জুমবাংলা ডেস্ক: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষা গ্রামে বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে মেয়ে রাজিয়া ইসলাম নিছা। রবিবার (২১ নভেম্বর) সকালে ওই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
রাজিয়া ইসলাম নিছা এবার কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের পতনঊষার উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
জানা গেছে, রবিবার (২১ নভেম্বর) নিছার এসএসসি পরীক্ষার দ্বিতীয় দিন ছিল। এর মধ্যে তার বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ভোরে সিলেট উইমেন্স হাসপাতালে মারা যান। মৃত্যুর পর বাবা হারা নিছা ভেঙে পড়লেও স্বজন ও শিক্ষকদের উৎসাহে সে রবিবার (২১ নভেম্বর) সকালে উপজেলার কালী প্রসাদ উচ্চবিদ্যালয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে অংশগ্রহণ করে।
কালী প্রসাদ উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের পরীক্ষা সচিব ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সত্যেন্দ্র কুমার পাল বলেন, নিছা সবার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই পরীক্ষা দিয়েছে। আমরা তার সার্বক্ষণিক খেয়াল রেখেছি।
পতনঊষার উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ ফয়েজ আহমেদ জানান, নিছার বাবার মৃত্যুর খবর শুনে সকালে তার বাড়িতে গিয়ে সান্ত্বনা ও উৎসাহ দিয়েছি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য।
কয়েকদিন আগেই নরসিংদীর জনতা আদর্শ বিদ্যাপীঠের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সিনথিয়া কবিরের পরীক্ষার দিন মারা যান তার বাবা। তবুও সিনথিয়া পরীক্ষা দিয়েছিলেন। পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এক হাতে চোখ মুছে চলেছে আর অন্য হাতে কলম চালাচ্ছে পরীক্ষার খাতায়। আর মাঝে মাঝেই ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠছে। এই দৃশ্য নরসিংদীর ঘোড়াশাল ডা. নজরুল বিন নূর মহসিন বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ পরীক্ষাকেন্দ্রে।
সিনথিয়া কবির ঘোড়াশাল পৌর এলাকার পলাশ কুটিরপাড়া মহল্লার হুমায়ুন কবিরের (৪৮) মেয়ে। রবিবার এসএসসি পরিক্ষায় অংশ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান বাবা হুমায়ুন কবির। বাবার লাশ বাড়িতে রেখেই প্রথম দিনের পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষায় অংশ নেয় সিনথিয়া।
সিনথিয়ার সহপাঠীরা জানায়, পরীক্ষা দিতে গিয়ে বাবার শোকে পুরো সময়ই কেঁদেছে আর লিখেছে সিনথিয়া। আর এ দৃশ্য দেখে তাঁর সহপাঠী, শিক্ষকসহ পুরো কেন্দ্রেই নেমে আসে শোকের ছায়া।
মৃত হুমায়ুন কবিরের জানাজা রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে স্থানীয় কো-অপারেটিভ স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
ঘোড়াশাল ডা. নজরুল বিন নূর মহসিন বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ এবং পরীক্ষাকেন্দ্রের কেন্দ্রসচিব রিনা নাসরিন জানান, পরীক্ষার্থী সিনথিয়া কবিরের বাবার মৃত্যুর বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। তার জন্য কোনো বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। সে সবার সঙ্গেই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। ঘটনাটি খুবই হৃদয়বিদারক।
যানজটে ১৫ মিনিট দেরি হওয়ায় সামিয়াকে পরীক্ষা দিতে দেননি কেন্দ্রসচিব
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।