জুমবাংলা ডেস্ক : নেত্রকোণার মদন উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক কলেজছাত্রের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আজ রোববার মদন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্কুলছাত্রীর বাবা।
জানা গেছে, অভিযুক্ত ওই কলেজছাত্রের নাম মাসুম মিয়া (২২)। তিনি ময়মনসিংহ রয়েল মিডিয়া কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, মাসুম ওই স্কুলছাত্রীকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার ‘ধর্ষণ’ও করেছেন তিনি।
ভুক্তভোগীর পরিবার আরও জানায়, ‘গত বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে ওই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান কলেজছাত্র মাসুম। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার সকালে সালিস হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। মেয়েকে উদ্ধার করতে তার বাবা রোববার মদন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়েকে প্রায় সময় বিরক্ত করত মাসুম। গত বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে। এলাকার মাতাব্বরদের কাছে ধর্ষণের ঘটনা খুলে বলেন আমার মেয়ে। কিন্তু মাসুম মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন প্রভাবশালী হওয়ায় কিছুই করা যাচ্ছে না। বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছি।’
অভিযুক্ত মাসুম মিয়ার মা শেফালী আক্তার বলেন, ‘মেয়েটির সঙ্গে আমার ছেলের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। মেয়েটি আমার বাড়িতেই আছে। মাসুম গত শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহ কলেজে চলে গেছে। প্রাপ্ত বয়স হলে দুজনকে বিয়ে দেবো।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার দেন-দরবার হয়েছে। দরবারে উপস্থিত সকলের সামনে মেয়েটি বলেছে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে মাসুম মিয়া। সে বর্তমানে মাসুম মিয়ার বাড়িতে আছে।’
এ বিষয়ে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘এ ব্যাপারে একটি মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।