেনি। আর যখন দিল্লির স্টেশনে নামি, তখন আমার কাছে কোনো ব্যাগও ছিল না।
প্রসঙ্গত, অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘বড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’, ‘সারফিরা’ ও ‘খেল খেল মে’ ব্যর্থ হয়েছে দর্শকমহলে। তবে শিগগিরই প্রিয়দর্শনের ‘ভূত বাংলা’ ও রোহিত শেঠির ‘সিংহম এগেইন’-এ দেখা যাবে এ নায়ককে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।